বসন্তের বাতাসে অ্যালার্জির প্রবণতা, একটু গাফিলতি হলেই মারাত্মক বিপদ

লাইফ স্টাইল সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

বসন্তের মৃদু বাতাসে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। একটু গাফিলতি করলেই চোখ-নাক দিয়ে পানিuncategorizedয়। এমন সমস্যা থাকলে এই সময়টা খুব সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

মানবশরীরে নিজস্ব প্রোটিন ছাড়া কোনও ‘ফরেন’ প্রোটিন ঢুকলে শরীর তার বিরুদ্ধে ‘অ্যান্টিবডি’ তৈরি করে। এই প্রক্রিয়া উপকারী হলে ‘ইমিউনিটি’, আর ক্ষতিকর হলে তা ‘অ্যালার্জি’। পোলেন অ্যালার্জি (Pollen Allergies) রোগ নয়, রোগের কারণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হয়। নাক-চোখ দিয়ে পানি পড়ে, হাঁচি-কাশি, অ্যাস্থমা হয়। চামড়ার রোগও হতে পারে।

কাদের হয়?

ছ’মাসের শিশু থেকে আশি বছরের বৃদ্ধ– যে কেউ এর দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। আবার ছোটবেলায় কারও ধাত ছিল, পরে তা কমে গেলো তাদের, আবার ৫০ পেরোলে হলো তাদের, এমনটাও ঘটে।

কী থেকে হয়?
যে কোনও ফুলের রেণু থেকে হতে পারে। সবচেয়ে বেশি হয় ‘গ্রাস পোলেন’ থেকে অর্থাৎ ঘাস। ফুলের রেণু বাতাসে ভাসে। তা শ্বাসবায়ুর সঙ্গে মিশে মানবশরীরে ঢোকে। এই মৌসুম মানে ফেব্রুয়ারি-মার্চ-এপ্রিলে অ্যালার্জির প্রবণতা বাড়ে। কারণ ‘সিজন চেঞ্জ’। এই সময় বায়ুমণ্ডলে ‘পোলেন কাউন্ট’ বাড়ে। উন্নত দেশের সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে নিয়মিত আপডেট দেওয়া হয়। বিদেশে কোন দিন বাতাসে ‘পোলেন’ বাড়ছে বা কমছে, তার আপডেট নাগরিকদের জানানো হয়। এতে যাঁদের অ্যালার্জির ধাত আছে, তাঁরা সাবধান হতে পারেন। এদেশে তেমন ব্যবস্থা চোখে পড়েনা।

অ্যালার্জি বুঝবেন কীভাবে?
নাক দিয়ে পানি পড়লে, হাঁচি হলে অনেকে ডাক্তারের কাছে যান। তখনই জানা যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন না, অ্যালার্জি হচ্ছে কী থেকে? উত্তর মেলে পরীক্ষা করালে। পরীক্ষা দু’রকম। এক, স্কিন প্রিক টেস্ট। ডাক্তাররা যদি সন্দেহ করেন, কোনও নির্দিষ্ট কিছু থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে, তখন আক্রান্তের চামড়ার উপর একটি বিশেষ ওষুধ লাগিয়ে, সুচ ফোটানো হয়। সত্যিই ওই বস্তু থেকে অ্যালার্জি হলে চামড়া লাল হয়ে ফুলে ‘রিঅ্যাকশন’ হয়। দ্বিতীয় ব্লাড টেস্ট। একে ‘অ্যালার্জেন স্পেসিফিক’ টেস্ট (আইজিই) বলে। আইজিই হল একটি প্রোটিন, যা অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন ঘটায়।

নির্দিষ্ট খাবারেও কি অ্যালার্জি?
ফুড অ্যালার্জি (Food Allergy) অন্য বিষয়। এর সঙ্গে অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। আর খাবার থেকে অ্যালার্জি হয়েছে কি না তা ধরা সহজ। কারণ রোগী নিজেই জানান, কী খাওয়ার পর হয়েছে।
👉ডায়নামিক ওয়েবসাইট দিয়েই গড়ে তুলুন আপনার প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসার ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি। সেবা দেয়ার জন্য সবসময় আপনার পাশে আছে ‘ভার্সডসফট’।
Tagged

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *