‘ব্যারিকেড ভেঙেই বাংলা ব্লকেড’

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

শুক্রবার প্রকাশিত প্রায় সব জাতীয় পত্রিকারই প্রথম পাতার মূল শিরোনাম হয়েছে কোটা আন্দোলন।
‘ব্যারিকেড ভেঙেই বাংলা ব্লকেড’- আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অন্তত চার সপ্তাহ আর পথে নামতে দেবে না—গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেই এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। সরকারের মন্ত্রীরাও জানিয়েছিলেন কঠোর মনোভাব। সে অনুযায়ী, পুলিশ দিয়েছিল বড় বড় ব্যারিকেড।

কিন্তু রাজধানীর শাহবাগে মুখে স্লোগান নিয়ে এগিয়ে আসা হাজার হাজার শিক্ষার্থীর সামনে শেষ পর্যন্ত পিছু হটে পুলিশ। তাদের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে সড়ক অবরোধের কর্মসূচি ‘বাংলা ব্লকেড’ পালন করেন শিক্ষার্থীরা। জানিয়ে দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পিছু হটবেন না তাঁরা। শুধু ঢাকাতেই নয়, শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি পালনে পুলিশ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রায় সব জায়গায়।

তারপরও পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, খুলনা, সিলেট, রাজশাহীসহ অনেক স্থানে কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। অবরোধ করে গুরুত্বপূর্ণ অনেক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এর মধ্যে কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ বেশ কিছু স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন শিক্ষার্থীরাও। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বেশ কিছু স্থানে।

‘হার্ডলাইনে পুলিশ/শাহবাগে ব্যারিকেড ভাঙলো শিক্ষার্থীরা’– মানবজমিন পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে গতকাল শাহবাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আধাবেলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি লক্ষ্য করা যায়। শাহবাগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের বাধা, লাঠিচার্জসহ নিক্ষেপ করা হয়েছে টিয়ারশেল-রাবার বুলেট। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের জোয়ারে পুলিশের ব্যরিকেড ভেঙে যায়। দাবি আদায়ে সোচ্চার শিক্ষার্থীরা আওয়াজ তুলেছেন জোর গলায়। পূর্বঘোষিত এই ব্লকেডে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শাহবাগে মুহুর্মুহু স্লোগান তোলেন।
এদিকে গত রাতে কর্মসূচি পালন শেষে আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ হাসান জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আজ সারা দেশে ফের বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন তিনি।

‘Protesters face attacks, intimidation’ অর্থাৎ ‘হামলা, হুমকির সম্মুখীন বিক্ষোভকারীরা’। এটি নিউএজের প্রধান শিরোনাম। খবরটিতে বলা হয়েছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের ১১তম দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হামলা ও ভয়ভীতির সম্মুখীন হয়েছে কোটা আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ ও ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ জনসহ অন্তত ৩০ জন বিক্ষোভকারী পৃথক সংঘর্ষে আহত হয়েছে।

এছাড়াও ঢাকার শাহবাগ ক্রসিংয়ে বিক্ষোভকারীদের হামলায় একটি বেসরকারি চ্যানেলের সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যান আহত হয়েছে। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে। ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ তাদের চলে যেতে বললে ওই এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াহয়। এতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলে ২০ জন আহত হয়।

এসময় ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
এছাড়াও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।

‘স্কুলছাত্রের চেয়েও সঞ্চয় কম কৃষকের’– দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়েছে, কৃষকের উৎপাদিত ফসল নিয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা কোটি কোটি টাকা আয় করলেও তাদের সঞ্চয় তলানিতে। গড়ে তাদের সঞ্চয় মাত্র ৬৩৭ টাকা, যেখানে স্কুলছাত্রদের সঞ্চয় গড়ে ৫৫০০ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রান্তিক কৃষক, অতি-দরিদ্র মানুষ, মুক্তিযোদ্ধা এবং পোশাকশ্রমিকদের সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় নো-ফ্রিল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ১ কোটি ৪ লাখ কৃষক নো-ফ্রিল হিসাবের মাধ্যমে ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এসব হিসাবের পরিমাণ পর্যাপ্ত হলেও কৃষকের গড় সঞ্চয় মাত্র ৬৩৭ টাকা। যে কৃষকরা হিসাবের বাইরে রয়েছেন, তাদের আমলে নিলে গড় সঞ্চয় ৩০০ টাকারও কম।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে কৃষকের সংখ্যা ২ কোটি ৫৬ লাখ। ৬৬৩ কোটির বিপরীতে ২ কোটি ৫৬ লাখ কৃষকের সঞ্চয় ধরলে প্রতি কৃষকের সঞ্চয় দাঁড়ায় মাত্র ২৫৯ টাকা।
দেশে স্কুলশিক্ষার্থীদের ৪০ লাখ ব্যাংক হিসাবেও প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা আমানত রয়েছে। প্রতি শিক্ষার্থীর আমানত প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ স্কুলছাত্রের চেয়েও কৃষকের সঞ্চয় কম।

‘ঢাকা বেইজিং বাণিজ্যে স্থানীয় মুদ্রার ব্যবহার বাড়াতে জোর’– কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, আর্থিক ব্যবস্থায় সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও চীন। দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে স্থানীয় মুদ্রার ব্যবহার বাড়াতে উৎসাহিত করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির সঙ্গে জুতসই উন্নয়নের পথ বেছে নেওয়ার প্রতি জোরালো সমর্থন জানিয়েছে চীন।

একই সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করা, রূপকল্প ২০৪১-এর আওতায় উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রচেষ্টার বিষয়েও জোরালো সমর্থন জানিয়েছে দেশটি। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা হয়। যৌথ বিবৃতিতে মোট ২৭টি দফা রয়েছে।

দুই দেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিন্ন স্বার্থ যৌথভাবে রক্ষায় আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন, মানবাধিকার, মানবিক বিষয়াদি, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি রূপান্তর ও পরিবেশ সুরক্ষা সম্পর্কিত বহুপক্ষীয় প্রক্রিয়ায় অবস্থান আরো সমন্বয় ও বৃহত্তর ঐকমত্য গড়ে তুলতে উদ্যত অবস্থার বিষয় জানিয়েছে।

‘এবার ভারত থেকে ডিজেল আসবে পাইপলাইনে’– নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর।
এতে বলা হয়েছে, সরকারি চুক্তির (জি-টু-জি) আওতায় ছয়টি দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ ক্যাটাগরির মোট ১৮ লাখ মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হচ্ছে। এতে মোট ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপত্বিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির সভায় এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এ ছাড়াও বৈঠকে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানিরও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ দিন ক্রয় কমিটির বৈঠকে মোট পাঁচটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১৭ হাজার ৬০১ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

‘রাখাইনের প্রায় পুরোটাই আরাকান আর্মির দখলে’– বণিক বার্তার প্রথম পাতার খবর।
খবরটিতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযান চালিয়ে আশাতীত সাফল্য অর্জন করেছে আরাকান আর্মি। এরই মধ্যে রাখাইনের প্রতিবেশী চিন রাজ্যের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পালেতওয়া দখল করে নিয়েছে তারা। প্রাচীন আরাকান রাজ্যের রাজধানী ম্রাক উসহ রাখাইনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রায় সব শহরই তাদের দখলে। রাখাইনের দক্ষিণাঞ্চলও পুরোপুরি আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে।

বর্তমানে আন শহরে অবস্থিত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের সদর দপ্তর বেশ নাজুক অবস্থানে পড়ে গেছে। যেকোনো সময় এ শহরের দখল নিতেও অভিযান শুরু করতে পারে আরাকান আর্মি।
বর্তমানে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার অনুগত বাহিনীর অবস্থান অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, রাজ্যটি এখন পুরোপুরিই বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেছে বলা চলে।
কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে সামরিক জান্তার অনুগত বাহিনী প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও তাদের শক্তি প্রায় নিঃশেষ হয়ে এসেছে। যেমন থান্ডওয়ে এলাকায় এখন বর্মি সামরিক বাহিনীর একটি মাত্র ব্যাটালিয়ন কোনোমতে টিকে রয়েছে।

‘রোজগারের সঙ্গে খরচে ফারাক আকাশপাতাল’– সমকালের প্রথম পাতার শিরোনাম।
এতে বলা হয়েছে, নিত্যপণ্যের পাশাপাশি খরচা বেড়েছে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ অন্য সব খাতে। এর প্রমাণ মেলে মূল্যস্ফীতির দিকে চোখ রাখলে। গেল এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখা গেছে এবার। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি দাড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে। যদিও মূল্যস্ফীতির এ হার আরও বেশি বলে মনে করেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।

গেল বছরের এ সময়টায় প্রতি কেজি আলু কেনা গেছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায়, গতকাল সেই আলু কিনতে ক্রেতাকে খরচা করতে হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। বড় দানার মসুর ডালের কেজি ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, এখন কিনতে গেলে লাগছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। আর মাঝারি চালের দাম গত বছরের এ সময়ে কেজি ছিল ৫০ থেকে ৫৪ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।

এ পরিস্থিতিতে অনেকেই তাদের কষ্টারভিত সঞ্চয় ভেঙে সংসারের পেছনে ঢালছেন। কেউ একটি চাকরির সঙ্গে খণ্ডকালীন আরেকটি চাকরিতে ঢুকছেন। আবার কেউ সকাল-বিকেল চাকরি করে সন্ধ্যায় ছোটখাটো ব্যবসা নিয়ে বসছেন। পণ্যের দাম বৃদ্ধি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, গতিহীন কর্মসংস্থানের চিত্র স্পষ্ট হলেও অদৃশ্য কারণে বাড়ছে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)। হঠাৎ বড় উল্লম্ফন দেখা গেছে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে।

‘৪৭ চেকে সাড়ে ১০ কোটি টাকা লেনদেন!’– ইত্তফাকের প্রথম পাতার খবর। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ গত ২২ বছরে ৩০টি সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করেছে সাম্প্রতিক সময়ে দেশ জুড়ে আলোচিত ‘আবেদ আলী চক্র’। সিআইডির হাতে আটক ১৭ জন এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তবে প্রকৃতপক্ষে তারা অর্ধশতাধিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন বলে ধারণা করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এদিকে গ্রেফতারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের কাছ থেকে ব্যাংকের ৫৮টি চেক উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি ‘ব্ল্যাংক চেক’। বাকি ৪৭ চেকে সাড়ে ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। একই সঙ্গে আরো ১৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পিএসসির আরো পাঁচ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন, তারা পলাতক। এর মধ্যে সিস্টেম অ্যানালিস্ট রয়েছেন এক জন। তার নাম উজ্জ্বল। এদের গ্রেফতারে সিআইডি বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘শ্যুটিং স্পট প্লট-ফ্ল্যাট ব্যাংক হিসাব জবের নির্দেশ’– যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর এটি। খবরে বলা হয়েছে, এনবিআরের সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যের নামে থাকা গাজীপুরে শুটিং স্পট জব্দের (ক্রোক) আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের আরও ২৩.৬৭ একর জমি, ১১৬টি ব্যাংক হিসাবে থাকা সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ও ৪টি ফ্ল্যাটসহ অন্যান্য সম্পত্তিও জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে শেয়ারবাজারে তাদের ১২টি প্রতিষ্ঠানের ২৩টি বিও অ্যাকাউন্ট।

বৃহস্পতিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সম্পত্তি জব্দের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। দুদকের আদালত পরিদর্শক আমীর হোসেন যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এসব সম্পত্তি জব্দের আবেদন করে। এ বিষয়ে শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত। জব্দের আদেশ দেওয়া স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে সাভার, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, নরসিংদী ও নাটোরের বিভিন্ন জায়গায় থাকা ২৩.৬৭ একর জমি এবং রাজধানীর মিরপুরে থাকা ৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যের নামে থাকা ১০ একর ১৯ শতাংশ জমি ও ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের (ক্রোক) আদেশ দেন আদালত। – বিবিসি বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *