কারাবন্দি বিএনপি নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু মায়ের জানাজায় অংশ নিতে পারেননি। আদালত প্যারোলে মুক্তির আবেদন মঞ্জুর করলেও সরকার তাকে মায়ের জানাজায় অংশ নিতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। রোববার বিকালে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার গুলিপেচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা নামাজের আগে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মায়ের দাফনে আসতে না দেওয়ার বিষয়ে সরকারকে দায়ী করে যুবদলের সভাপতি বলেন, যারা করছেন যা করছেন তারা থেমে যান, অনেক করেছেন। এলাকার একজন জনপ্রতিনিধি ছিলেন আমার ভাই পিন্টু। সকলেই তাকে চিনেন ভালো মানুষ হিসেবে। আমার ভাইকে মায়ের মরা মুখটাও যারা দেখতে দিল না, তারা মানুষ নয়। তারা কতটা নিষ্ঠুর। ক্ষমতার মোহে তারা অন্ধ হয়ে গেছে। এর বিচার আল্লাহ করবেন একদিন।
এদিকে সালমা বেগমের মৃতদেহ তাদের গ্রামের বাড়ি গোপালপুরের গুলিপেচা এলাকায় আনা হলে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজর নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা একনজর দেখতে ভিড় করেন। জানাজায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম ওবায়দুল হক নাসির, কৃষক দলের সহসভাপতি মাইনুল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক মিঞা মো. রাসেল, যুবদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল করিম সরকার, জেলা উপজেলাসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে গুলিপেচা পারিবারিক কবরস্থানে সালমা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়।
শনিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সালমা খাতুন মারা যান। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর গুলশান আজাদ মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, শরিফুল আলম, ওবায়দুর রহমান চন্দন,আশরাফ উদ্দিন নিজাম,যুবদলের সিনিযর সহসভাপতি মামুন হাসান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সালমা খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
