সিলেটের কৃতি সন্তান এবং দেশের উন্নয়নের রূপকার সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মঈন খান বলেছেন, অর্থনীতিবিদ এম সাইফুর রহমানকে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রণেতা বলা হয়। তার কনজার্ভেটিভ নীতি অনুসরণ করে দেশের অর্থনীতি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছিল। সাইফুর রহমান ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের সুবর্ণজন্তীতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তখন তাকে বিশ্বব্যাংকের গভর্নর হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এটা জাতি হিসেবে আমাদের গর্বের।
সিলেট শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম, নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ভিসি প্রফেসর ড. মো. ইকবাল, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মাহবুব এলাহী, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ সিলেটের সভাপতি ডা. শামিমুর রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের শামীম, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাছিম হোসেন, বাচিক শিল্পী ও কবি সালেহ আহমদ খসরু, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মাহবুবুর রব ফয়সল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদ এমরান আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার প্রমুখ। স্মরণসভায় বিএনপিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। সভা সঞ্চালনা করেন ব্যবসায়ী তোফায়েল আহমেদ খান।
বরেণ্য অর্থনীতিবিদ এম সাইফুর রহমানের আধুনিক ভ্যাট পদ্ধতির সংযোজনকে দেশের অর্থনীতির রক্ষাকবচ হিসেবে উল্লেখ করে ড. মঈন খান আরও বলেন, ভ্যাট ছাড়া বিশ্বের কোনো দেশ টিকতে পারে না। কিন্তু তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ এটারও বিরোধিতা করেছিল। তারা রাজপথে আন্দোলন করেছিল, এমনকি হরতাল ডেকেছিল। সেই সময় সাইফুর রহমান বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে এই সিদ্ধান্ত না নিলে বাংলাদেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তো।