নিয়ন্ত্রণহীন রাগ হতে পারে ভয়াবহ : মুফতি মেনক

ধর্ম ও দর্শন মতামত
শেয়ার করুন

অনুবাদ: মাসুম খলিলী

এক. ইতিবাচক হোন। যা গুরুত্বপূর্ণ তার উপর ফোকাস করুন। নেতিবাচকতা আপনি চান না এমন অনুভুতি তৈরি করবে। আপনি যদি নেতিবাচকতাকে প্রশ্রয় দেন, তাহলে এটি আপনার শক্তিকে নষ্ট করে দিতে পারে এবং আপনার মধ্যে নিঃস্ববোধ নিয়ে আসবে। এটি আপনার অভ্যন্তরীণ শান্তিকে নিঃশ্বেষ করতে পারে। এর লক্ষণগুলি চিনুন এবং আরও ভাল বাছাই করতে শিখুন। বাইরের শোরগোল উপেক্ষা করুন।

দুই. আপনার রাগকে সংযত করুন কারণ আপনি যদি এটিকে নিজ নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে যেতে দেন তবে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। অভিশাপ দেওয়া, গালমন্দ করা, ঘৃণা ছড়ানো এবং কাউকে আঘাত করা হবে এর সম্ভাব্য ফলাফল। রাগ অনেক খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অনুশীলন করুন এবং এতে আপনাকে অনুশোচনা নিয়ে বাঁচতে হবে না।

পূনশ্চঃ

এক. আপনি কি সবসময় অসুখী? আপনি কি অস্থির বোধ করেন? সুখ তাদের কাছে আসবে না যারা সর্বশক্তিমানের নেয়ামতের জন্য কখনো কৃতজ্ঞ হয় না। এই পৃথিবী এমন জায়গা নয় যেখানে আপনি যা চান ঠিক তা পান। এখানে অনেকে আছে যারা আপনার যা আছে তা কখনই পাবে না; তাই সবসময় কৃতজ্ঞ থাকুন।

দুই. আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হই সে সব আমাদের পরাজিত করতে পারে। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, মানসিক চাপ ইত্যাদিকে এটি দ্বিগুণ করতে পারে আর সে সাথে এটি আমাদের অনুভবের উপর জোরালো প্রভাবও ফেলতে পারে। মনে রাখবেন, প্রত্যেকেই তাদের জীবনে সমস্যার সাথে লড়াই করে। মানসিকতা ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য সঠিক মনোভাব বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ!

তিন. প্রবৃদ্ধি কখনো কখনো অস্বস্তিকরও হতে পারে। এটিকে প্রতিরোধ করবেন না। এটিকে গ্রহণ করুন কারণ এটি আপনার চরিত্রের বিকাশ ঘটাচ্ছে। এটি সহিষ্ণুতা তৈরি করছে। এটি আপনার বিকাশের পরবর্তী স্তরের জন্য আপনাকে প্রস্তুত করছে। আপনাকে নির্বাচিত করার জন্য সর্বশক্তিমানকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আপনার ভবিষ্যতের জন্য আনুকুল্য দান করছেন। কৃতজ্ঞ হোন!

চার. সর্বশক্তিমান। পাপপূর্ণ আচরণ থেকে আমাদের দূরে রাখুন। কাঙ্ক্ষিত নয় এমন পরিস্থিতিতে যারা পড়েছেন তাদের সহায়তা করুন এবং আপনার কাছে ফিরে আসার প্রস্তুতি যারা বন্ধ করে দিয়েছেন তাদের আবার ফিরিয়ে নিন। তাদের অন্তরকে নরম করুন যাতে তারা প্রার্থনার মাধ্যমে আপনার সাথে আবার যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। ক্রমাগতভাবে আমাদের মনে করিয়ে দিন যে, আমরা আপনার উপর নির্ভর করি, আমাদের নিজেদের উপর নয়!

দ্রষ্টব্যঃ

তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে ছুটে যাও, যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও জমিন, যা তৈরি করা হয়েছে পরহেজগারদের জন্য। যারা সচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষকে ক্ষমা করে, বস্তুত আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩৪)

তারা মুসলমান হয়ে আপনাকে ধন্য করেছে মনে করে। বলুন, তোমরা মুসলমান হয়ে আমাকে ধন্য করেছ মনে করো না; বরং আল্লাহ ঈমানের পথে পরিচালিত করে তোমাদের ধন্য করেছেন, যদি তোমরা সত্যনিষ্ঠ হয়ে থাকো। (সূরা হুজুরাত : ১৭)

নিশ্চয়ই মুনাফিকরা (কপট) জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে। আর তুমি কখনো তাদের জন্য কোনো সাহায্যকারী পাবে না। (সূরা নিসা: ১৪৫)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *