প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে বক্তব্যকে ঘিরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছিল, সে প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর যে বক্তব্যকে কেন্দ্র করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অনেকেই নিজেকে ‘রাজাকার’ বলে স্লোগান দিয়েছিলেন, সেই বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলেননি।
শুক্রবার সকালে ঢাকার রামপুরায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনের পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ভবনটি ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছিল।
গত ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাদের এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিরা (কোটায় চাকরি) পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে?
এই বক্তব্য ঘিরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে তাঁরা স্লোগান ধরেন, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’। যা নিয়ে আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করেন অনেকে। পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
এদিকে বিটিভি পরিদর্শন শেষে কোটা আন্দোলনে আহতদের দেখতে বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি চিকিৎসাধীনদের খোঁজখবর নেন এবং আহতদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, “এমন ‘মৃত্যুর মিছিল’ হবে আমি কখনোই চাইনি। যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করেছে তাদের খুঁজে বের করার জন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
গ্রেফতার প্রসঙ্গে মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর, ‘৫৫০ মামলা ৬ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার’।
প্রতিবেদনে পুলিশের বিভিন্ন সূত্রের বরাতে বলা হচ্ছে, শুক্রবার (২৭শে জুলাই) পর্যন্ত সারা দেশের ৫১টি মহানগর ও জেলায় প্রায় ৫৫০টি মামলা হয়েছে। বেশির ভাগ মামলার বাদী পুলিশ। এ ছাড়া ছাত্রলীগও অনেক মামলার বাদী।
এসব মামলায় গত ছয় দিনে ছয় হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা ও গ্রেফতারের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায়। এখানে মোট ২০৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় দুই হাজার ৩৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের ধারণা কোটা আন্দোলনকে ঘিরে যারা সহিংসতা, নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত তাদের অনেকেই ঢাকায় অবস্থান করছে।
তাই এলাকা ধরে ধরে রাতে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ, ডিবি, র্যাব।পুলিশের দাবি, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সুনির্দিষ্ট প্রমাণসাপেক্ষে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একই ধরনের খবর নিয়ে শিরোনাম করেছে দৈনিক নিউএজ পত্রিকা।
নিউ এইজের প্রথম পাতার আরেকটি খবর, ‘Quota protest leaders picked up from hospital’ অর্থাৎ, ‘কোটা আন্দোলনের নেতাদের হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর তিন সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম, আবু বাকের মজুমদার এবং আসিফ মাহমুদকে শুক্রবার বিকেলে ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকার একটি হাসপাতাল থেকে নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাহিদ, আবু বাকের এবং আসিফ আগের সপ্তাহে নিখোঁজ হয়েছিলেন এবং দেশব্যাপী কারফিউ এবং সেনা মোতায়েনের মধ্যে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসকরা জানান, নাহিদ ও আসিফের শারীরিক অবস্থা তাদের ছাড়ার পক্ষে নয়।
সমন্বয়কারী এক জনের আত্মীয় বলেন, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ছয় থেকে সাত জন নিজেদেরকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের একজন ওয়ার্ড বয়কেও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তুলে নিয়ে গেছে বলে হাসপাতালের চিকিৎসক ও আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন।
নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘ছুটির দিনেও আদালতে স্বজনের ভিড় আহাজারি’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শুক্রবার বন্ধের দিনেও ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভিড় করেছিলেন গণহারে আটক হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা।
বন্দী প্রিয়জনকে নির্দোষ দাবি করে তাদের কেউ কেউ আহাজারি করেন। অনেককে বিনা অপরাধে গ্রেফতারের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ করেন তাদের স্বজনরা।
শুক্রবার দুপুরের পর পুরো আদালত ভবনজুড়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের আদালতে ভিড় করতে দেখা গিয়েছে।
তারা স্বজনের খোঁজ নেয়ার পাশাপাশি আইনজীবীদের সাথেও পরামর্শে ব্যস্ত ছিলেন।
অন্য দিকে সেতু ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুনানিকালে নুরকে এজলাসে তোলা হয়। তখন নুর দাঁড়াতে পারছিলেন না।
শুনানিতে রিমান্ডে নিয়ে নুরকে নির্যাতনের অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। শারীরিক অবস্থা ও সার্বিক বিবেচনায় তারা জামিন চান।
তবে শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts’ অর্থাৎ, ‘পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু: পুলিশের এফআইআর-এ উল্টো তথ্য’
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৬ই জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ পুলিশ গুলিতে নিহত হন। এ সংক্রান্ত ভিডিওটি সমালোচনার ঝড় তুলেছিল।
ভিডিওতে সব স্পষ্ট দেখা গেলেও পুলিশের দায়ের করা ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) বলছে, সাঈদ পুলিশের গুলির শিকার হননি।
রিপোর্টে বলা হয়, ‘বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন দিক থেকে অস্ত্র ছুড়ে এবং ইট ছুড়ে মারে এবং একপর্যায়ে একজন ছাত্রকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখা যায়,’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা ভিডিও ক্লিপটি যাচাই করে দেখা গেছে, অন্তত দুইজন পুলিশ অফিসার রাস্তার ওপার থেকে সরাসরি তাকে লক্ষ্য করে ১২-গেজের শটগানের গুলি ছুড়েছে। এরপর অন্তত আরও দুইবার গুলি চালানো হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাঈদ এবং পুলিশের অবস্থান নির্ধারণে স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে এবং দেখতে পায় যে গুলি চালানোর সময় তারা প্রায় ১৫ মিটার দূরত্বে ছিল।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ১৮ই জুলাই এক বিবৃতিতে জানায়, সাঈদের উপর পুলিশের হামলা বেপরোয়া। কেননা সাঈদ পুলিশের জন্য কোন হুমকির সৃষ্টি করেনি।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম, ‘তান্ডবে এলাকায় ছিলেন না এমপি-মন্ত্রীরা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে তান্ডবের সময় মাঠে ছিলেন না আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা।
সংকটের সময়ে নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার বদলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা নেতা ও কর্মীবাাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড।
সহিংস তান্ডবের সময়ে এমপি-মন্ত্রীদের অনেকেই ছিলেন নিরাপদ আশ্রয়ে। কেউ কেউ নিজ বাসা বা অফিসে বসে টেলিভিশনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন।
পরিস্থিতি ঘোলাটে দেখে কেউ কেউ অসুস্থতার কথা বলে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে, কেউ ছিলেন হাসপাতালে।
পরিস্থিতির অবনতি দেখে কেউ কেউ মন্ত্রীপাড়ার বাসা কিংবা ন্যামভবন থেকে বাইরে বের হননি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তান্ডবের সময়ে যদি এমপি-মন্ত্রীরা নিজ নিজ কর্মীবাহিনী নিয়ে মাঠে থাকতেন তাহলে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করাসহ রক্ষা করা যেত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও স্থাপনাগুলো।
এমনকি আওয়ামী লীগের অফিস, প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীদের বাসাবাড়িতে হামলা হতো না।
টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দেউলিয়াপনা ফুটে উঠত না।
প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর, ‘দলের দুর্বলতা প্রকাশ্যে, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা প্রতিরোধে রাজপথে টিকতে পারেনি ক্ষমতাসীন দলটি। এটি রাজনৈতিক ব্যর্থতা বলছেন অনেকে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ্যে এসেছে বলেও মনে করা হচ্ছে। এই ব্যর্থতার প্রশ্নে এখন কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সর্বত্র নেতারা একে অপরকে দোষারোপের মাধ্যমে ঘায়েল করার চেষ্টা করছেন।
অনেক ক্ষেত্রে নেতাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি, তর্কাতর্কি বা বাদানুবাদ পর্যন্ত গড়াচ্ছে।
যদিও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নেতাদের দোষারোপ বা বাদানুবাদের ঘটনাকে ছোট করে দেখার চেষ্টা করছেন।
তবে কেউ কেউ বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে দলের ভূমিকা এতটাই ভঙ্গুর ছিল যে অনেকেই তা মেনে নিতে পারছেন না, হকচকিত হয়ে পড়েছেন। এ জন্য একে অপরকে দোষারোপ করে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করছেন।
এ অবস্থায় দলের বিভিন্ন স্তরে আলোচনায় দল পুনর্গঠনের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, এখন ঘুরে দাঁড়াতে হলে দল পুনর্গঠনে হাত দিতে হবে।
নতুবা পুরোনো মুখ ও পুরোনো নীতি নিয়ে মানুষের মন জয় করা যাবে না। ভবিষ্যতে এ ধরনের ধাক্কা এলে সামলানো কঠিন হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ভূমিকা না রাখার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর থানার ১০৮টি ইউনিট কমিটির মধ্যে ২৭টি কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
দলের নেতারা বলছেন, মহানগরে নেতৃত্বের বিভেদের কারণেই সাংগঠনিক অবস্থা এখন ভঙ্গুর।
বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘প্রবাসী আয়ে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে সংঘটিত সহিংসতা, মৃত্যু ও ইন্টারনেট বন্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দেশে দেশে প্রবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে তাদের একাংশ।
এ পরিস্থিতিতে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে রেমিট্যান্স প্রবাহ আশঙ্কাজনক হারে কমে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে জুলাইয়ে আসা রেমিট্যান্স হতে পারে চলতি বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ইন্টারনেট বন্ধ ও দেশব্যাপী সংঘাত-সংঘর্ষ ও কারফিউর প্রেক্ষাপটে চলতি জুলাইয়ে এতে পতনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
টানা পাঁচদিন ব্যাংক বন্ধ থাকার পর বুধ ও বৃহস্পতিবার যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে আসার প্রত্যাশা ছিল, সেটি দেখা যায়নি।
গত ১৪ থেকে ২৪শে জুলাই পর্যন্ত ১০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৫৩ কোটি ডলার। যেখানে গত জুন মাসে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন।
চাকরিজীবী প্রবাসীরা মাসের প্রথম কিংবা শেষ সপ্তাহে বেতন পান। এ সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ না বাড়লে বুঝতে হবে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক।
যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রতিবেদন: রাজস্ব আদায়ে ৫ চ্যালেঞ্জ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে ২১ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁটের পরও অর্জিত হয়নি রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে বড় অঙ্ক আয়ের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে নতুন অর্থবছরের।
এ লক্ষ্যমাত্রা কতটা অর্জিত হবে, তা অর্থবছর শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। তবে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে উচ্চ লক্ষ্যসহ পাঁচ সমস্যা চিহ্নিত করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
এসবের মধ্যে আছে কর সম্প্রসারণে জরিপ কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রতা ও পদ্ধতিগত সমন্বয়হীনতা এবং কর ব্যবস্থাপনার তথ্য বিনিময়ের অপ্রতুলতা। এছাড়া রয়েছে দক্ষ জনবলের স্বল্পতা ও ভৌত অবকাঠামোসহ প্রয়োজনীয় সুবিধার অভাব।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ‘কর্মসম্পাদন’ প্রতিবেদনে এসব সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
সেখানে আরও বলা হয়, সব পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অটোমেশন বাস্তবায়ন করাই মূল চ্যালেঞ্জ।
উল্লিখিত সব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গত কয়েকদিনের ঘটনা। কারণ, এর ফলে গত সাতদিন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রাজস্ব আহরণ হয়নি। -বিবিসি বাংলা