বিএনপি ও অন্যান্য দলের নেতাদের নিয়ে জামায়াতের ইফতার মাহফিল

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

রাজধানী ঢাকায় বড় পরিসরে ইফতার মাহফিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এতে জাতীয় রাজনীতিবিদ-সহ বিশিষ্টজনদের সরব উপস্থিতি দেশ-বিদেশের সংবাদ মাধ্যমে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। বিএনপি ও অন্যান্য দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা ইফতারে অংশ নিয়েছেন।

শনিবার (৩০ মার্চ ২০২৪) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এই ইফতার মাহফিলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সকল বাধা ও শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে হলে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে। বিনা সংগ্রামে কখনো মুক্তি আসে না। মুক্তি অর্জন করতে হলে অবশ্যই সংগ্রাম করতে হবে।

মাহফিলে আগত মেহমানদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের সাবেক স্পীকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুজিবুর রহমান সরোয়ার, আবদুস সালাম, জহিরুদ্দিন মুহাম্মাদ স্বপন, আতাউর রহমান ঢালী, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট মাসুদ উদ্দিন তালুকদার, এলডিপি’র সভাপতি ড. কর্নেল অব. অলি আহমাদ, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির নেতা ব্যারিস্টার যুবাইর, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর, এসএম শাহজাহান কবির প্রমুখ।

সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, সাবেক মহাসচিব এমএ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমাদ, সাংবাদিক নেতা ইলিয়াস খান, নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: শহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, সরদার ফরিদ আহমদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী, দৈনিক নয়া দিগন্তের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাহ উদ্দিন বাবর, উপ-সম্পাদক (বার্তা) মাসুমুর রহমান খলিলী প্রমুখ।

মেহমানদের মধ্যে আরো ছিলেন বর্ষিয়ান আলেমে দ্বীন জামিয়া ইমদাদিয়ার মহাপরিচালক এবং ইসলামিক কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমির মাওলানা আবু তাহের জিহাদী আল কাসেমী, বাংলাদেশ নিজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, গণসেবা আন্দোলনের আমির মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুফতি বিন ইয়ামিন (মহাসচিব গণসেবা আন্দোলন), খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফি, বাংলাদেশ ইসলামিক দাওয়া সেন্টারের পরিচালক মুফতি নুরুজ্জামান নোমানী, জমিয়তে হিজবুল্লার কেন্দ্রীয় মুরুব্বী অধ্যক্ষ ডক্টর মাওলানা মুহিউদ্দিন, জাতীয় খতিব পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি মাসুদুর রহমান জাহেদী, ছরছিনা দরবার শরীফের পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, মিরেশ্বরাই দরবার শরীফের পীর মাওলানা আব্দুল মমিন নাসেরী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মাওলানা রফিকুল রহমান মাদানী প্রমুখ।

জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মো: তাহের, নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল, মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব যোবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব, সাইফুল আলম খান মিলন, অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ শাহাবুদ্দিন, অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট মশিউল আলম, মাওলানা আবদুল মান্নান, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ড. মুহাম্মদ কেরামত আলী, কাজী দ্বীন মুহাম্মাদ, ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় অফিস সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুস সাত্তার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, মহানগর জামায়াত নেতা আবদুর রহমান মূসা, আবদুস সবুর ফকির, অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, মো: দেলাওয়ার হোসাইন, আব্দুল জব্বার, মাহফুজুর রহমান, জহির উদ্দিন বাবর, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী ও শামীম সাঈদী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত আটটি বছর আমরা সকলে মিলে ইফতার মাহফিলের সুযোগ পাইনি। আজকের ইফতার আয়োজন নিয়েও প্রতিবন্ধকতা ছিল। হাজারো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জামায়াতের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল আয়োজন করতে পেরে আমরা আল্লাহর শুকরিয়া জানাচ্ছি। আমাদের দাওয়াতে এ ইফতার মাহফিলে যারা শামিল হয়েছেন, আমি তাদের সবাইকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

জামায়াত নেতা বলেন, মুক্তি অর্জন করতে হলে অবশ্যই সংগ্রাম করতে হবে। বিনা সংগ্রামে কখনো মুক্তি আসে না। সকল বাধা ও শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে হলে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা সকলের মঙ্গল কামনা করি। সকল রকম হঠকারিতা ও বিশৃঙ্খলা ছাড়তে হবে। তবে কেউ যদি পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে আসে তাহলে অবশ্যই তার জবাব দিতে হবে। সরকারি দলের লোকদের যদি রাজনীতি করার অধিকার থাকে, তাহলে দেশের প্রতিটি নাগরিকেরও রাজনীতি করার অধিকার আছে।

ইফতারের পূর্বে দেশ, জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ কামনা করে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন ডা. শফিকুর রহমান। কামনা করেন, আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেন। আমাদের দেশের আলেম সমাজ যেন আমাদের দিক-নির্দেশনা দিতে পারেন সেজন্য আল্লাহ যেন তাদের যোগ্যতা বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্বাধীনতার সুফল ভোগ করার তাওফিক দান করেন। ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর যে জুলুন-নিপীড়ন চলছে, আল্লাহ যেন তা থেকে তাদেরকে মুক্তি দেন এবং তাদের বিজয় দান করেন।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়ার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ আট বছর পর কেন্দ্রীয়ভাবে বহুদলীয় ইফতার মাহফিলের আয়োজন করল জামায়াতে ইসলামী। এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ জুন হোটেল সোনারগাঁওয়ে রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনদের নিয়ে ইফতার করেছিল জামায়াত। তখন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও অংশ নিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *