সাঈদ চৌধুরী
শ্রপশায়ারে মাটির নিচে বিরাট একটি সোনার টুকরো (গোল্ড নাগেট) পাওয়া গেছে। ৬৪ দশমিক ৮ গ্রাম ওজনের গোল্ড নাগেট এদেশে এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে বড় স্বর্ণ খণ্ড বলে জানা গেছে। এ নিয়ে স্থানীয় মানু্ষ বেশ কৌতুহলী হয়ে ওঠেছেন। এলাকাবাসী আশা করেন, এই অঞ্চলে হয়ত আরো মূল্যবান সোনা রয়েছে।
৬৭ বছর বয়সী রিচার্ড ব্রোক স্বর্ণ খন্ডটি পেয়েছেন। গত ৩৫ বছর ধরে তিনি ধাতব বস্তু শনাক্তের কাজ করেন। তিনি থাকেন সমারসেট। গত মে মাসে নিজের বাড়ি থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা দূরত্বে গুপ্তধন অনুসন্ধান করছিলেন।
শ্রপশায়ার হিলস এলাকায় কৃষিজমিতে ধাতব বস্তু খোঁড়াখুঁড়ির মাত্র কুড়ি মিনিটের মধ্যে তিনি মূল্যবান স্বর্ণ খন্ডটি পেয়ে যান। সেখানে গুপ্তধন খোঁজায় আরো অনেকে অংশ নিয়েছিলেন। যাদের কাছে অত্যাধুনিক যন্ত্র ছিল। রিচার্ড ব্রোক একটি পুরানো যন্ত্র নিয়ে গিয়েছিলেন। সেটির ডিসপ্লে ঘোলা ছিল। তবুও ভাগ্যক্রমে তিনি সফল হয়েছেন।
রিচার্ড ব্রোক কয়েকটি মরিচা ধরা খুঁটি শনাক্ত করে ধাতব বস্তু খোঁজা-খুঁজি শুরু করেন। মাত্র ২০ মিনিটের মাথায় মাটির নিচ থেকে একটি সোনার টুকরো বের হয়ে আসে। এটি মাটির নিচে প্রায় ১৩-১৫ সেন্টিমিটার গভীরে ছিল।
খনন করার সময় বেশ আক্ষরিক অর্থেই সোনাকে আঘাত করেছিলেন ব্রোক। উদ্ধার হওয়া সোনা খণ্ডটির ওজন করে দেখা যায় ৬৪ দশমিক ৮ গ্রাম। এর নাম দেওয়া হয়েছে হিরোস নাগেট। ইংল্যান্ডে আগের সবচেয়ে বড় আবিষ্কারটির ওজন ছিল ৫৪ গ্রাম। রিচার্ড ব্রোক মনে করছেন এটি কমপক্ষে ৩০ হাজার পাউন্ড মূল্যে বিক্রি হবে।
ব্রোক বলেন, আমি দেরিতে হাজির হয়েছিলাম। সেখানে এই গুপ্তধন-অনুসন্ধান অভিযানটি সারাদিন ধরে চলার কথা ছিল। এছাড়া যে আমি ধাতু সনাক্তকারী কিট ব্যবহার করেছি তা ছিল বেশ পুরাতন ও ত্রুটিযুক্ত। কোনোরকমে ঠেলেঠুলে কাজ সারানো যায়। সেখানে মাত্র কয়েক মিনিটে সফলতা লাভ করি।
তিনি বলেন, এটা সত্য যে, কী যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, তা বড় বিষয় নয়। মাটির ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় সতর্ক দৃষ্টি দিলে অনেক সময় বড় কিছু মিলে যেতে পারে।
শ্রপশায়ারে রেললাইন সহ এলাকাটিতে পুরানো ট্র্যাক ইত্যাদির যাতায়াত ছিল। ওয়েলস থেকে এ পথে পাথর সরবরাহ হত। এই এলাকাতে সোনা থাকার সম্ভাবনা আছে বলে লোকমুখে পরিচিত। ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডে এ ধরনের সোনার নাগেট রয়েছে। ছবি: শ্রপশায়ার স্টার