পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আন্তর্জাতিক সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসি অভিযোগ করছে, ইউক্রেন থেকে শিশুদের বেআইনিভাবে রাশিয়ায় নির্বাসনসহ যুদ্ধাপরাধের জন্য পুতিন দায়ী।সেখানে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রশিয়া ইউক্রেইনে পুরোদমে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

ইউক্রেন রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ব্যাপক যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করে আসছে ইউক্রেইন ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা। তবে বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মস্কো।

আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান এক বছর আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেশটির শিশুবিষয়ক কমিশনার এলভোভা–বেলোভা ইউক্রেনীয় শিশুদের দেশান্তর করার পর রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে কীভাবে তাদের দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। ওই টেলিভিশন সম্প্রচারের পরই সম্ভবত আইসিসির কৌঁসুলি তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বলে মনে করা হচ্ছে।

পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ‘মূল্যহীন’: রাশিয়া

শুক্রবার (১৭ মার্চ) পুতিনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আইসিসি। এ ঘটনার পর পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিকে মূল্যহীন বলছে রাশিয়া।

গ্রেফতারের বিষয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা বলেছেন, ‘রাশিয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কোনো সদস্য নয় এবং এর নির্দেশ মানার জন্য বাধ্য নয়। রাশিয়া এ আদালতকে কোনো সহযোগিতা করে না। আন্তর্জাতিক আদালত থেকে আসা গ্রেফতারি পরোয়ানা আইনগতভাবে আমাদের কাছে ভিত্তিহীন।’

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক পোস্টে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ মিত্র পার্লামেন্টের স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভোলোদিন বলেছেন, আইসিসির সিদ্ধান্ত পশ্চিমা ‘হিস্টিরিয়া’ এর প্রমাণ। রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের ওপর যে কোনো আক্রমণকে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করি।

রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন কোনো দেশই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। তবে অতীতে এ আদালতের দেওয়া রায় মেনে নিয়েছিল ইউক্রেন।

এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কারও অনুপস্থিতিতে বিচার করে না। ফলে পুতিনকে যদি বিচারের মুখোমুখি করতে হয়— তাহলে তাকে রাশিয়াকেই আদালতে সোপর্দ করতে হবে অথবা অন্য কোনো দেশে পুতিনকে আটক করে আদালতের কাছে তুলে দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *