Ab party Showdown at Dhaka 2

রাজধানীতে এবি পার্টির ‘না’ মিছিল

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

সরকার পতনের চলমান ১ দফা’র প্রতি সংহতি ও নিজস্ব ২ দফা আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ (২৯ জুলাই, শনিবার) রাজধানীতে ‘না’ মিছিল করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’। বর্তমান সরকারকে অবৈধ, বেআইনী ও ফ্যাসিবাদী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের সকল কর্মকান্ড কে ‘না’ বলার আহ্বান ছিল এই মিছিলের মূল প্রতিপাদ্য।

বেলা ১২ টায় দলের প্রধান কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিজয়-৭১ চত্ত্বরে এসে এক পথসভায় মিলিত হন।

পথসভায় আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’র নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামীলীগের কর্মসূচি দেখে মনেহ চ্ছে তারা বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের অন্যতম শরীক! বিএনপি নেতাদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও গ্রেফতার প্রমান করে সরকার দেশে একটা সংঘাত ও গৃহযুদ্ধ বাঁধাতে চায়। শান্তি সমাবেশের নামে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

গতকাল শান্তি সমাবেশ শেষে নিজ দলের বিবাদবান গ্রুপ মারামারি করে ডজনখানেক আহত ও একজন নিহত হয়ে প্রমাণ করেছে কত সহিংস ও প্রতিশোধপরায়ন দল এই আওয়ামী লীগ। এটি ক্ষমতাসীনদের চরম নৈতিক পরাজয়, ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে তারা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে, উন্মাদের মতো আচরণ করছে, আবোল-তাবোল বকছে।

দলের যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অবঃ) আবদুল ওহাব, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।

দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, গত কয়েক মাস ধরে আমরা গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলো যে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি দিচ্ছি, আওয়ামী লীগ কোনো না কোনোভাবে সেগুলোর পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে তারা একটা সংঘাত বাধাতে চায়। এটা যে কত বড় নৈতিক পরাজয়, ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে তারা সেটা বুঝতে পারছে না।

তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের উত্তর প্রজন্ম আওয়ামী বাকশালকে ক্ষমা করবে না।

সভাপতির বক্তব্যে এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল ওহাব বলেন, সরকারি দল ‘শান্তি মিছিল’–এর নামে অশান্তি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

‘না’-মিছিলে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার যুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, বি এম নাজমুল হক, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, এ বি এম খালিদ হাসান, শাহাদাত উল্লাহ টুটুল, আবদুল বাসেত মারজান প্রমুখ।

ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করে বিদায় নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় এই সভা থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *