যুক্তরাষ্ট্র আবারও বলেছে বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। এছাড়া বাংলাদেশে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জন্য স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিতেরও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি। প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।
সাংবাদিক প্রশ্নে উল্লেখ করেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন অবিলম্বে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ৭ জানুয়ারির ভুয়া নির্বাচন করার জন্য সরকার ২৫ হাজার বিরোধী নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে, যাঁদের মধ্যে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা আছেন। বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতি ঘোষণা করেছিল। এই নীতির প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র ক্ষুণ্নের জন্য বাংলাদেশের কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
জবাবে মিলার বলেন, বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা তিনি আগে থেকেই বলছেন। এই নির্বাচনকে তাঁরা অবাধ ও সুষ্ঠু মনে করেন না। নির্বাচন সামনে রেখে হাজারো রাজনৈতিক বিরোধী নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার নিয়েও তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গ্রেপ্তার সবার জন্য একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য তাঁরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তাঁরা বিরোধী দলের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নাগরিক জীবনে অর্থপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।