দ্রব্য মূল্যের লাগাম টানতে হলে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে চুরমার করে দিতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা বৈষম্যহীন ও শোষনমুক্ত একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এজন্য ৪১ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছি। এর মধ্যে ১০ দফা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছি। আমরা একটি পরিপূর্ণ বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি। এতে এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই, যেখানে নারী-পুরুষ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কোন মানুষ তার ন্যয্য নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেনা। বাজারে এখানো স্বৈরাচারের দোসরদের সিন্ডিকেট বিদ্ধমান উল্লেখ করে আমীরে জামায়াত বলেন, যার কারণে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। কিন্ত দূর্ভাগ্যবশত এখনো সে সিন্ডিকেট ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি। দ্রব্য মূল্যের লাগাম টানতে হলে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে চুরমার করে দিতে হবে। কোন মানুষ অর্থাভাব ও দারিদ্র্যতার কারণে ফুটপাতে থাকবে তা বরদাস্ত করা হবে না। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হবে প্রত্যেকটি বঞ্চিত ও দরিদ্র পরিবারের জন্য আশ্রয়ানের নিশ্চয়তা প্রদান করা।

১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীরে জামায়াত এসব কথা বলেন। জেলা আমীর গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মুহা. মোবারক হোসাইন আকন্দের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার ও অধ্যক্ষ কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা আমীর সৈয়দ গোলাম সারওয়ার, জেলা নায়েবে আমীর কাজী ইয়াকুব আলী, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখি, প্রত্যেক আদম সন্তান তার মায়ের পেট থেকে জন্ম নেয়ার পরে রাষ্ট্রের কাছ থেকে সকল অধিকার পাবে। এমন একটি শিক্ষা আমাদের সন্তানদের হাতে তুলে দিতে চাই, যে শিক্ষা তাদেরকে নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়র করে তুলবে। পাশাপাশি তাদের হাত কর্মীর হাতে পরিণত হবে। আমরা এমন একটি সমাজ চাই, যে সমাজে একজন বিচার প্রার্থীকে আদালত প্রাঙ্গনে বিভিন্ন হয়রানীর শিকার হতে হবেনা। কোন বিচারক তার আসনে বসে আল্লাহকে ছাড়া আর কোন রাষ্ট্রশক্তিকে পরোয়া করবে না। রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী বিচার কার্য পরিচালনা করবে। বিচার ব্যবস্থায় উচু নিচু কাউকে মাপা হবে না। বিচার প্রার্থীকে বিচার প্রার্থী হিসেবে দেখবে। কেউ যদি মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে আদালতে হাজির হয়, তাহলে মিথ্যা অভিযোগ করার জন্যও তাকে দন্ড দিতে হবে। আবার যদি সঠিক অভিযোগ নিয়ে কেউ হাজির হয়, তাহলে অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করে তাকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *