গাজা যুদ্ধের নতুন বিরতির বিষয়ে আলোচনার জন্য হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহর কায়রো সফর জরুরি হয়ে উঠেছে। যদিও গাজা উপত্যকায় একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতি এখনও অনেক দূরে বলে মনে হচ্ছে, তবে সেখানে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে একটি নতুন যুদ্ধ বিরতি সম্ভব হতে পারে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এই প্রথম হামাসের কোনো নেতা সরাসরি আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। ইতিপূর্বে সকল আলোচনা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে হয়েছে এবং বিভিন্ন বিষয়ের প্রস্তাব হামাসের কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা সরাসরি কোনো বৈঠকে অংশ নেননি।
প্যারিসে কাতার, মিশর ও মার্কিন প্রতিনিধিরা ইসরায়েলি পক্ষের সাথে আলোচনা করেছেন। সেখানে যুদ্ধ বিরতির একটি প্রস্তাবে ইসরায়েল ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। এখন হামাস একমত হলে তা কর্যকর হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, হামাসের কাছে যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, তা নিয়ে তারাও ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রস্তাবিত দুইমাসের যুদ্ধ বিরতিতে ১০০জন ইসরায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, প্রস্তাবটি নিয়ে হামাস এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে ইসমাইল হানিয়াহ মিশরে আলোচনায় যোগ দিতে পারেন বলে জানা গেছে। প্যারিসে আলোচনা থেকে যে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, তারই উপর আরো একপ্রস্থ আলোচনা হতে পারে মিশরে।
যে প্রস্তাব নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে, সেখানে বলা হয়েছে, ছয় সপ্তাহের বিরতি নেয়া হবে। সেই সময়ে শিশু, নারী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তিদের হামাস মুক্তি দেবে।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের জানিয়েছে, বৈঠকে হামাস আরো একটি দাবি জানাতে পারে। ইসরায়েলকে সকল অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং গাজা থেকে সমস্ত ইসরায়েলি সেনা সরিয়ে নিতে হবে।
মূলধারার ইসরায়েলি মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ইসরায়েল মধ্যস্থতাকারীদের কাছে একটি প্রস্তাবনা পেশ করেছে। মিশর এবং কাতার উভয়ই মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় মূল ভূমিকা পালন করে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করেছে।