নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের কোথাও আইনের শাসন পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২ মার্চ ২০২৪) দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মানুষ যেভাবে বাঁচতে চায়, যেভাবে থাকতে চায়, সেভাবে থাকতে পারছে না। আইনের শাসন বলে যে একটা জিনিস, সেটা আমরা পাচ্ছি না কোথাও। আমার মাঝে মাঝে দুঃখ হয় এটা নিয়ে, সারা দুনিয়া বাংলাদেশ থেকে শিখতে চায়। আমাদের গৌরব বোধ করার কথা। তা না করে আমরা এমন কাজ করছি, যেন একটা পাপের কাজ করে ফেলেছি আমরা।
সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে তিনি বলেন, মানুষ এটা বিশ্বাস করে, তারা এটাতে এগিয়ে এসেছে। দেশ-বিদেশের মানুষ এটাতে বিশ্বাস করছে। যে কারণে তারা উৎসাহিত হয়ে সারা দুনিয়ার থেকে এটা করার জন্য সচেষ্ট হয়েছে। মানুষের মঙ্গলের জন্য আমরা কাজ করি। দেশ-বিদেশের নেতারা এটা জানতে চায়, বুঝতে চায়, কর্মীরা বুঝতে চায়, দেশে প্রয়োগ করতে চায়। সেই জন্য নানা দেশে যাই। এই যে নানা দেশে যেতে হয় এটা নিজের ফুর্তির জন্য যাওয়া তো না, এটা তাদের নেহাত আগ্রহ, যেহেতু তারাও করছেন।
উল্লেখ্য, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। এদিন দুপুর পৌনে ১টার দিকে আদালতে আসেন ড. ইউনূসসহ অন্য আসমিরা। তবে আসামি মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ড. ইউনূস ছাড়া অভিযোগপত্রে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসানকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে কামরুল হাসানের নাম তদন্তের পর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাকি ব্যক্তিদের নাম এজাহারে ছিল। এছাড়া আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়। একইসঙ্গে মামলাটি বিশষ জজ আদালত-৪ এ বদলি করা হয়।
