মাফিয়া সিন্ডিকেটের দ্বন্দ্বের বলি – এমপি আজীম হত্যাকাণ্ড নিয়ে মানবজমিনের শিরোনাম। এতে বলা হয় দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা যে, নির্বাচিত সংসদ সদস্য বিদেশের মাটিতে নৃশংস কায়দায় খুন হয়েছেন। চোরাচালান সিন্ডিকেটের হাতেই খুন হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে এ কারণ সামনে আসলেও এখনো নানা প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। বলা হচ্ছে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের হোতা এমপি আনারের বন্ধু আকতারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনায় এই হত্যকাণ্ড সংঘটিত হয়।
একই প্রসঙ্গে যুগান্তরের শিরোনাম – দেহ ৮০ টুকরো করতে ৫ হাজার টাকা পায় জিহাদ। বলা হয় মাত্র পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে আনোয়ারুল আজিমের দেহ ৮০ টুকরো করে হলুদ মাখিয়ে ভাঙড়ের বাগজোলা খালের পানিতে ফেলে এসেছিল খুলনার কসাই জিহাদ হাওলাদার। দেশে ফিরে গেলে আরও ৫০ হাজার টাকা দেবে বলেও কথা দিয়েছিল খুনের অন্যতম পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশের এক কুখ্যাত দুষ্কৃতকারী আমানুল্লাহ আমান।
কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির হাতে ধরা পড়া কসাই জিহাদ দফায় দফায় জেরায় শনিবার এমনই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের জানিয়েছে। তবে দিনভর ডুবুরি নামিয়ে ও জাল ফেলে ভাঙড়ের বাগজোলা খালে তল্লাশি চালালেও নিহত সংসদ-সদস্যের দেহাংশের সন্ধান মেলেনি।
তৃতীয় চেষ্টায় হত্যা, লাশ পাওয়া যায়নি ১৩ দিনেও – কলকাতায় সংসদ সদস্য খুন নিয়ে প্রথম আলোর শিরোনাম। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে (আনার) এর আগে দুবার খুনের পরিকল্পনা করা হয়। তৃতীয়বারের চেষ্টায় সফল হয় খুনিরা। খুনের আগে আনোয়ারুলকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ডেকে নেওয়া হয় কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেন্সে। সেখানে তাঁর ওপর চেতনানাশক ক্লোরোফর্ম ব্যবহার করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। খুনের ঘটনায় আট দিনের রিমান্ডে থাকা তিন আসামিকে লাশ গুমসহ নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি। তবে গতকাল শনিবার রাত পর্যন্ত মৃতদেহের কোনো অংশ উদ্ধার হয়নি। মরদেহ বা মরদেহের কোনো অংশ পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অপর দিকে কলকাতায় সিআইডির হেফাজতে থাকা জিহাদ হাওলাদারের দেওয়া তথ্যে শুক্রবার জিরানগাছা বাগজোলা খালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি করা হয়। তবে লাশের কোনো চিহ্নও পাওয়া না যাওয়ায় গতকাল জাল ফেলে আবার তল্লাশি করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানতে পারে দুপুরের পর। ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ লিখেছে – Signal 7 issued as cyclone Remal approaches – এতে বলা হয় ভারী বর্ষণের শঙ্কায় মানুষজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে আসা বছরের প্রথম এই ঝড় বন্যাও নিয়ে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংসার চালানোর খরচ আরও বাড়বে –আসন্ন বাজেট নিয়ে যুগান্তরের প্রতিবেদন এটি। বলা হয় মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত মানুষ। এমন প্রেক্ষাপটে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ থাকছে না। উলটো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে রাজস্ব আয় বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তাতে সংসার খরচ আরও বাড়বে।
প্রায় অর্ধশত পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট হার এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। পথের ভিখারি থেকে ধনিকশ্রেণির মানুষকেও ভ্যাটের ভার বইতে হবে। এ তালিকায় আছে মোবাইল ফোন, সিগারেট, আমসত্ত্ব, ফলের জুস, কোমল পানীয়, কার্বোনেটেড বেভারেজ, এনার্জি ড্রিংকস, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী বাল্ব প্রভৃতি। এছাড়া শূন্য শুল্কের শতাধিক পণ্যের ওপর এক শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। এতে ভোক্তা পর্যায়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
চাপ বাড়ছে বিদেশি দেনা পরিশোধের – নয়া দিগন্তের খবরে বলা হচ্ছে বাড়ছে ঋণের সুদ, কমছে রিজার্ভ। ডলার সঙ্কটের কারণে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কাঙ্খিত হারে বকেয়া পরিশোধ করা যাচ্ছে না। বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো তাদের আয় বৈদেশিক মুদ্রায় দেশে নিতে পারছে না। অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বছর শেষে মুনাফা নিতে পারছে না। অন্য দিকে বড় বড় মেগা প্রকল্পগুলোর চলমান ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে।
যেখানে বছর দুয়েক আগেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার, সেখানে এখন ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ নেমে এসেছে ১৩ বিলিয়নের কাছাকাছি। যে পরিমাণ বিদেশি ঋণ নেয়া হচ্ছে, তার বেশির ভাগ অংশই ব্যয় করা হচ্ছে ঋণ ও সুদ পরিশোধে। এমনি পরিস্থিতিতে বৈদেশিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক অবস্থানে যাচ্ছে সরকার। আমদানি ব্যয়ের লাগাম টেনে আনা, রিজার্ভ বাড়ানোর মতো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
ডিসি-ইউএনওর নতুন গাড়ি রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় – দৈনিক সমকালের অন্যতম শিরোনাম এটি। বিস্তারিত বলা হয়েছে দেশে চলছে ডলার সংকট ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি। রাজস্ব সংগ্রহ পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। এমন পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত ব্যয় সাশ্রয়ী নীতির মধ্যেই ডিসি ও ইউএনওর জন্য ২৬১টি বিলাসবহুল নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ৩৮২ কোটি টাকা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক সুরক্ষায় রাজস্ব আয় বৃদ্ধি আগামী বাজেটের প্রধান কৌশল হওয়া উচিত’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এসব গাড়ি কেনা অপচয়। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আগের গাড়িগুলোর কী হলো– প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো গরিব দেশে একজনের কাছে অনেক গাড়ি থাকবে– এটি ভালো কথা নয়।’
শিল্পোৎপাদনে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি – কালের কন্ঠের শিরোনাম এটি। পত্রিকাটি লিখেছে দেশে আশঙ্কাজনক হারে কমছে শিল্পোৎপাদন। এর বিরূপ প্রভাব পড়বে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও সার্বিক অর্থনীতিতে। বিষয়টি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে উদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদদের। বিশ্লেষকরা বলছেন, অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমার পাশাপাশি রপ্তানি পণ্যের সরবরাহও কমেছে। গত সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরে দেশের শিল্পোৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ৬.৬৬ শতাংশে নেমে এসেছে, যা কভিড-১৯ মহামারি শুরুর পর থেকে সর্বনিম্ন। গত বছর এ খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৮.৩৭ শতাংশ।
দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে বিএনপি – দেশ রুপান্তরের খবর এটি। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে টালমাটাল উল্লেখ করে এর জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তিনটি কর্মকাণ্ডকে দায়ী করেছে বিরোধী দল বিএনপি। সেগুলো হলো লুটপাট, অব্যবস্থাপনা এবং অযোগ্যতা। এই তিন কারণ সামনে রেখে বিস্তারিত তথ্যসহ অর্থনীতির ‘দুরবস্থা’ এবং বিভিন্ন খাতের দুর্নীতির ‘প্রকৃত চিত্র’ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।
সরকারকে চাপে ফেলতে এমনটি করা হবে বলে দলটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন। এ জন্য ইতিামধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি মনে করছে, আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতাসীন হলেও রিজার্ভ, ডলার সংকটসহ অর্থনীতির দুরবস্থায় দারুণ চাপে রয়েছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীনদের আরও চাপে ফেলতে প্রতিবেদন আকারে তথ্য-উপাত্ত সভা-সেমিনারসহ নানা প্রক্রিয়ায় মানুষের কাছে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরবে বিএনপি।
53pc rise in allocation for debt servicing – অর্থাৎ নতুন অর্থবছরের বাজেটে ঋণ পরিশোধের জন্য বরাদ্দের হার ৫৩ শতাংশ বাড়ছে, ডেইলি স্টারের শিরোনাম এটি। পত্রিকাটি বলছে আসছে বাজেটে বিদেশি ঋন পরিশোধে সরকারের বরাদ্দের পরিমাণ ৫৭ হাজার কোটিতে গিয়ে দাঁড়াতে পারে, যা দেশের বিদেশি রিজার্ভে আরও চাপ বাড়াবে। বিদেশি ঋণগুলোর সুদ আর টাকার সাথে ডলারের বাড়তি বিনিময়মূল্য সরকারকে বাধ্য করছে এমন পদক্ষেপ নিতে।
খুঁড়তে খুঁড়তে ঢাকা অচল – কালবেলার প্রধান শিরোনাম এটি। বিস্তারিত বলা হচ্ছে ঢাকার কল্যাণপুরের ১৩ নম্বর রাস্তাটি প্রশস্ত করছে উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সেইসঙ্গে চলছে স্যুয়ারেজ লাইনের সংস্কার। দুটি কাজই জনস্বার্থের হলেও উল্টো জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ রাস্তাটি খোঁড়ার পর এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে প্রায় সাত মাস। এলাকার মানুষের চলাচলে তাই দুর্ভোগের শেষ নেই। কোনো যানবাহন নিয়ে ঢোকার উপায় নেই, হাঁটতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
প্রাথমিক শিক্ষকের বেতনে এশিয়ার অন্যতম সর্বনিম্ন বাংলাদেশ – বণিক বার্তার শিরোনাম। এতে বলা হয় লুক্সেমবার্গ, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এবং বেশি বেতনের চাকরিগুলোর একটি। আর বাংলাদেশে এদিক থেকে তা একেবারেই পেছনের সারিতে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতনের পরিমাণের দিক থেকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৫তম আর দক্ষিণ এশিয়ায় সপ্তম। এদেশের প্রাথমিকের শিক্ষকদের গড় বেতন ১৭০ ডলার ২ সেন্ট, যা দেশের মাথাপিছু গড় মাসিক আয়ের তুলনায় প্রায় ৬২ ডলার কম।
বর্তমানে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। এ গ্রেড অনুযায়ী তাদের মূল বেতন ১১ হাজার টাকা এবং বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতাসহ সর্বসাকল্যে পান সাড়ে ১৯ হাজার টাকার মতো। শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে এ স্তরে যোগ্য শিক্ষক নিশ্চিত করা এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা বাড়ানো ও বেতন বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। – বিবিসি বাংলা