‘ভোট সুষ্ঠু হয়নি, আমার কাছে প্রমাণ আছে’

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনিয়মের বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎকার নিয়ে দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম ‘ভোট সুষ্ঠু হয়নি, আমার কাছে প্রমাণ আছে’।

এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সাতই জানুয়ারির নির্বাচনের পরই দলটির মধ্যে এক ধরণের অস্থিরতা বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারের কাছ থেকে টাকা পেয়েছে জাতীয় পার্টি। কিন্তু সেই টাকার প্রার্থীদের অনেকেই পান নি। অনেক প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, এই টাকা ভাগ বাটোয়ারা হয়েছে জিএম কাদেরসহ শীর্ষ নেতাদের মধ্যে।

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দাবি করেছেন, এই নির্বাচনে যে ২৬টি আসন নিয়ে সরকারের সাথে জাতীয় পার্টির সমঝোতা হয়েছে সেই আসনগুলো বাদে বাকি কোথাও ভোট সুষ্ঠু হয় নি।

তার কাছে প্রশ্ন ছিলো, নির্বাচনে অংশ নিতে সরকারের পক্ষ থেকে চাপ ছিলো কী না। সেখানে তিনি সরাসরি বলেছেন এ প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে চান না।

নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গার অনিয়মের উদাহরণ টেনে তিনি লালমনিরহাট-৩ আসন সম্পর্কে বলেছেন, এই আসনে নির্বাচনের দিন দুপুর ১২টা থেকে একটার মধ্যে সব কটি ভোটকেন্দ্র দখল হয়েছে। এসব কেন্দ্রে জাতীয় পার্টির এজেন্টরা অবৈধ সিলমারা ঠেকাতে গেলে পুলিশ তাদের বাঁধা দিয়েছে বলেও অভিযোগ জিএম কাদেরের।

সাতই জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটের হার নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান নিয়ে প্রথম আলোর একটি শিরোনাম ভোটের হার নিয়ে জানতে চায় ইইউর বিশেষজ্ঞ দল

এই সংবাদে বলা হয়েছে, সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটের হার দেখানো হয়েছে ৪১ শতাংশের বেশি। ভোটের এই হার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষজ্ঞ দল।

সোমবার তারা এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে সাক্ষাৎ করে। তাদের সাথে ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই)।

খবরে বলা হচ্ছে এই দুটি প্রতিষ্ঠানও বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। এবারের নির্বাচনের হার নিয়ে বিভ্রান্তি ছিলো ভোটের দিন থেকেই।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রথমে ভোটের হার জানিয়েছিলো ২৮ শতাংশের কথা। পরে আবার সেটি সংশোধন করে ৪০ শতাংশের কথা বলা হয়েছে, প্রশ্ন সেই বিষয়টি নিয়ে।

ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান দুটি মূলত ভোটের এই বিষয়গুলোর খুঁটিনাটি নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে। এসব তথ্য উপাত্ত তাদের কাছে তুলে ধরেছে বলেও জানানো হয় এই খবরে।

নির্বাচনে পর বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ব্যর্থ- ‘বিএনপিতে তবুও আশা’

এই সংবাদে বলা হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে টানা দুই বছর আন্দোলনের মাঠে থাকা বিএনপি কূটনীতির রাজনীতিতে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিলো বলে দলটির নেতাকর্মীদের অনেকের ধারণা করেছিলো। পশ্চিমা শক্তিগুলোর সরকারের ওপর চাপের বিষয়টি নিয়েও উৎসাহী ছিলো নেতাকর্মীরা।

কিন্তু শেষ বেলায় এসে ভারত ও চীনকে আস্থায় আনতে আনা যায় নি বলেও মনে করেন দলটির নেতাকর্মীরা।

এই খবরে বলা হচ্ছে, নেতাকর্মীদের একটা অংশ এখনো মনে করছে, পশ্চিমা বিশ্ব এখনো তাদের অবস্থান বদলায়নি। তাই নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে তারা সরকারকে বাধ্য করার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের শিরোনাম-এমপি হতে দৌড়ঝাঁপ নেত্রী-অভিনেত্রীদের।

যেখানে বলা হচ্ছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত নারী আসনের ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে শিগগিরই। আগামী সপ্তাহে এই ভোটের তফসিল ঘোষণার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন।

এই খবরে বলা হচ্ছে, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে তদবির চালাচ্ছেন নারী প্রার্থীরা। দলীয় নেত্রীরা তো আছেনই এর বাইরেও সংস্কৃতি অঙ্গনের তারকা শিল্পী ও অভিনেত্রীরাও চেষ্টা চালাচ্ছেন।

শুধু নেত্রী-অভিনেত্রী নয় শিক্ষক, উদ্যোক্তা নয়, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নারী নেত্রীরাও এবার এমপি হতে বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা তদবির চালাচ্ছেন। এই চেষ্টার অংশ হিসেবে যারা এমপি হতে চান তারা যোগ দিচ্ছেন গণভবনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।

ধরনা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীদের কাছেও। দলে তাদের ভূমিকার কথাও কেন্দ্রীয় নেতাদের জানাচ্ছেন অনেকে।

তবে দলটির নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে এখানে তদবির লবিং কোন কাজে আসবে না। এ নিয়ে তেমন চমকেরও কিছু নেই। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই নির্বাচিত হবেন সংসদ সদস্য।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শরিক জোটের কয়েকজন শীর্ষ নেতার পরাজয়ের পর জোটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সমকালের আরেকটি শিরোনাম নির্বাচনে হার থেকে ১৪ দলে টানাপোড়েন

যেখানে বলা হচ্ছে, ২০০৮ থেকে ২০১৮ এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে তিনটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনের সময় বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে শক্তিশালী জোট হিসেবে ভাবা হতো ১৪ দলীয় জোটকে। এই জোটের অন্যতম শরীক ছিলো জাসদ ও ওয়ার্কার্স পাটি।

এই নির্বাচনে জোটের চার শরিক দলকে ছয়টি আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। খবরে বলা হচ্ছে, দ্বাদশ নির্বাচনে জোটগত নির্বাচনী রাজনীতি হোঁচট খেয়েছে আওয়ামী লীগের কৌশলগত নির্বাচনী রাজনীতির কারণে।

এই অবস্থায় জোটের শরিকরা মনে করছে, নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দেখাতে শেষ পর্যন্ত দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঠে রেখে দিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীদের অনেকে শরিক দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় তাদের পরাজয় হয়েছে।

এ নিয়ে বেশ ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে ১৪ দলের শরীক জোটে।

নতুন সরকারের প্রথম মন্ত্রী সভার বৈঠক নিয়ে ডেইলি স্টারের শিরোনাম I want to see results of govt measures: PM. অর্থাৎ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সরকারের নেয়া পদক্ষেপের ফলাফল দেখতে চান তিনি।

খবরে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিত্যপন্য দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকে রমজানকে ঘিরে দ্রব্যমূল্য যাতে না বাড়ে সেটি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন।

এছাড়াও কেনাকাটায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং সুযোগে মধ্যস্বত্তভোগীরা যাতে সুবিধা আদায় না করতে পারে তা খেয়াল রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাগেরহাটে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার গ্রেফতার নিয়ে ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজের শিরোনাম BCL Leader arrested on rape charge.

এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় দুই তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে আটক হয়েছেন ফকিরহাট সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাকিল সরদার।

বাগেরহাটের দুই তরুণী বেড়াতে গিয়ে ফেরার পথে রাতে তাদেরকে ফকিরহাট উপজেলার সিংগাতি এলাকায় শাকিল ও তার বন্ধু মেহেদী পথরোধ করেন। ঐ দুই তরুণীর সাথে তাদের দুই বন্ধুকে হুমকি ও মারধর করা হয়। ছিনিয়ে নেয়া হয় টাকা।

এই ঘটনায় শাকিলকে আটক করা হলেও তার সহযোগি মেহেদী দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অন্যান্য খবর

চালের বাজারে দাম বৃদ্ধি ও অস্থিরতা নিয়ে ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম অস্থির চালের বাজার

এই রিপোর্টে বলা হচ্ছে, হঠাৎই চালের বাজারে অস্থিরতা বেড়েছে। খুচরা বাজারে সব ধরণের চালের দাম কেজিতে দুই থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এ নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

অবৈধ মজুতদারির কারণে এমন হচ্ছে দাবি করে মিল মালিকরা বলছেন, অবৈধ ধান ও চালের মজুতের কারণে দাম বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি পড়ছে ভোক্তাদের ওপর। ভরা মৌসুমে ধানের দাম বেশি না থাকলেও এখন মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এর সুফল পাচ্ছেন না কৃষক।

সংবাদে এর অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটা কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে ধানের দামকে।

শীতের তীব্রতা নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম বাড়ছে তীব্র শীতের এলাকা। যেখানে বলা হচ্ছে তীব্র কুয়াশার কারণে দেশের শীতের এলাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

খবরে বলা হচ্ছে, এক সময় জানুয়ারিতে দেশের উত্তরাঞ্চল ও সিলেট বিভাগে মূলত তীব্র শীত থাকতো। এই সময়ে শীত কম থাকতো উপকূলীয় এলাকায়।

কিন্ত এখন গত এক সপ্তাহে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যে শীত বয়ে যাচ্ছে, তা এক সপ্তাহ ধরে উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু হয়ে মধ্যাঞ্চল দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত তীব্র শীত থাকছে।

রিপোর্টে বলা হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার বড় অংশজুড়ে মাসের বেশিরভাগ সময় ঘন কিংবা মাঝারি কুয়াশা দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমিয়ে দিচ্ছে। – বিবিসি বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *