বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে ভিন্নমতের কথা জানিয়ে গেল মার্কিন প্রতিনিধিদল শিরোনাম করেছে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা। বাংলাদেশ সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদলের বরাত দিয়ে এই খবরে বলা হয়েছে, নির্বাচন তথা বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারত যে অবস্থান প্রকাশ করেছে, তার সঙ্গে ভিন্নমত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
শনি থেকে সোমবার ৩ দিন- ঢাকায় সিরিজ বৈঠক করে গেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন সরকারের সামরিক ও বেসামরিক নেতৃত্ব এবং দাতব্য সংস্থার ৩ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত ওয়াশিংটনের ইভাল্যুয়েশন টিম।
ঢাকায় তাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকগুলোর খানিকটা প্রকাশ পেয়েছে, তবে আলোচনার বেশির ভাগই এখনো অপ্রকাশিত। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা মার্কিন প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটন ফিরে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তাদের পর্যবেক্ষণের বিস্তারিত রিপোর্ট করবে। যার রিফ্লেকশন থাকবে বাংলাদেশ তথা এশিয়া অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পদক্ষেপে।
দৈনিক সংবাদের প্রধান শিরোনাম: ‘হঠাৎ একসঙ্গে বন্ধ বড় ৪ বিদ্যুৎকেন্দ্র’। খবরটিতে বলা হচ্ছে, গত রোববার প্রায় একই সময়ে দেশের চারটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো হলো-বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রামের বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র, নারায়ণগঞ্জের হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বরিশালের ৩০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র। এগুলোর মধ্যে কেবল নারায়ণগঞ্জের হরিপুরেরটিই গ্যাসভিত্তিক; অন্য তিনটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।
এতে আরও বলা হয়েছে যে, কারিগরি ত্রুটির কারণে কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে থাকতে পারে বলে বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো ধারণা করছে। তবে সঠিক কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
‘ঋণের চাপ বাড়াচ্ছে আত্মহত্যা’– দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম এটি। খবরের বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছে, দ্রব্যমূল্য দিনে দিনে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় মানুষ এখন সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। আর যাদের সঞ্চয় নেই, তারা ঋণ করছে। ফলে মানুষের উপর চাপ বাড়ছে। ফলে বাড়ছে আত্মহত্যার সংখ্যা।
খবরে বেশ কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সর্বশেষ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, মুন্সিগঞ্জে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার ঘটনা।
প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছিলনে সায়মা বেগম নামের ওই নারী। কিন্তু পরে ঋণের কিস্তি দিতে না পারায় গত রোববার নয় ও সাত বছরের দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
প্রায় একই বিষয়ে দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম: ‘ব্যয়ের চাপে দিশেহারা সাধারণ মানুষ’। খবরটিতে বলা হয়েছে, উচ্চমূল্যের বাজারে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় সংসার চালাতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে হয় তাদের সঞ্চয় ভাঙতে হচ্ছে, না হয় ঋণ করে সংসার চালাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বর্তমানে দেশের প্রায় ৩৭ শতাংশ পরিবার ঋণ করে সংসার চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের গড় ঋণের পরিমাণ প্রায় এক লাখ ৮৭ হাজার টাকা। এ অবস্থায় ঋণগ্রস্ত পরিবারগুলোতে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পরিমাণও কমে গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ে ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের প্রধান শিরোনাম: ‘Commodity prices keep rising ahead of Ramadan.’ অর্থ্যাৎ রমজানের আগে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই যাচ্ছে।
খবরের বিস্তারিত অংশে বলা হচ্ছে, রমজান মাসকে সামনে রেখে বাজারে চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, ডিমসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েই যাচ্ছে। অথচ সরকারপক্ষের সাথে সর্বশেষ বৈঠকে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছিল যে, তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য মজুদ আছে। ফলে রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে।
এতে আরও বলা হয়েছে যে, রমজানে পণ্যের দাম যেন স্থিতিশীল থাকে, সেজন্য গত আটই ফেব্রুয়ারি থেকে আমদারি কর কমিয়ে দিয়েছে সরকার। কিন্তু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ক্রেতারা এই পদক্ষেপের কোন সুফল পাচ্ছেন না। দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে গত তিন দিনে ব্যবসায়ীরা বাজারে চিনির সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘বন্দরে খেজুরের জট, বাজারে আগুন দর’– দৈনিক সমকাল প্রধান শিরোনাম এটি। খবরের বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছে, রমজানকে সামনে রেখে দুই মাসেরও বেশি আগে খেজুর আমদানি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। খেজুরভর্তি প্রায় এক হাজার জাহাজ ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেও গেছে। কিন্তু শুল্ক ছাড়ের সুযোগ নিতে ব্যবসায়ীরা এতদিন দ্রুতগতিতে মাল খালাস করেননি। এখন শেষমূহূর্তে এসে সবাই খেজুর খালাসের জন্য তাড়াহুড়ো শুরু করেছেন। এতে বন্দরে জট লেগে গেছে।
অন্যদিকে, খেজুর গুলো এখনও বাজারে না ঢোকায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে গত বছরের তুলনায় ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে।
ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম: ‘$7b pledged in foreign funds.’ খবরটিতে বলা হয়েছে যে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের মধ্যেই নতুন করে প্রায় সাত দশমিক দুই বিলিয়ন ডলারের ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। বিপুল পরিমাণ এই অর্থ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন ও জ্বালানিসগহ মোট ২৪টি প্রকল্পে ব্যয় করা হবে।
এর মধ্যে এডিবি ২.৬২ বিলিয়ন, জাপান ২.০২ বিলিয়ন এবং বিশ্বব্যাংক ১.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য দাতারা মিলে ঋণ দিচ্ছে ১.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সব মিলিয়ে এবছর ঋণ সহায়তার পরিমাণ ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যাচ্ছে কলেজের উচ্চশিক্ষা’– এটি দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম। বিস্তারিত খবরে বলা হচ্ছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা সরকারি কলেজগুলোকে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তদারকিতে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়ন করা হলে ঢাকার বড় সাতটি কলেজ যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলছে, তেমনি অন্যান্য কলেজগুলোও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলবে।
যদিও ঢাকার বড় সাতটি কলেজ যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেওয়ার অভিজ্ঞতা ভালো নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান উন্নয়নে বুঝেশুনে সামগ্রিকভাবে পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম করা হয়েছে: ‘রাজউক এলাকায় ৫ লাখ ১৭ হাজার ভবন, অনুমোদন নেই ৬১ শতাংশের’। খবরটিতে বলা হয়েছে যে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আওতাধীন এলাকায় গড়ে ওঠা এক থেকে বহুতলবিশিষ্ট প্রায় ৫ লাখ ১৭ হাজার ভবন রয়েছে। এর মধ্যে ৩ লাখ ১৭ হাজার অর্থাৎ ৬১ দশমিক ৩২ শতাংশ ভবনের কোনো অনুমোদন নেই।
তবে নির্ধারিত জরিমানার মাধ্যমে এসব ভবনের বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, নির্মাণাধীন অবৈধ ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে এসব ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে।
আরও বলা হয়েছে যে, প্রতিবছরে প্রায় ২০ হাজার নতুন ভবন নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যেও অনুমোদিত ভবনের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার। বাকি প্রায় ১১ হাজারের বেশি ভবন অনুমোদন ছাড়াই গড়ে উঠছে। পাশাপাশি সেমিপাকা অবৈধ স্থাপনা রয়েছে ১৬ লাখের বেশি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নগর পরিকল্পনাবিদদের অভিমত-অনুমোদন ছাড়া গড়ে ওঠা অবৈধ ভবনগুলো রাজধানীর দুর্যোগ ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে খবরে বলা হয়েছে। – বিবিসি বাংলা