ভোটের আগেই বিজয়ী আওয়ামী লীগ, যেভাবে হয়েছিল পাঁচই জানুয়ারির নির্বাচন

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

মুকিমুল আহসান বিবিসি

বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে যতগুলো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে ২০১৪ সালের পাঁচই জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্যতম। কেননা এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আগেই যেমন বিজয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আওয়ামী লীগের, তেমনি নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা বা প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছিল দেশজুড়ে।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আয়োজিত এই নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অর্ধেকের বেশি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করা হয়। আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক হিসেবে বর্ণনা করে হয়েছে।

যদিও সেটি নিয়ে সমালোচনা ও বিতর্ক আছে। অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি মনে করে, ‘আদালতের রায়কে ব্যবহার করে’ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।

২০১৪ সালের পাঁচই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৪৭টি আসনে।

নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করেন, নির্বাচনের আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত হওয়ার পরও পাঁচই জানুয়ারির ভোটে ব্যাপক সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।

পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষক আব্দুল আলীম বিবিসি বাংলার কাছে ওই নির্বাচনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলছিলেন, “একদিকে যেমন বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছিল না, অন্যদিকে ১৫৩ আসনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর বাকি যে আসনগুলোতে ভোট হয়েছিল সেটিও ছিল অনেকটা পাতানো”।

ভোট বয়কট করে তা প্রতিহতের ঘোষণাও দিয়েছিল তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট। ভোটের পরদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, শুধুমাত্র নির্বাচনের দিনই দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতায় ২১ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

ভোটের পর নির্বাচন বাতিলের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা টানা অবরোধ ও সহিংস পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে পড়ে দেশ।

ওই নির্বাচনের পর এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইলেক্টোরাল ইন্টেগ্রিটি প্রজেক্ট-ইআইপি নামে একটি বৈশ্বিক সংস্থা। যারা ওই নির্বাচনকে ‘ব্যর্থ নির্বাচন’ হিসেবে চিহ্নিত করে বিবৃতি প্রকাশ করেছিল।

নির্বাচনের পরদিন ছয়ই জানুয়ারি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের খবরেও এই নির্বাচনকে ‘জাল ভোট ও কলঙ্কিত’ নির্বাচন হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।

একতরফা ভোটের বড় উদাহরণ

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর বিএনপি এবং তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য ২০১২ সাল থেকে আন্দোলন করছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাদের সিদ্ধান্তে অবিচল ছিল। বিরোধীদের দাবি উপেক্ষা করেই নির্বাচনের দিকে এগুতে থাকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

২০১৪ সালের পাঁচই জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে ২০১৩ সালের নভেম্বরে দশম জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদের নির্বাচন কমিশন। তফসিল প্রত্যাখ্যান করে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ ‘বিএনপি সময়-অসময়’ নামে একটি বই লিখেছেন। তিনি তার বইয়ে লিখেন- “৫ই জানুয়ারির নির্বাচন আয়োজন করতে আওয়ামী লীগ সরকারকে ভারত সর্বোচ্চ কূটনৈতিক সমর্থন দেয়। নির্বাচনের আগে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং ঢাকা সফর করেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে দূতিয়ালি করেন।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর রাজনৈতিক উত্তেজনা সংকটের দিকে মোড় নিচ্ছিল। ২০১৩ সালের ২৬শে অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোন করে বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

সেই টেলিফোন আলাপ ফাঁস করা হয়েছিল এবং তা সে সময় নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। তবে দুই নেত্রীর মধ্যে সেই সংলাপ হয়নি। তখন বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে হরতাল কর্মসূচী পালন করছিল।

পরের মাসেই তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে সময় নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ছিল ৪০টি। এর মধ্যে মাত্র ১২টি রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নেয়। আর ভোট বয়কট করে বিএনপি-জামায়াতসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল।

নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলীম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “যেহেতু নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নেয় নি, ফলে এটি ছিল সম্পূর্ণ এক তরফা নির্বাচন”।

ভোটের আগেই ক্ষমতা নিশ্চিত

পাঁচই জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অন্যতম আলোচিত চরিত্র ছিলেন তৎকালীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। বিএনপি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণার পর এ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিল এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে রংপুর-৩, লালমনিরহাট-১ ও ঢাকা-১৭ তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। মনোনয়ন দাখিলের একদিন পর সংবাদ সম্মেলনে মি. এরশাদ ঘোষণা দেন, সব দল নির্বাচনে না গেলে জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে যাবে না।

তিনি সেদিন তার দলের নেতাদের মধ্যে যারা মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়। তবে এরশাদের রংপুরের আসনটি বাদে বাকি দুইটি আসনের মনোনয়নপত্র ‘বাতিল’ হয়ে যায়।

নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলীম বলেন, “এটা ছিল ওই ভোটের কৌশল। ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগ জোটের প্রার্থী বিএনএফকে বিজয়ী করতে এরশাদ সাহেবের মনোনয়নপত্র অজানা কারণে বাতিল হয়ে যায়। আবার বৈধ হয় রংপুরের আসনটির মনোনয়ন”।

পাঁচই জানুয়ারির ভোটের পর এই নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজন। সেই প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন জোট ও তাদের শরিক দলের প্রার্থীরা ভোটের আগেই ৩০০ আসনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। অপরদিকে ১৪৭ আসনে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতায় প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৯০।

ওই প্রতিবেদনেই বলা হয়, এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ১ হাজার ১০৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে অনেকের মনোনয়ন জোর করে প্রত্যাহার করানো হয়। যে কারণে অর্ধেকের বেশি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যান আওয়ামী লীগ ও তার শরীক জোটের প্রার্থীরা।

মি. আলীম বলছিলেন, “এটা করাই হয়েছিল পরিকল্পিতভাবে। যাতে ভোটের আগেই অন্তত ১৫১ আসন নিশ্চিত করা যায়। সেটি করতে গিয়ে কোন প্রার্থীকে চাপ দিয়ে ভোট থেকে সরানো হয়, আবার কোনো কোনো প্রার্থীকে টাকা পয়সা দিয়ে নেগোশিয়েট করেও বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল”।

ভোটার উপস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন

মূলত ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীর জয়ের পর আওয়ামী লীগের ক্ষমতাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। পাঁচই জানুয়ারি ভোট হয়েছিল ১৪৭টি আসনে। নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, যে ১৪৭টি আসনে ভোট হয়েছিল তাতে ভোট পড়েছিল ১ কোটি ৭১ লাখ ২৯ হাজার। যা মোট ভোটের ৩৯ দশমিক ০৮ শতাংশ।

এই ভোট পর্যবেক্ষণ করেছিল পর্যবেক্ষকদের সমন্বয়ক সংস্থা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ বা ইডাব্লিউজি। নির্বাচন কমিশন এই সংখ্যা ৩৯ শতাংশের বেশি দেখালেও ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের মতে, এই নির্বাচনে ভোটের হার ছিল- ৩০ শতাংশ। একতরফা এই নির্বাচনে একদিকে যেমন ভোটার উপস্থিতি কম এবং এটি নিয়ে যেমন নানা প্রশ্ন ছিল, অন্যদিকে জাল ভোটের খবর পাওয়া গিয়েছিল বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে।

নির্বাচনের পরের দিন অর্থাৎ ২০১৪ সালের ছয়ই জানুয়ারি দৈনিক প্রথম আলোর খবরে বলা হয়, ওই নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন আসনে ৩৭টি ভোটকেন্দ্রে কোন ভোটই পড়েনি। এছাড়া অনেক ভোটকেন্দ্রে ৫০টির কমও ভোট পড়েছিল। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তাদের বক্তব্য হচ্ছে- ওই নির্বাচনে কোথাও কোথাও কেন্দ্রের বাইরে দীর্ঘ লাইন থাকলেও কক্ষের ভেতরে তারা কোনো ভোটার দেখতে পাননি।

ওই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য আব্দুল আলীম। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “কেন্দ্রের বাইরে কোথাও কোথাও লম্বা লাইনে অনেককে দাড়িয়ে থাকতে দেখছিলাম। কিন্তু কক্ষে ঢুকে দেখেছি সেখানে কোন ভোটার যাচ্ছে না, ভোটও দিচ্ছে না”।

তার মতে, ভোটার উপস্থিতি নিয়ে নির্বাচন নির্বাচন কমিশন যে ৩৯ শতাংশের হিসাব দেখিয়েছে সেটি কোনভাবেই বিশ্বাসযোগ্য ছিল না।

সুজনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্স বা ফেমা এবং হিউম্যান রাইটস কমিশনের মতে ওই নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ১০ শতাংশের মতো। যদিও নির্বাচন কমিশন এই দাবি নাকচ করেছিল। আব্দুল আলীম বলছিলেন, যেহেতু নির্বাচনে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল অংশ নেয় নি, সে কারণে এই নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য বলার কোন কারণ ছিল না।

সহিংসতা-প্রাণহানি, রাজনৈতিক অস্থিরতা

শুরু থেকে নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনে নেমেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। যে কারণে এই নির্বাচন ঘিরে ভোটের আগে থেকে সহিংসতা দেখা গিয়েছিল। নির্বাচনের ১০দিন আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল ১৫দিনের জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের উদ্দেশ্য ছিল ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন।

নির্বাচন-পূর্ব সহিংসতার দিক থেকে এ নির্বাচন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। তৎকালীন আওয়ামী সরকার বিরোধীদের নির্বাচন প্রতিহত করার কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত নিহত হন ১২৩ জন।

নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছিল, ততই সহিংসতাও বাড়তে থাকে। নির্বাচনের আগের দিন ৩৮টি জেলায় প্রায় দেড়শ’র মতো কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় ব্যালট পেপার ও নির্বাচন সরঞ্জাম পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে।

ভোটের দিন অর্থাৎ পাঁচই জানুয়ারি ‘দৈনিক প্রথম আলো’র খবরে বলা হয়, ভোটের আগের দিন সারাদেশের অন্তত ১১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ভোটের আগের রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের একটি কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।

পাঁচই জানুয়ারি নির্বাচনের দিন সারা দেশে সহিংসতায় অন্তত ২০জন নিহত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয় পত্রিকাগুলোয়। পাঁচই জানুয়ারির নির্বাচনের পর সারাদেশে অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। ওই অবরোধে স্থবির হয়ে পড়ে সারাদেশ। ঢাকার সাথে অনেক জায়গার যোগাযোগও প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

নির্বাচনের পরদিন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে সমঝোতায় আসুন। যদিও ভোটের পরদিন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সহিংসতা পরিহার করে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য বিএনপিকে ধৈর্য ধরতে হবে।

নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলীম বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “পাঁচই জানুয়ারির নির্বাচনে যে সহিংসতা ছিল, তা বাংলাদেশের অন্য কোন নির্বাচনে হয় নাই। বৈশ্বিক যেই প্রতিষ্ঠান এই নির্বাচন নিয়ে গবেষণা করেছে, তারাও বলেছে, নির্বাচনটি ছিল একটি ব্যর্থ নির্বাচন”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *