গাজীপুরে রক্তাক্ত হয়েছেন মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। সেখানে দিনভর নানা অনিয়মের অভিযোেগর পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনাও ঘটেছে।
ভোটের মাঠে দিনভর সরকারি দল আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের আধিপত্য ছিল। কিছু কিছু কেন্দ্রে অন্যান্য প্রার্থী ও এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম একটি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে হামলার শিকার হন। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বরিশাল এবং খুলনার ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে ইসলামী আন্দোলন। দলের আমীর মুফতি রেজাউল করীম বরিশালে সংবাদ সম্মেলনে ফল প্রত্যাখ্যান করে বলেন, রাজশাহী ও সিলেটের নির্বাচনও বয়কট করবেন তার দলের প্রার্থীরা। হামলার ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলনের আমীর।
ভোট চলাকালীন অবস্থায় কমপক্ষে ১০টি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খল পরিবেশ ছিল। এসব ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়া হয়, মেয়রের ভোট একটি প্রতীকে দিতে হবে। প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নেন নৌকার সমর্থকরা। দাঁড়াতেই দেননি হাতপাখার কর্মীদের। বিভিন্ন স্থানে হাতপাখার প্রার্থীর লোকজন সরতে না চাইলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
আর ইভিএমে হওয়া অন্যান্য নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও ছিল ধীরগতি ভোগান্তি। সব কেন্দ্রে মেলেনি হাতপাখার এজেন্ট। তারা অভিযোগ করেন, অনেক কেন্দ্র থেকে হুমকি দিয়ে বের করে দেয়া হয় তাদের।