মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং আজকের বিজয় ।। ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ

প্রবন্ধ-কলাম সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্বিত ইতিহাসের উজ্বলতম অধ্যায়। স্বাধীনতার লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য রক্তের সাগর পাড়ি দিতে হয়েছে আমাদের। পাকিস্তানের জালিম শাসকদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে এর চূড়ান্ত পর্ব সমাপ্ত হয়।

ইতোপূর্বেও স্বাধীনতার লক্ষ্যে যুদ্ধ করেছি ইংরেজদের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় নেতৃত্ব প্রদানের জন্য আমরা সকল মুক্তিযোদ্ধাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে থাকি।

অনেক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ প্রিয় জন্মভূমিকে আমরা মুক্ত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও আমাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়।

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে অনেক চড়াই উৎরাইয়ের মাঝেও অন্তত অর্ধেক সময় শিশুগণতন্ত্রের সাহচার্য পেয়েছি। বাকি সময় পার করেছি গণতন্ত্রের মুখোশে।

দীর্ঘসময় ধরে বাংলাদেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে এ সংগঠনের প্রসংশনীয় ভূমিকা ইতিহাসের সোনালি পাতায় লিপিবদ্ধ আছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে সাংবিধানিকভাবে জনগণের অধিকারের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কতোটা সফল এ সরকার, তা পর্যালোচানার সময় এসেছে।

১৯৭২ সালের ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রথম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে চারটি মূলনীতির বিষয় নির্বাচন করা হয়। এই চার মূলনীতির ভিত্তিতে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করা হয়।

১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে ৮নং অনুচ্ছেদ থেকে ২৫নং অনুচ্ছেদ পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসমূহ সন্নিবেশিত করা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়ায় আমাদের সংবিধানে নানাবিধ সংশোধনীর পরেও চারটি মূলনীতি এখনো বিদ্যমান।

বাঙালি জাতীয়তাবাদ হলো বাঙালি থেকে বাংলাদেশ। বাঙালিরা দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। আমাদের মহান সংবিধানের প্রধান চারটি স্তম্ভের মধ্যে একটি অন্যতম স্তম্ভ জাতীয়তাবাদ।

আমাদের সংবিধানের ৯নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ভাষাগত ও সংস্কৃতিগত একক সত্তাবিশিষ্ট, যা বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ ও সংকল্পবদ্ধ সংগ্রাম করে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছিলেন সেই বাঙালি জাতির ঐক্য ও সংহতি হবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি। বাঙালি জাতির ঐক্য ও সংহতির মূলে রয়েছে ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির অভিন্নতা।

বাঙালিরা একটি স্বতন্ত্র জাতি। এই জাতীয়তাবাদের ওপর ভিত্তি করেই ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে তারা বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বস্তুত আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি। আমরা একটি স্বতন্ত্র, স্বাধীন জাতি। এ স্বাতন্ত্র্যবোধ ও স্বকীয়তাই আমাদের এক সুদঢ় ঐক্যে ঐক্যবদ্ধ করেছে।

প্রচলিত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে অর্থ সম্পদের অবাধ ও মুক্ত প্রতিযোগিতা চলে। দরিদ্র জনসাধারণ এ ধরনের প্রতিযোগিতায় সমান সুযোগ পায় না। শুধু সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে এবং তখনই আর্থসামাজিক, মানবাধিকার ও জনগণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা আসতে পারে।

সংবিধানের অন্যতম একটি মূলনীতি হলো সমাজতন্ত্র। বাংলাদেশে একটি শোষণমুক্ত এবং সাম্যবাদী সমাজব্যবস্থা নিশ্চিতভাবে প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কায়েম করার কথা বলা হয়েছে।

সংবিধানের ১০নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে যে, মানুষের ওপর মানুষের শোষণের অবসান করে ন্যায়ানুগ সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে শোষণহীন সমাজব্যবস্থা কায়েম করা হবে।

সমাজতন্ত্রের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে সংবিধানে উল্লেখ করা হয় যে, রাষ্ট্র তার প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের সম্পত্তিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীনে গ্রহণ করতে পারবে। সংবিধানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, মেহনতি মানুষকে সকল প্রকার শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। রাষ্ট্রের উৎপাদন ও বণ্টন ব্যবস্থার মালিক হবে জনগণ তথা রাষ্ট্র। আইনের ধারা আরোপিত সীমার মধ্যে ব্যক্তিগত মালিকানার বিধানও রাখা হয়।

আমাদের সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে গণতন্ত্র এবং স্বৈরশাসনের অবসান। সংবিধানের ১১ নং অনুচ্ছেদে এর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে, প্রজাতন্ত্র হবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকবে; মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হবে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রনৈতিক ব্যবস্থা হবে গণতান্ত্রিক। প্রাপ্তবয়স্কদের সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নাগরিকগণ রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে পারবে। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সামাজিক বৈষম্য দূর করাই হবে গণতন্ত্রের লক্ষ্য। রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে গণতন্ত্র রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবন ব্যবস্থার একটি পরিপূর্ণ রূপ নির্দেশ করবে।

গণতন্ত্র শুধু শাসনব্যবস্থার রূপ নির্দেশ করবে না, সামাজিক আদর্শ হিসেবেও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। রাষ্ট্র পরিচালনার সকল স্তরে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হবে।

ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতা। সংবিধানের অন্যতম মূল আদর্শ বা নীতি ধর্মনিরপেক্ষতা। আমাদের সংবিধানের ১২নং অনুচ্ছেদে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকবে।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করা যাবে না। প্রত্যেক নাগরিক তার নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী ধর্ম পালন, চর্চা ও প্রচার করতে পারবে। কোনো বিশেষ ধর্মাবলম্বী ব্যক্তির প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশেষ কোন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া বা তার প্রতি কোনো বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না।

সমাজজীবন হতে সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িকতার অবসান ঘটিয়ে একটি ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করা হবে রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য।

সাম্য, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, সামাজিক মূল্যবোধ, অর্থনৈতিক শোষণ ও সাংস্কৃতিক গোলামী থেকে মুক্তি লাভের জন্যই এদেশের জনসাধারণ দীর্ঘ নয় মাসের মরণপণ মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি নুতন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটিয়েছিল।

কিন্তু যে প্রত্যাশা নিয়ে আমরা পিন্ডির গোলামীর শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম সে প্রত্যাশা আমাদের কাছে অধরাই থেকে গেছে। গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র জনগণের শাসন, শাসক গোষ্ঠীর জবাবদিহিতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও স্বাধীন গণমাধ্যমকে সরকার মোটেই গুরুত্ব না দিয়ে তাদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্যই গণতান্ত্রিক সকল রীতিনীতি উপেক্ষা করছে।

এটা আমাদের স্বাধীনতার জন্য রীতিমতো অশনি সংকেত। মূলত শাসনকার্যে জনগণের সম্পৃক্ততা উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নেয়া মোটেই সম্ভব নয়।

সাধারণ মানুষের জীবনধারণের অধিকার, ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার, সভা-সমিতি করার অধিকার, সম্পত্তি ভোগের অধিকার, ধর্মীয় অধিকার, আইনের অধিকার, মুক্তভাবে কথার বলার অধিকারসহ সামাজিক অধিকারসমূহ আজ অধিকাংশ মানুষের জীবন ডায়েরি থেকে নির্বাসিত।

ভোটাধিকার, প্রার্থী হওয়ার অধিকার, অভিযোগ পেশ করার অধিকার, সমালোচনা করার অধিকার, চাকরি লাভের অধিকার, স্বাধীনভাবে বসবাসের অধিকারসহ রাজনৈতিক অধিকার এখন কারো কারো জন্য নিষিদ্ধ শব্দমালা।

কাজের অধিকার, উপযুক্ত পারিশ্রমিক লাভের অধিকার, অবকাশ যাপনের অধিকার, সংঘ গঠনের অধিকার, রাষ্ট্র প্রদত্ত নির্দেশ প্রতিপালনের অধিকারসমূহ এখন ব্যক্তি বিশেষে প্রযোজ্য।

সন্দেহ নেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে, নানা খাতে এর প্রকাশ। উচ্চবিত্ত ও বিত্তবান শ্রেণির একটি ‘ভাটিকাল’ উন্নতি ঘটেছে, যা পাকিস্তানের কথিত বাইশ পরিবারকে ছাড়িয়ে গেছে।

উন্নয়নের চাবিকাঠি এখন ক্ষমতাসীনদের হাতে। তার সাথে ভাগীদার হিসেবে আছে ভাড়া সিন্ডিকেট। পর্দা-বালিশ-চেয়ার কেলেংকারী চলমান, অবৈধ টেন্ডারবাজি, ব্যাংক জালিয়াতি ও শেয়ার ধস, সিন্ডিকেট, বিলাসী বিদেশ ভ্রমণ, কমিশন বাণিজ্যের প্রসার এ সকল দুর্নীতি-দূষণ-অনৈতিকতা এখন প্রকাশ্য বিষয়। কিন্তু বলা যাবে না।

আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশে সন্ত্রাসও এখন দুর্নীতির মতোই পাহাড় সমান। ওসি প্রদীপদের ব্যাপক দুর্নীতি ঢাকতে শেষ পরিণতি মেজর সিনহার। নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে। অবিচার ও অন্যায়ের প্রতিকারে উদাসীনতা, পুলিশের তদন্তে গাফিলতি ও দীর্ঘসূত্রতা, পুলিশের প্রশ্রয়ে-আশ্রয়ে নীতিহীন ক্যাসিনো পরিচালনা- এসবই এখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। পক্ষান্তরে বিরোধী দলের কোন নিরাপরাধ ব্যক্তিও বাড়িতে ঘুমানোর সুযোগ পায় না।

বিভেদের রাজনীতির কারণে আমরা অনেক পিছিয়েছি। বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্র যখন উন্নতির স্বর্ণ শিখরে অরোহণ করতে সক্ষম হচ্ছে, তখন আমরা নিজেরাই আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছি।

দেশে আজও গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিকশিত হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুস্থধারার রাজনীতি চর্চার সংস্কৃতি এখনও গড়ে ওঠেনি। তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার কথা থাকলেও তথ্যপ্রযুক্তি অধিকার আইন এখন আতঙ্কের নাম। মত প্রকাশেরর স্বাধীনতা এখন নির্ধারিত বলয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এখনো নিশ্চিত হয়নি।

বিদেশী ভাষা ও সংস্কৃতির আধিপত্য আমাদের স্বদেশ জুড়ে। টিভি খুললেই ভিনদেশী চ্যানেলের আধিপত্য। বিনোদন মানেই ভিন্ন ভাষার গান-নাটক-সিনেমা। হিন্দি ও পশ্চিম বাংলার সিরিয়ালে নারীদের মনমস্তিষ্ক আটকে যাবার কারণে পরবর্তী প্রজন্ম তাদের কাছে ঐতিহ্যের কোন শিক্ষা পাচ্ছে না।

মুজিববর্ষ পালিত হলো। উদযাপিত হলো স্বাধীনতার ৫০ বছর। এর মধ্যদিয়ে আমরা সফলতার অনেক খবর পাচ্ছি। কিন্তু বাস্তব অর্থে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো এখনো সোনার হরিণের মতো অধরাই থেকে গেছে।

গণতন্ত্র এখন নির্বাসিত আসামী। নির্বাচনের নামে প্রহসন মঞ্চস্থ হচ্ছে নিয়মিত। দ্রব্যমূল্য এখন আকাশচুম্বি। ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি যে ঢোল পেটানো হচ্ছে সেটি সকলের জন্য প্রযোজ্য নয়। বরং কিছু কছিু মানুষের জন্য দ্রব্যমূল্য কোন সমস্যাই নয়।

টাকা রাখার মতো জায়গা বাংলাদেশেই নাই। তাই তারা অন্যদেশে টাকা জমা করছেন। বেগমপাড়া নির্মাণের মাধ্যমে স্ত্রীদের নামে বিদেশে অর্থপাচারের প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত আছেন অনেকেই।

অন্যদিকে দেশের অধিকাংশ মানুষের জীবন-জীবিকা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। হত্যা, গুম, খুন, ধর্ষণ, হয়রানিমূলক মামলায় অনেকেই মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে বাস্তবায়নে উদারতা দরকার। বিভেদের রাজনীতি থেকে ফিরে এসে ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ার প্রয়াস থাকলেই উন্নয়নের রোডম্যাপে এগিয়ে যাবে আমাদের বাংলাদেশ। আজ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের চিত্রই দেখতে চাই আমরা।

* ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক। প্রফেসর, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *