রূপসা সেনগুপ্ত বিবিসি
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাভাষীদের ‘হেনস্তা’ করা হচ্ছে বলে আবারো অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। “কেউ বাংলায় কথা বললে তিনি বাংলাদেশি হয়ে যান না” এমন মন্তব্যও করেছেন তিনি।
দিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনিতে বাংলাভাষী পরিবারগুলোকে বাংলায় কথা বলার কারণে নিশানা করা হচ্ছে, তাদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা দেওয়া হচ্ছে, জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবার মতো মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাদের জোর করে ওই অঞ্চল থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে–– বৃহস্পতিবার দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে এমন একাধিক অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী লিখেছেন, “নয়াদিল্লির বসন্তকুঞ্জের থেকে উঠে আসা একের পর এক ভয়ঙ্কর হেনস্তার ঘটনার খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও বিচলিত। এই বসতি মূলত সেই বাংলাভাষী মানুষেরা তৈরি করেছেন, যারা দিল্লিকে গঠন করার অসংগঠিত শ্রমশক্তির গুরুত্বপূর্ণ এক অংশ।”
ওই কলোনির বাসিন্দাদের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য অংশ বাঙালি মুসলমান যারা শ্রমিক হিসেবে দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চলে কাজ করেন।
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষত বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোয় বাংলা বলার কারণে ‘বাংলাদেশি’ তকমা পেতে হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
ওড়িশায় কাজের জন্য যাওয়া বাঙালি শ্রমিকদের একই কারণে আটক করে রাখা হয়েছে বলেও সে রাজ্যে ক্ষময়াসীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি।
এদিকে বিজেপির দাবি, অনুপ্রবেশ রুখতে এবং নিরাপত্তার জন্যই দেশজুড়ে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
জয়হিন্দ কলোনির প্রসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের যুক্তি, আদালতের নির্দেশ মেনেই অবৈধ বসতি উচ্ছেদের কাজ চলছে। কাউকে ইচ্ছে করে নিশানা করা হচ্ছে না।
বিজেপির অমিত মালব্য বলেছেন, “যে বসতি নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটা অবৈধভাবে দখল করা। আদালতের নির্দেশ মেনে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বাকি অভিযোগের একটাও সঠিক নয়।”
‘নিজের দেশেই বাংলাভাষীদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হচ্ছে’
জয় হিন্দ ক্যাম্পের প্রসঙ্গে দিল্লির সরকারকে নিশানা করে মমতা লিখেছেন, “শোনা যাচ্ছে, বিজেপি পরিচালিত সরকারের নির্দেশে তাদের জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিন কয়েক আগে হঠাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে এবং ইলেকট্রিসিটি মিটার তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
“বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, তারা নিজেদের টাকায় যে প্রাইভেট জলের ট্যাংকারের ব্যবস্থা করেছিলেন, তা দিল্লি পুলিশ এবং আরএএফ-এর সহায়তায় আটকে দেওয়া হয়েছে।”
বিজেপিকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, “এই মুহূর্তে একপ্রকার জবরদস্তি উচ্ছেদ চলছে, যদিও এই বিষয়ে গত ডিসেম্বরেও একটা অনাকাঙ্ক্ষিত দিল্লি পুলিশের হস্তক্ষেপের পর আদালতে এই মামলা বিচারাধীন রয়েছে।”
“আশ্রয়, জল ও বিদ্যুৎ, এই মৌলিক অধিকারগুলো যদি এইভাবে পদদলিত করা হয়, তাহলে আমরা কীভাবে নিজেদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বলে দাবি করব?”
পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি,পশ্চিমবঙ্গে অন্য রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকরা সম্মানের সঙ্গে থাকেন।
তিনি উল্লেখ করেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে ১.৫ কোটিরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন, যারা সম্মানের সঙ্গে বসবাস করেন। কিন্তু বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে সেই কথা জোরের সঙ্গে বলা যায় না, যেখানে বাংলাভাষীদের নিজের দেশেই অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হচ্ছে।”
“কেউ বাংলায় কথা বললে, তিনি বাংলাদেশি হয়ে যান না। ভাষা-নির্বিশেষে তারা ভারতেরই নাগরিক, যেকোনো ভারতীয় নাগরিকের মতোই সমান অধিকারসম্পন্ন।”
পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যে ধরপাকড়ের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন তিনি।
মমতা ব্যানার্জী বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে বাঙালিদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার যেসব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, এবার সেই বাংলা-বিরোধী অপচেষ্টাকে দেশের অন্যান্য প্রান্তে শুরু করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। গুজরাত, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা ও মধ্যপ্রদেশ থেকেও বাংলাভাষীদের উপর নিপীড়ন করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এখন সেই বিদ্বেষের ছায়া এসে পড়েছে দেশের রাজধানীতেও।”
বিজেপির বক্তব্য
বিজেপি প্রথম থেকেই দাবি করেছে, অন্যান্য রাজ্য অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার বিরোধিতা করছে। তাদের অভিযোগ, তৃণমূলের এই আচরণের কারণ ভোট ব্যাংক।
বিজেপির অমিত মালব্য সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “যে জাল আধার কার্ড এবং রেশন কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশিরা এখানে থাকছে তার বেশিরভাগই উত্তর পরগনায় জারি করা হয়েছে।”
তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উদ্দেশে বলেছেন, “বাংলাকে অপমান করা বন্ধ করুন। অবৈধ বিষয়কে রক্ষা করা বন্ধ করুন।”
অন্যদিকে, দিল্লির জয় হিন্দ কলোনির প্রসঙ্গে তার যুক্তি, ওই বসতি অবৈধ। তার কথায়, “যে বসতি নিয়ে কথা হচ্ছে সেটা অবৈধভাবে দখল করা। সেখানে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা আইন মেনেই হয়েছে।”
“এটা কিন্তু কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয় যে মাত্র কয়েকদিন আগে এই এলাকা থেকেই ২৬ জন অবৈধ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে কী বলবেন?” তিনি যোগ করেন।
পাশাপাশি বিজেপির যুক্তি, তামিলনাড়ু এবং কেরালার সরকারও অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করেছে, যদিও তারা বিজেপি পরিচালিত নয়। তৃণমূল ইচ্ছে করে এই অভিযানে বাধা দিচ্ছে।
অনুরূপ ঘটনা
গত কয়েক মাসে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, ওড়িশাসহ একাধিক রাজ্যে অবৈধ ‘বাংলাদেশি’ দাবি করে বহু বাংলাভাষীকে আটক করা হয়েছে।
এদের কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখার পর পরিচয় যাচাই করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কাউকে আবার ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে জোর করে ডিপোর্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে একাধিক মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
এরমধ্যে অন্যতম হলো দিল্লির একটা ঘটনা–– যেখানে রাজধানীতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত বীরভূমের কয়েকজন বাসিন্দাকে অবৈধ ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক করার হয়। জুন মাসে আটকের পর সে মাসেই তাদের জোর করে ডিপোর্ট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। মামলার আবেদনে বলা হয়েছিল ‘পরিচয় যাচাই অভিযানের’ সময় দিল্লি পুলিশ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত দুই ব্যক্তির পরিবারকে তুলে নিয়ে যায়। তার মধ্যে নাবালকও আছে।
মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
অন্যদিকে, ওড়িশায় অবৈধ ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে যে শ্রমিকদের আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল, সে নিয়েও মামলা হয়েছে। ধৃতদের কিসের ভিত্তিতে রাখা হয়েছে, কোথায় আছেন তারা-এমন একাধিক বিষয়ে জানতে চেয়ে সে রাজ্যের কাছ থেকেও রিপোর্ট চেয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, ভারত থেকে ‘পুশইনের’ বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বাংলাদেশ সরকারও।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
গত জানুয়ারি মাসে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দেন। দিল্লিতে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটা ঘটনায় অভিযুক্তরা অবৈধ বাংলাদেশি বা রোহিঙ্গা বলে দাবি করে পুলিশ। তারপরই এমন নির্দেশ দেন ভিকে সাক্সেনা।
তার আগে আম আদমি পার্টির ক্ষমতায় থাকাকালীন দিল্লির বিভিন্ন এলাকার বস্তি যা চলতি কথায় ‘যুগ্গি ঝোপড়ি’ নামে পরিচিত, সেখানে অবৈধ ‘বাংলাদেশি’ বা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী রয়েছেন কি না তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তরফে অভিযান চালানো হয়েছে। পরিচয়পত্রসহ সংশ্লিষ্ট নথি দেখে চিহ্নিতকরণের কাজও চলেছে।
দিল্লি নির্বাচনের ঠিক আগে আগে আম আদমি পার্টির এই ‘তৎপরতা’ নিয়ে সমালোচনাও করেছিল বিভিন্ন মহল।
দিল্লিতে বিজেপি সরকার আসার পর, তাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।
জঙ্গপুরার মাদ্রাসি ক্যাম্প, কালকাজির ভূমিহীন ক্যাম্প এবং আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় গত কয়েক মাস ধরে ‘বুলডোজার অভিযান’ চালানোর অভিযোগ তুলেছে তারা।
এই প্রসঙ্গে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির গবেষক ও সাংবাদিক স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, “দিল্লিতে ধরপাকড়ের বিষয়টা আপ হয়তো কিছুটা বিজেপির চাপে পড়েই করেছিল।”
“এখন দেশজুড়ে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এরমধ্যে গুজরাত, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ রয়েছে। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলো বেশি সক্রিয়। তারা দেখাতে চেষ্টা করেছে যে জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ।”
প্রথম দিকে তৃণমূল এই নিয়ে খুব একটা সরব ছিল না বলেই মনে করেন তিনি। তার কথায়, “প্রশাসন সব সময় চেষ্টা করে গিয়েছে যাতে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের সংশ্লিষ্ট নথি কীভাবে পৌঁছে দেওয়া যায় বা তাদের ফিরিয়ে আনা যায়। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে খুব একটা সরব হয়নি। এই পরিস্থিতিতে দু’-একবার ‘বাঙালি আক্রান্ত’ বলা ছাড়া খুব বেশি হইচই করেনি তৃণমূল।”
এর কারণ ‘রাজনৈতিক’ বলেই মনে করেন তিনি।
তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, “বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে সেলেক্টিভ টার্গেট করা হচ্ছে। মূলত বাংলাভাষী মুসলমানদের নিশানা করা হয়েছে। হিন্দু হলে নথি পরীক্ষা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
“প্রথমদিকে, তৃণমূল একটু দ্বন্দ্বে ছিল পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তর হিন্দু ভোটদাতাদের কাছে বিষয়টা কতটা রেসোনেট করবে, কারণ আক্রান্তরা মূলত মুসলিম।”
এরই মাঝে, নির্বাচন কমিশন ‘স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন’ বা বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কথা জানিয়েছে। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা আনার পাশাপাশি যোগ্য ভোটারদের তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে জোর দিয়েছে কমিশন।
মি. ভট্টাচার্য ব্যাখ্যা করেছেন, “নির্বাচন কমিশন স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন-এর কথা বলায় তৃণমূলের গলার জোর একটু বেড়েছে। কারণ এটা বাস্তবায়িত হলে শুধু মুসলিম ভোটার নয়, হিন্দু ভোটাররাও সমস্যায় পড়বে।”
“তৃণমূল জানে নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে সেটা বিজেপির জন্যও সুবিধার হবে না। তাই এখন তাদের গলার জোর বেড়েছে এবং তারা বাঙালিদের হেনস্তা হতে হচ্ছে এই বিষয়টাকে বেশি করে হাইলাইট করছে।”
মি. ভট্টাচার্য মনে করেন ভিন্ন রাজ্যে গিয়ে সমস্যায় পড়া বাঙালি শ্রমিকদের সাহায্য করে ‘ত্রাতার’ ভূমিকা পালন করতে যেমন সচেষ্ট তৃণমূল সরকার, তেমনই ২০২৬ সালে ভোটের কথাও তাদের মাথায় রয়েছে।
তিনি ব্যাখ্যা করেছে, “এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে যদি ২০২৬-এর ভোটের কথা ভাবা যায় তাহলে- বিজেপির হিন্দু খতরে মে হ্যাঁয় বনাম তৃণমূলের বাঙালি বিপন্ন হবে- এই দু’ইয়ের ওপরেই রাজ্যের নির্বাচন দাঁড়িয়ে।”
“আসলে তৃণমূলের রাজনৈতিক লক্ষ্যটা বড়। কিন্তু ভুক্তভুগীদের বাঁচানোটাও তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই বিজেপির হাত থেকে বাঁচাবে এই ভাবনা থেকেই ২০২১ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। তাই বিভিন্ন রাজ্যে বাংলা বললে যে ধরপাকড় চলছে, সেটা থেকে না বাঁচাতে পারলে তৃণমূলকেও সমস্যায় পড়তে হবে এটা তারা জানে।”
বিষয়টাকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৌম্য গাঙ্গুলি।
তার কথায়, “অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে যে অভিযান চলছে, তার প্রভাব এখানে স্পষ্ট। তবে বাংলা বললেই বাংলাদেশি তকমা দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। বাঙালিবিরোধী প্রচারের অভিযোগও নতুন নয়। তবে একমাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্য ছাড়াও অন্য রাজ্যেও এমন ঘটনা ঘটে।।”
“বাঙালিদের যে অকারণে হেনস্তা করা হচ্ছে এটা যেমন সত্যি, তেমনই অনুপ্রবেশের ঘটনাও সত্যি। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এই দু’টোকে আলাদা করার কাজটা সত্যিই কঠিন হয়ে পড়েছে।”