বরিস জনসন এবং আরো দুই এমপির পদত্যাগ

যুক্তরাজ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এরপর আরও দুজন এমপি পদত্যাগ করেছেন। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিন সংসদ সদস্য। এতে কিছুটা বিপাকে পরেছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিন আসনে উপনির্বাচন আয়োজন করতে হবে তাকে।

শুক্রবার (৯ জুন) হাউজ অব কমন্স থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক নেতা্‌ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। করোনা মহামারির লকডাউনের মধ্যেও জন্মদিনসহ অন্যান্য পার্টি করায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল প্রিভিলিজেস কমিটি। তবে এ কমিটি রায় দেওয়ার আগেই সরে গেছেন তিনি।

এর একদিন পরই শনিবার (১০ জুন) এমপি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন নাদিন ডরিস এবং নাইজেল এডামস। পদত্যাগ করা সবাই কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য।

এই তিনজনের পর আরও এমপি যদি পদত্যাগ করেন তাহলে আরও চাপ বাড়বে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ওপর। ইতোমধ্যেই বিরোধী দল লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা ডেইসি কপার ও ইডি ডেভি নতুন সাধারণ নির্বাচন ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

ডেইসি কপার বলেছেন, ‘কনজারভেটিভ পার্টি গলে গেছে এবং তাদের অবশ্যই সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমাদের স্বাস্থ্যখাত (এনএইচএস) এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হওয়ার পর— এই বিশৃঙ্খল কনজারভেটিভ সরকার নিয়ে, সাধারণ মানুষকে সরাসরি মতামত দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার সময় এসেছে।’

উল্লেখ্য, কোভিড -১৯ মহামারীকালে পার্টি করার অভিযোগ আছে জনসনের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে কমন্স প্রিভিলেজেস কমিটি তদন্ত করছে। তারা তদন্ত করে দেখছে ডাউনিং স্ট্রিটে তিনি লকডাউন লংঘন করে কমন্সকে বিভ্রান্ত করেছেন কিনা।

ওই কমিটির রিপোর্ট আগেই দেখেছেন বরিস জনসন। তারপর পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন। তিনি অবশ্য বলেছেন, পার্টিগেট কেলেংকারিতে তাকে জোরপূর্বক পার্লামেন্টের বাইরে রাখা হলো। পার্লামেন্ট ত্যাগ করা খুবই দুঃখজনক বলে তিনি দাবি করেন। দিয়েছেন একটি দীর্ঘ বিবৃতি। তাতে জনসনবিরোধীদের তাকে তাড়ানোর চেষ্টা করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন এবং ইঙ্গিত দিয়েছেন, তার ‘রোলারকোস্টার’ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এখনও শেষ হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *