শাপলা চত্ত্বরে গণহত্যা: হাসিনা-ইমরান সরকার সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

শাপলা চত্ত্বরে গণহত্যা নামে পরিচিত ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভে ‘গণহত্যা’র অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। অপর আসামিরা হলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার।

ভিডিও: https://youtu.be/MNR0f6DrKoI?si=DEcBqyGWZH3HuKve

প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আরেকটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট কারা কর্তৃপক্ষকে আগামী ১২ মে চার আসামিকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই চার আসামি অন্যান্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান এবং রাজশাহীতে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোল্লা নজরুল ইসলাম। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বেঞ্চের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নির্বিচারে হত্যা ও লাশ গুম করে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগটি এনেছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী। গত ২০ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ সংক্রান্ত আবেদন করা হয়। আবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাজনীতিবিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাবেক মন্ত্রী, পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবী ও গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। আবেদনে ঘটনার তারিখ হিসেবে ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে এবং স্থান হিসেবে মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান উল্লেখ করা হয়েছে।

অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে এক থেকে ২৪ নম্বর আসামিদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা শহরব্যাপী ব্ল্যাক আউট করে টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণে হত্যা, লাশ গুম করে গণহত্যা চালায় এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে।

ওই আবেদন যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন— সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সাবেক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক ও বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সদস্য মুনতাসীর মামুন ও তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, একাত্তর টিভির এমডি মোজাম্মেল হক বাবু, সময় টিভির আহমেদ জোবায়ের, এবি নিউজের সুভাষ সিংহ রায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের নাঈমুল ইসলাম খান, বিজিবির সাবেক ডিজি ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি এম মনজুর আহমেদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *