লিভ টুগেদার যৌন অপরাধ বাড়াচ্ছে: মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট

এশিয়া লাইফ স্টাইল সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

ভারতে লিভ-ইন সম্পর্ক বা লিভ টুগেদার বা বিবাহ ছাড়াই একসঙ্গে বসবাসের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু এই সম্পর্ক যৌন অপরাধ এবং অশ্লীলতা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করছে বলে জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ কথা বলেছেন হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চের বিচারপতি সুবোধ অভয়ঙ্কর। এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ২৫ বছর বয়সী ব্যক্তির আগাম জামিন আবেদন খারিজ করার সময় তিনি এমন পর্যবেক্ষণের কথা জানান।

আদালত বলেছেন, ‌‘লিভ-ইন সম্পর্কের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কথা বিবেচনা করে, এই আদালত পর্যবেক্ষণ করতে বাধ্য হয়েছে যে, লিভ-ইন-সম্পর্কের ক্ষতি সাংবিধানিক গ্যারান্টির একটি উপজাত মাত্র। এটি ভারতীয় সমাজের নৈতিকতাকে আচ্ছন্ন করে এবং অশ্লীল আচরণকে প্রচার করে ও যৌন অপরাধের জন্ম দেয়। অনুচ্ছেদ ২১, জীবন এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার নিশ্চিত করে। আদালত, বছরের পর বছর ধরে মর্যাদার অধিকার এবং গোপনীয়তার অধিকার সহ অনেক কিছু কভার করার জন্য পরিধি প্রসারিত করেছে।’

এ সময় লিভ-ইন সম্পর্কের কারণে আইনী বিরোধের বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরা হয়। হাইকোর্ট বলেন, ‘যারা এই স্বাধীনতাকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল, তারা এটিকে দ্রুত আলিঙ্গন করেছে। কিন্তু এটির নিজস্ব সীমাবদ্ধতা রয়েছে যে সে সম্পর্কে তারা সম্পূর্ণরূপে অজ্ঞ। কারণ, এই ধরনের সম্পর্ক কাউকে কোনো অধিকার দেয় না।’

মামলার প্রতিবেদন ও নথি থেকে জানা যায়, অভিযোগকারী নারী দুইবারের বেশি গর্ভবতী হয়েছিলেন। আবেদনকারীর (তার তখনকার লিভ-ইন পার্টনার) চাপে ভ্রূণ গর্ভপাত করতে বাধ্য হন। যখন তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়, তখন ওই নারী অন্য একজনের সঙ্গে বাগদান এবং বিয়ে করেন। কিন্তু লিভ-ইন পার্টনার তাকে ব্ল্যাকমেইল করার আশ্রয় নেয়, বিচারক উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, এমনকি লিভ-ইন পার্টনার ওই নারীর শ্বশুরবাড়িতে ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেটিতে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন যে, আত্মহত্যা করবেন এবং ওই নারীর পরিবার ছাড়াও তারাও এর জন্য দায়ী থাকবে। এর ফলে ওই নারীর বিয়ে বাতিল হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *