বিএনপি নেতা আমীর খসরু, স্বপন ও প্রিন্সের জামিন নামঞ্জুর

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

বিএনপির মহাসমাবেশ পন্ড করে দিয়ে ২৮ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন মামলায় নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া পিস্তল ছিনতাইয়ের অভিযোগে অপর একটি মামলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সের জামিন নামঞ্জুর হয়েছে।

বুধবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

এ বিষয়ে সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, ঘটনার সময় বিএনপির এই শীর্ষ নেতারা নয়াপল্টন বিএনপি অফিসের সামনে স্টেজে ছিলেন। উনারা এই ঘটনায় প্ররোচনা দিয়েছেন এমন কোনো বক্তব্য নেই। ঘটনার কোনো ছবি বা ভিডিও নেই। শুধু এজাহারে তাদের নাম আছে। তারা বয়স্ক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ। এসব যুক্তি উপস্থান করে জামিন আবেদন করি। কিন্তু আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে দেন। অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় এখন আমরা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করব।

বিএনপির মহাসমাবেশের দিন এক সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২) নিহতের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতারের পর গত ৩ নভেম্বর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও জহির উদ্দিন স্বপনকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো: তরীকুল ইসলাম।

শুনানি শেষে আদালত তাদের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

অপরদিকে গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বাড্ডায় বোনের বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন এমরান সালেহ প্রিন্সকে নিয়ে যায় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়।

সিএমএম আদালতে জামিন নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিবিধ মামলা দায়ের করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন চান তারা। সেই আবেদনের শুনানি শেষে আজ জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুক মিয়া হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়। উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুস সালাম, নিপুণ রায়, আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *