ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধ বিরতির ব্যাপারে মিশর ও কাতারের দেয়া প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং মিশরের গোয়েন্দা প্রধানকে তাদের প্রস্তাব মেনে নেয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে প্রস্তাবটিতে কি আছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ বিরতির চেষ্টায় মধ্যস্থতাকারী দেশ দুটি বেশ কিছুদিন ধরে নানা ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের সহায়তার জন্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস কায়রো সফরে গেছেন। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আলোচনায় অগ্রগতি হওয়ার কথা জানিয়েছেন। এরপরই হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণের খবর আসে।
আল-জাজিরাকে কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, মিশর-কাতারের যে প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়েছে সেটিতে তিনটি ধাপের কথা বলা হয়েছে। প্রতি ধাপে সময় ধরা হয়েছে ৪২ দিন করে। খবরে বলা হয়, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানিকে ফোন করে জানিয়েছেন হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। মিসরের গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী আব্বাস কামালকেও একই কথা জানিয়েছেন ইসমাইল হানিয়া।
এদিকে হামাসের বিবৃতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আপাতত মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। যার অধিকাংশই নারী ও শিশু।
বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, গাজা যুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি একটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ছিল। তিনি আশা করেন ইসরায়েল সরকার গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং ছিটমহল থেকে প্রত্যাহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে। ওয়াফা জানায়, আব্বাস ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এবং ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলি সরকার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি অধ্যয়ন করছে বলে একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থাগুলি জানিয়েছে। “আমরা প্রস্তাব পেয়েছি এবং এটি পর্যালোচনা করছি”, নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন।