নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের বাড়ি উচ্ছেদের বিষয়ে শুনানি আজ

এশিয়া সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের শান্তি নিকেতনের ‘প্রতীচী’ বাসভবন থেকে উচ্ছেদের বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য চূড়ান্ত দিন ধার্য করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

গত ১৯ মার্চ উচ্ছেদের নোটিশ জারি করে তার শান্তিনিকেতনের ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়। বিশ্বভারতীর সেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিম্যাল জমি দখল করেছেন। তাই আইন মেনে কেন তাকে ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করা হবে না?

কয়েকদিন আগে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক অমর্ত্য সেনকে চিঠি পাঠায়। এতে বলা হয়, ওই ১৩ ডেসিম্যাল জমি যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দিতে হবে। অমর্ত্য পাল্টা দাবি করেন, ওই জমি তাঁর বাবার আমলের। ওই বাড়ির জমির একটা অংশ বিশ্বভারতীর কাছ থেকে লিজ নেওয়া ও কিছু জমি কেনা। ১৯৪৩ সালে তাঁর বাবা আশুতোষ সেনকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই জমি ইজারা দিয়েছিল। সেই জমি তাঁর নামে বীরভূমের বোলপুরের ভূমি দপ্তর থেকে মিউটেশনও করা হয়েছে। সুতরাং অবৈধ দখলের প্রশ্ন নেই। এখন কর্তৃপক্ষ মিথ্যাচার করছে।

শান্তিনিকেতনে অমর্ত্যের সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জমির মূল্যায়ন সংক্রান্ত নথি অর্থনীতিবিদদের হাতে তুলে দেন। মমতা নিজেই বিএলআরও অফিসে গিয়েছিলেন। এরপর বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে মমতা জানান, মানুষকে এভাবে অপমান করা যায় না।

এদিকে আজ স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় শুনানি হওয়ার কথা। অমর্ত্য সেন বিদেশে থাকায় ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে না পারায় তাঁর আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী তিন মাসের সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।

অমর্ত্য সেনের অনুপস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার যাতে তাঁর বাড়ি ও জমি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া না হয়, সেই দাবি জানিয়ে আইনজীবী গোরাচাঁদ বোলপুর মহকুমা শাসকের কাছে একটি আবেদন করে বলেন, ‘অমর্ত্য সেন দেশে না ফেরা পর্যন্ত তাঁর ইজারা নেওয়া জায়গা ও ‘প্রতীচী’ যেন সুরক্ষিত রাখা হয়।

বোলপুরের মহকুমা শাসক অয়ন নাথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অমর্ত্য সেনের আবেদন পেয়েছি। পুলিশের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *