বিএনপির মানববন্ধনে জনতার ঢল

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি’র উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে জনতার ঢল নেমেছিল। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমবেত হন। বিশেষ করে গুম-খুন ও কারাবন্দি নেতাদের স্বজনরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ আলী, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, নাজিম উদ্দিন আলম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, রেহানা আক্তার রানু, এ্যাবের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হাছিন আহমেদ, সহসভাপতি প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

এছাড়া পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, কবি আব্দুল হাই সিকদার, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, ডা. সিরাজুল ইসলাম,  রিয়াজুল ইসলাম রিজু, শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, সাংবাদিক রাশেদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার ক্রমাগতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং আমরা মাঠে থাকবো।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার নেই। নিম্ন আদালতে রায় পড়ে শোনানো হচ্ছে। মৃত ব্যক্তিকেও সাজা দেয়া হচ্ছে। কারাগারে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়াবহ নির্যাতন করা হচ্ছে। এভাবে বেশিদিন চলতে পারে না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। এদের কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখন নাম্বার ওয়ান। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে।

২৮ অক্টোবরের পর বিএনপির প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে সেলিমা রহমান বলেন, তারা নিজেরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের মহাসমাবেশে হামলা করে পণ্ড করে দিয়েছে। তারপর গণগ্রেফতার শুরু করেছে। ছেলেকে না পেলে মাকে, ভাইকে, বোন কিংবা বাবাকে নিয়ে যাচ্ছে। অনেককে ধরে নিয়ে যায় এবং মুক্তিপণ দাবি করে। এটা একটা ডাইনি সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *