বার্মা অ্যাক্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সম্ভাব্য লিখিতপত্র, ভুল সিদ্ধান্তে ভুগবে দক্ষিণ এশিয়াঃ ডব্লিউএলপি

বার্মা অ্যাক্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সম্ভাব্য লিখিতপত্র, ভুল সিদ্ধান্তে ভুগবে দক্ষিণ এশিয়াঃ ডব্লিউএলপি

আন্তর্জাতিক এশিয়া বাংলাদেশ সময় সংবাদ
শেয়ার করুন

বাংলাদেশের সীমান্তের ঠিক ওপারে মায়ানমারে চলছে গণতন্ত্রকামী যোদ্ধাদের বিজয়াভিযান, ছত্রখান হয়ে পড়ছে সামরিক জান্তা। ২০২১ সালে ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে হাজারো নির্যাতন, হত্যা, গুম দমাতে পারেনি গণতন্ত্রপন্থীদের। এমনই মন্তব্য করেন সিনিয়র সাংবাদিক বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নালের সম্পাদক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা আবু রূশদ।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৮ ডিসেম্বর, সোমবার রাজধানীর বিজয়নগরে We Love Politics-WLP এর উদ্যোগে “বার্মা অ্যাক্ট-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চোখে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক চিত্র” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মূল বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আজ মায়ানমারে সেনাবাহিনী কোনঠাসা হয়ে পড়েছে, বার্মা অ্যাক্টের বাস্তবায়ন এগিয়ে চলেছে। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে মায়ানমারে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। একইসাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সূচিত বার্মা অ্যাক্ট পুরোটাই বাস্তবায়িত হবে। এই বার্মা অ্যাক্ট শুধুমাত্র মায়ানমারের জন্য নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যাপক প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ, ভারতও এর বাইরে নয়। কৌশলগত খাতে অনেক কিছুর পরিবর্তনও আশা করা যাচ্ছে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রের কথা মুখে বললেও তারা মূলত স্বৈরতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণাকে লালন করে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা, গণতন্ত্র হরণ ও উপর্যুপরি ভুল সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে বন্ধু শূন্য রাষ্ট্রে পরিনত করছে। কি সরকারি দল, কি বিরোধী দল তাদের বেশিরভাগই স্ট্র্যাটেজিক বা কৌশলগত বিষয়াদিতে মোটেও গুরুত্বারোপ করছে না। যা একসময় এই অঞ্চলের মূল ইস্যু হয়ে দাঁড়ানোর সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে সেই বার্মা অ্যাক্ট নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা নেই। বুদ্ধিবৃত্তিক মহল, এমনকি মিডিয়াতেও বিষয়গুলো নিয়ে তেমন কোন বিশ্লেষণ দাঁড় করানো হয়নি।বার্মা অ্যাক্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সম্ভাব্য লিখিতপত্র, ভুল সিদ্ধান্তে ভুগবে দক্ষিণ এশিয়াঃ ডব্লিউএলপি

আবু রূশদ উল্লেখ করেন যে, ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনের স্বাক্ষরিত বিশেষ যে অ্যাক্টটি সামনে এসেছে তা হচ্ছে- BURMA ACT.- Burma Unified Through Rigorous Military Accountability Act। এর মূল বিষয় হচ্ছে একটি কঠোর সামরিক ব্যবস্থার গ্রহণের মাধ্যমে বার্মাকে পুণরায় একত্রিত করা, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। বার্মা অ্যাক্টের সাথে একসময় না চাইলেও আমাদের চট্রগ্রাম অংশ জড়িত হয়ে যেতে পারে। আমাদের নিরাপত্তা ধারনায় নতুন বিষয় যুক্ত হতে পারে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের এই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা নেই, নেই কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ। রাজনীতির নামে অপরাজনীতি চলছে, বিরোধী মতের মানুষদের গুম, খুন, হত্যা ও মামলা দিয়ে লাখ লাখ বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীকে কোনঠাসা করে জেলে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। আর বিরোধী রাজনীতিকরাও আছেন চুপ করে। তাদের কাছে রাজনীতি ছাড়া আর কোন বিষয় বিবেচ্য নয়।

আবু রূশদ আরও বলেন, বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগর তথা এই বার্মা অ্যাক্টের বাহিরে নয়। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিয়ে নিজেদের আখের গোছানোর যে অপচেষ্টায় লিপ্ত তা শীগ্রই মুখথুবড়ে পড়বে। যথাযথ পদক্ষেপ না নিতে পারলে বিপদগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ নামক অপার সম্ভাবনাময় এই ভূখন্ড। বাংলাদেশের সকল রাজনীতি ও অধিকার সচেতন নাগরিককে বার্মা অ্যাক্ট সম্পর্কে অবগত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানানা তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়েছেন- দ্য মুসলিম পোস্ট ইউকে’র সাবেক প্রধান সম্পাদক আলতাফ হোসাইন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মূসা, ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক কাজী শিহান মির্জা, অ্যাক্টিভিস্ট ও সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম আদিব, ব্যারিস্টার আব্বাস আলী খান নোমান, ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন, ব্যারিস্টার জারিন তাসনিম প্রভা, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও সুবিচার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠিাতা ব্যারিস্টার শাইখ মাহদি, অ্যাডভোকেট সাঈদ আল হক, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হাসিব, উই লাভ পলিটিক্স (ডব্লিউএলপি) এর সংগঠকবৃন্দ; অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান, অ্যাডভোকেট তারেক আব্দুল্লাহ, মিনহাজুল আবেদীন শরীফ, অ্যাডভোকেট এসএম তাসমিরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম মির্জা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *