‘বস্তায় করে ঘুষ নিতেন খান’– এটি বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রধান খবর। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে নিয়ে করা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ দিতে তিনি বস্তা ভর্তি টাকা ঘুষ নিতেন। এমন গুরুতর অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে বলে খবরটি বলছে।।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলামের বরাত দিয়ে এতে আরও বলা হয়, আসাদুজ্জামান খান ছাড়াও তার সাবেক একান্ত সচিব (পিএস) ও অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেন ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপুর বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
একের পর এক মামলা আসামি ‘প্রভাবশালী’-সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। খবরে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর একের পর এক মামলা হচ্ছে। আর সেসব মামলার আসামি হচ্ছেন পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রীসহ প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপি। অনেককে আবার নেওয়া হচ্ছে রিমান্ডে। মামলায় সাবেক মন্ত্রী-এমপি ছাড়াও প্রশাসনের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী অনেক কর্মকর্তার নামও আসামির তালিকায় থাকছে। তাদের অনেকেই এখন আত্মগোপনে। কেউ কেউ দেশের বাইরে পাড়ি জমিয়েছেন বলে আলোচনা আছে।
ছাত্র আন্দোলনের সময় হেলিকপ্টার থেকে র্যাবের গুলিতে ১২ বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের নামে আরও একটি হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক হত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের নামে আরেকটি মামলার আবেদন করা হয়। দুই মামলার বাদীর জবানবন্দি নিয়ে দুই থানা কর্তৃপক্ষকে সরাসরি এজাহার (এফআইআর) গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে গত তিন দিনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যা মামলার আবেদন ও একটি অপহরণ মামলা হলো বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘সংকটের অন্যতম স্থপতি’– মানবজমিন পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের ক্ষেত্রে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের ভূমিকা নিয়ে সংবাদটি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার শুনানি চলাকালে বিভক্ত বাংলাদেশি সমাজের শীর্ষ সব আইনজীবী একটি প্রশ্নে একমত পোষণ করেছিলেন। আর তা হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিশেষ ব্যবস্থা বহাল রাখা। সে সময়ের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও এতে সায় দেন। কিন্তু তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল তাতে রা করেননি বলেই খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে বিভক্ত রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়ে যায়।
এছাড়াও ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় প্রকাশ্যে আদালতে ঘোষিত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট দুই মেয়াদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পথ খোলা রেখেছিল। কিন্তু প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ১৬ মাস পর যে রায় প্রকাশ করলেন সেখানে তিনি এ অংশটি রাখেননি। সেসময় আপিল বিভাগের দুই জন বিচারপতি এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। প্রতিবেদনটি বলছে, দৃশ্যত আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তই অনুসরণ করেছিলেন খায়রুল হক।
‘খেয়েছে তারা ভুগছে মানুষ’– আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরের লুটপাটের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলোকে ক্যাপাসিটি পেমেন্টই (কেন্দ্র ভাড়া) দেওয়া হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। উৎপাদন না করেও অনেক কেন্দ্র অলস বসে থেকে পেয়েছে ভাড়া। এসব কেন্দ্রের বেশির ভাগেরই মালিক ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা।
বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কেন্দ্র ভাড়া শোধ করতে বিদ্যুৎ খাতে বেড়েছে ভর্তুকি। ২০০৮ সালে বিদ্যুৎ খাতে ৯০০ কোটি টাকা ভর্তুকি থাকলেও তা পরে কেন্দ্র ভাড়ার কারণে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। কারণ, ভর্তুকির ৮৫ শতাংশই গেছে কেন্দ্র ভাড়ায়। ভর্তুকি কমাতে দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম; যা যাচ্ছে গ্রাহকের পকেট থেকে। এছাড়াও ২০১০ সালে দুই বছরের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দরপত্র এড়াতে সংসদে পাস করা হয় ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’। এই আইনে করা কোনো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না, যাওয়া যাবে না দেশের আদালতে। পরে আইনটির মেয়াদ কয়েক দফা বাড়িয়ে সর্বশেষ ২০২৬ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।
‘গ্যাস ও জ্বালানি তেলে বকেয়া ১৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে’– বণিক বার্তার প্রধান খবর এটি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এলএনজি ও জ্বালানি তেল আমদানিতে বকেয়ার পরিমাণ ১ দশমিক ২ বিলিয়ন (১২০ কোটি) ডলার ছাড়িয়েছে। বর্তমান বিনিময় হারে প্রতি ডলারে ১১৮ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ হাজার ১৬০ কোটি টাকা।
এর মধ্যে এলএনজিতে জুলাই পর্যন্ত বকেয়ার পরিমাণ ৭০০ মিলিয়ন (৭০ কোটি) ডলার। জ্বালানি তেলে বকেয়া ৫০০ মিলিয়ন (৫০ কোটি) ডলারের বেশি। বিপুল এ বকেয়া পরিশোধে জ্বালানি বিভাগকে চাপ দিচ্ছে সরবরাহকারীরা। জ্বালানি বিভাগসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত ডলারের সংস্থান না থাকায় জ্বালানি আমদানি বাবদ বকেয়া বেড়ে চলেছে।
দ্রুত তা পরিশোধ না হলে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে ঝুঁকিতে পড়তে পারে বাংলাদেশ। তবে অর্থ বিভাগ থেকে নিয়মিত বিল পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলে এ ঝুঁকি অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জ্বালানি বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ও স্পট মার্কেট এলএনজি আমদানি এবং দেশে গ্যাস উত্তোলনকারী বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর (আইওসি) পাওনা চলতি মাস পর্যন্ত বকেয়া পড়েছে ৭০০ মিলিয়ন ডলার। আর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে বকেয়া রয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার।
‘বাড়ছে সরকারের পরিধি/আজ শপথ নিচ্ছেন আরো চার উপদেষ্টা’– পত্রিকাটির প্রথম পাতার আরেকটি খবর। এতে বলা হয়েছে, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ছে। নতুন করে আজ শপথ নিচ্ছেন আরো চারজন। বঙ্গভবনের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, নতুন উপদেষ্টাদের শপথ অনুষ্ঠান হবে আজ। নতুন করে অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম এবং অর্থনীতিবিদ ও সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেবেন। এ লক্ষ্যে বঙ্গভবন প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর সূত্র বলছে, তাদের পাঁচটি গাড়ি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। তবে কয়জন উপদেষ্টা হবেন, সেটা তারা জানেন না। কেননা এ ধরনের ক্ষেত্রে সব সময়ই অতিরিক্ত গাড়ি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়। তাই গাড়ির সংখ্যা দিয়ে উপদেষ্টার সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। এর আগে প্রধান উপদেষ্টাসহ ১৭ জন শপথ নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সামলাচ্ছেন। সেই সংখ্যা এখন ২১-এ গিয়ে দাঁড়াচ্ছে।
‘ইসলামী ধারার ৮ ব্যাংক থেকে ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা’– নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়েছে, শক্তভিত্তির ওপর গড়ে ওঠার কারণে ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাপী মন্দার পর বিশ্বের অনেক দেশের ব্যাংকিং খাত সমস্যায় পড়লেও ব্যতিক্রম ছিল বাংলাদেশ। ওই সময় দেশের একটি ব্যাংকও বন্ধ হয়নি, বরং অর্থনীতিকে সুসংহত করতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিল দেশের ব্যাংকিং খাত। খবরে বলা হচ্ছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ব্যাংকিং খাত দুর্বল হতে থাকে। ২০১২ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় একসাথে ডজন খানেকের বেশি ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া হয়।
হলমার্ক, বেসিক ব্যাংকের মতো বড় কয়েকটি ঋণকেলেঙ্কারিতে তখন দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এর পরেও কিছু ব্যাংকের শক্তিশালী ভিত্তি থাকায় সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু ২০১৭ সালে বহুল আলোচিত সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলমের হঠাৎ আবির্ভাবে এলোমেলো হয়ে পড়ে দেশের ব্যাংকিং খাত। দেশের রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে একে একে দেশের প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো দখল করতে থাকেন। কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পানির মতো ব্যাংক থেকে নামে বেনামে টাকা বের করতে থাকে এই গ্রুপটি। এসব ঋণ পরিশোধ করাতো দূরের কথা বছর শেষে ন্যূনতম মুনাফাও পরিশোধ করা হয়নি, বলা হচ্ছে প্রতিবেদনে।
এভাবে ইসলামী ধারার ৮টি ব্যাংক থেকে দেড় লাখ কোটি টাকারও বেশি ঋণ বের করে নেয়া হয়। ইসলামী ধারার বাইরে অন্য ব্যাংক থেকেও আরো প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেয়া হয়। ফলে একসময় শক্তভিত্তির ওপর গড়ে উঠা এসব ব্যাংকগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। এস আলমের মালিকানায় থাকা বেশ কয়েকটি ব্যাংক এখন গ্রাহকের টাকা দিতে পারছে না। এস আলমের নামটি যেন দেশের অর্থনীতিতে ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে দেখা দিয়েছে বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘সালমানে কাহিল ব্যাংক-পুঁজিবাজার’– কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম এটি। খবরটিতে বলা হয়েছে, নানা কৌশলে সাধারণ মানুষের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কারণে কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে বিশেষ নামে পরিচিতি পেয়েছেন সালমান ফজলুর রহমান বা সালমান এফ রহমান। ওষুধশিল্পের পরিচিত নাম বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প খাতের উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে বেক্সিমকো ও সালমান এফ রহমানের নানা অপকীর্তি। খবরটি বলছে, এই এক ব্যক্তির সিন্ডিকেটেই তছনছ হয়ে গেছে দেশের ব্যাংক খাত ও শেয়ারবাজার।
দেশের ইতিহাসে দুটি বড় শেয়ার কেলেঙ্কারির হোতা সালমান এফ রহমান। বছরের পর বছর ধরে সালমান এফ রহমানের নজিরবিহীন আর্থিক অনিয়ম, বিভিন্ন ব্যাংকের টাকা লোপাটসহ শেয়ারবাজার জালিয়াতি অব্যাহত ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এসব তথ্য প্রকাশ্যে আসতে পারেনি। ব্যাংক ও শেয়ারবাজার থেকে জালিয়াতি, কারসাজি, প্লেসমেন্ট শেয়ার ও প্রতারণার মাধ্যমে সালমান এফ রহমান যে পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন, তা কয়েক লাখ কোটি টাকা বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্তও একদিন শেষ হয়’-দেশ রূপান্তরের খবর এটি। খবরে বলা হয়েছে, ঢাকা ওয়াসায় তাকসিম এ খানের ১৫ বছরের রাজত্বের অবসান ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে তার সঙ্গে করা চুক্তি বাতিল করেছে সরকার। একই সঙ্গে ডিএমডি এ কে এম শহিদউদ্দিন এমডির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। নতুন এমডি নিয়োগ দেওয়ার আগপর্যন্ত তিনি এ পদে থাকবেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সব দিকে কর্মকর্তারা পদত্যাগ করলেও তাকসিম ছিলেন অনড়। নিজের পদ রক্ষার শেষ চেষ্টা করেছেন আলোচিত সাবেক এমডি। এমনকি আত্মগোপনে থেকেও অফিস করেছেন।
ওয়াসার একটি সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, বিএনপি ঘরানার কর্মকর্তা ও শ্রমিক দলের নেতাদের দিয়ে বিভিন্ন মহলে তদবির করে নিজের পদ রক্ষার জোর তদবির করেছেন তাকসিম। তিনি এমডি থাকা সময় এসব কর্মকর্তাকে নানা সুবিধা দিয়ে হাতে রেখেছিলেন। তারাও প্রতিদান হিসেবে তাকসিমকে রক্ষার জন্য নানা মহলে তদবির করেছেন। সব তদবির ব্যর্থ হলে বুধবার রাতে অনলাইনে পদত্যাগের খবর প্রচার করে তাকসিমের ঘনিষ্ঠ একটি মহল।
‘চার দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা’– দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর। এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, চার দফা বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথে থাকবেন এবং কোনো ষড়যন্ত্র হলে সেটি ঠেকিয়ে দেবেন। রেজিস্ট্যান্স উইক কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা শাহবাগে ‘সর্বাত্মক অবস্থান কর্মসূচি’ পালন করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেওয়া “খুনি হাসিনার বিচারসহ’ চার দফা দাবিগুলো হলো- ১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। ২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলসহ যারা পরিকল্পিত ডাকাতি ও লুষ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিচার নিশ্চিত করা। ৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগের যারা ছাত্র-জনতারঅভ্যুত্থানে হামলা, মামলা এবং হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদ বারংবার কায়েমের চেষ্টা করেছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে । ৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
‘গণহত্যার তদন্ত শুরু’– যুগান্তর পত্রিকার প্রধান খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯ জনের নামে গণহত্যার অভিযোগটি মামলা হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় বুধবার মামলাটি রেকর্ড হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক আতাউর রহমানকে।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে বিচারের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন ও সংবিধানের ৪৯ ধারা প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ ট্রাইব্যুনাল আইনের ধারামতে, সংবাদপত্রের তথ্য ও কারও মৌখিক সাক্ষী দ্বারা বিচার করা যাবে আসামিদের। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে বিচারের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন ও সংবিধানের ৪৯ ধারা প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ ট্রাইব্যুনাল আইনের ধারামতে, সংবাদপত্রের তথ্য ও কারও মৌখিক সাক্ষী দ্বারা বিচার করা যাবে আসামিদের। – বিবিসি বাংলা