শহীদ জিয়াকে মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না : আরিফুল হক

সাম্প্রতিক সিলেট
শেয়ার করুন

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। তিনি রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিয়ে দেশের হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু হয়েছিল। আজ ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। শহীদ জিয়ার অর্জনকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে যতই চেষ্টা করা হউক না কেন শহীদ জিয়ার নামকে মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না।

বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় সাহিত্য সংসদের শহীদ সোলেমান হলে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিসিকের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।

সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ঐতিহাসিক ঘটনা সমূহের বর্ণনা দিয়ে বলেন, সিলেটের সাথে শহীদ জিয়ার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পর তাঁর নেতৃত্বেই সম্মূখ সমরে সিলেটকে মুক্ত করেছিলেন। তিনি সিলেটে কেবিনেট সভা করেছিলেন। তিনি হেঁটে হেঁটে বালাগঞ্জে ঘুরে ছিলেন। একজন চৌকস রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার পরও তিনি অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করতেন।

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী পরিচালনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মিফতাহ সিদ্দিকী, রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী, সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, নজিবুর রহমান নজিব, নিগার সুলতানা ডেইজি, সৈয়দ সাফেক মাহবুব, আমির হোসেন, ডা. নাজমুল ইসলাম, মুর্শেদ আহমদ মুকুল, শামীম মজুমদার, আফজল হোসেন, হুমায়ুন আহমদ মাসুক, আক্তার রশিদ চৌধুরী, মতিউল বারী খোরশেদ, মাহবুবুল হক চৌধুরী, ডা. আশরাফ আলী, ফাতেমা জামান রুজি, আব্দুল হাকিম, জিয়া স্মৃতি পাঠাগার মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুফতি নেহাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত অপি, ওয়ার্ড সভাপতির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খায়রুল ইসলাম খায়ের, জাকির হোসেন মজুমদার, সবুর আহমদ, আব্দুল মুনিম, তারেক আহমদ খান, আব্দুর রহিম মল্লিক, বাচ্চু মিয়া, নাজিম উদ্দিন, সেলিম আহমদ সেলু, আমিনুল ইসলাম, ফখর উদ্দিন পংকি, চাঁন মিয়া বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রফিকুল ইসলাম রফিক, সাব্বির আহমদ, ফয়েজ আহমদ মুরাদ, রহিম আলী রাসু, লোকমানুজ্জামান, আব্দুল্লাহ শাফি সাহেদ, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবের আহমদ, সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান, এসএম সায়েম, সুলেমান হোসেন, মিনহাজ পাঠান, আবু সাঈদ মো. তায়েফ, আব্দুস সবুর রাসেল, আব্দুল মালিক সেকু, জমজম বাদশা, সুহেল মাহমুদ, আলী হায়দার মজনু, ইকবাল কামাল, দেওয়ান আরাফাত জাকি, কবির আহমদ, মির্জা জাহেদ, আলমগীর হোসেন, ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক এম মখলিছ খান, সাইয়ুমল ইসলাম, মালেক আহমদ, ইফতেখার আহমদ পাবেল, ফরহাদ আহমদ, আকবর হোসেন কায়েসার, নাসির উদ্দীন রব, মইনুল ইসলাম, আব্দুর রহিম, দিদারুল ইসলাম দিদার, মতিউর রহমান শিমুল, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম জীবন, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজার আলী অনিক, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল ইসলামসহ সিলেট মহানগর বিএনপি, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, ১৯৭১ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্যদিয়ে দেশের মুক্তিকামী মানুষ প্রতিরোধ যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। পরবর্তীতে দেশ ও জাতীয় এক ক্রান্তিলগ্নে তিনি দেশের হাল ধরেন। রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেছিলেন। দেশ গঠনে ১৯ দফা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তিনি একটি সুখি, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদের গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনা, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা ও দেশ-জাতির মঙ্গল কামনা করে অনুষ্ঠানে দোয়া করেন মাওলানা আব্দুল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *