দুর্নীতিবাজ আমলাদের ব্যাপারে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পোস্ট ভাইরাল

সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদে সিলেট-১ আসনের সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন ২২ ঘন্টা আগে নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ড. মোমেনের স্ট্যাটাসটি গতকাল রোববার থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত ৩ সহস্রাধিক প্রতিক্রিয়া, ৫ শতাধিক মন্তব্য এবং ৪শর বেশি শেয়ার হয়েছে।

আজিজ-বেনজির-আনার কান্ড থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশে একের পর এক কান্ড ঘটে চলেছে। ‘ছাগল-কাণ্ডে’ মতিউরকে সরিয়ে দেওয়ার পর এবার পরীমনি–কাণ্ডে আলোচনায় রয়েছেন পুলিশের সাবেক এডিসি সাকলায়েন। এমন সময় দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পদ নিলামে বিক্রি করে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. মোমেন লিখেছেন- ”দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তদের এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে বদলি কোনো কার্যকরী শাস্তি হতে পারে না। বরং দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পদের সঠিক হিসাব বের করতে হবে এবং তার সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নিলামে বিক্রি করে দেয়া দরকার এবং অবশ্যই তাকে তড়িতাবেগে চাকরিচ্যূত করতে হবে। বদলি শাস্তি হতে পারে না। মনে রাখতে হবে, সরকারি চাকুরিজীবির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ও সম্পদ হচ্ছে তার সরকারি চাকুরিটি। দুর্নীতি পরায়ণরা জনগণের শত্রু, দেশের শত্রু।”

দেশে ও প্রবাসে যারা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তাদের মধ্যে অধিক সংখ্যকই বিষয়টি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। এটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানিয়েছেন। শালীন ও মার্জিত ভাষায় যারা অভিমত দিয়েছেন তার মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে নিম্নরূপ:

Mojir Uddin- স্যালুট আপনাকে। সংসদে আওয়াজ চাই।
Hussen Ahmed- আপনার সুযোগ আছে তাই এই কথা সংসদে বলেন।
Delowar Hussain- সহমত স্যার, এটার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
Lutfur Rahman Gulzar- সঠিক, এরকম হলে দুর্নীতি অনেকটা কমে যেত, বাকিরা সতর্ক থাকত।
Shohel Mostafiz- বাংলাদেশের জনগণের প্রধান শত্রু এখন দুর্নীতিবাজ লুটপাটকারী গোষ্ঠী।
Amir Ahmed Mustofa- ধন্যবাদ স্যার সময় উপযোগী সঠিক কথা বলার জন্য। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে এখনই সময় রুখে দাঁড়াবার।
Badrul Islam Masum- সুন্দর একটি কথা বলেছেন স্যার। এটা ফেসবুকের সাথে সাথে সংসদেও আপনাদের আওয়াজ তুলতে হবে।
Johirul Islam- একদম সঠিক বলছেন আপনি! এক অফিস থেকে আরেক অফিসে বদলি মানে চোরকে_ডাকাত হওয়ার পারমিশন দেওয়া!
Raihanul Ferdous Raj- কিন্তু আসল কথা হচ্ছে, বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধঁবে কে?
শফিকুল ইসলাম- আমি আপনার এই কথায় একমত,,,অনেক কথায় বিরোধিতা আছে আজকের এই কথাটা চরম ভাল লাগছে,,, ধন্যবাদ আপনাকে,,,
Bappa Bayjed- কিভাবে সম্ভব? অর্থ ও দুর্নীতি জমিন নষ্ট করছে, কুটিল রাজনীতিবিদরা শ্রমজীবী মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে, লাভের পকেট তৈরি করছে। আমাদেরকে ভেড়ার মতো ব্যবহার করছে এবং আমরা যে প্রতিশ্রুতি শুনেছি তা শুনে শুনে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, যা তারা কখনও রাখবে না ।
Arman Hossin- যেখানে ১৫ % কর দিয়ে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার নিয়ম করে দিছে, সেখানে অভিযুক্তের কঠিন বিচার চাওয়া বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।
Abdur Rahman- Well said Abdul Momen sir. You are truly an inspiring person and I was glad to meet you and learned about your educational journey from one of the reputable and top universities in the world. I truly believe that you are a honest man person.
Faruk Ahmod- আসসালামু আলাইকুম স্যার একটা কিছু করেন স্যার দেশের জন্য দেশের সাধারণ গরিব মানুষের জন্য যে পরিমাণ দুর্নীতি শুরু হয়েছে সরকারি দপ্তর গুলোতে এবং ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মধ্যে সাধারণ মানুষ আজ বড় অসহায় আমি একজন সাধারণ প্রবাসী প্রত্যেক গ্রামে মধ্যবিদ পরিবারগুলো আজ বড় কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে
Abul Kalam Azad- বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে আপনি যথার্থই বলেছেন৷ আগে থেকেই আপনাদের এই ধরনের কথাবার্তা এবং চিন্তা থাকলে এই ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হত না৷ দেখা যাক কী হয়৷ স্যার কিছু মনে করবেন না৷ আমার মনে হয় জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার অন্ত:সারশূন্য৷
Mohammad Rokonnurzzaman Tareq- এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে বদলির অর্থ অভিযুক্তকে দুর্নীতিতে আরও উৎসাহী করে তোলা। শুধু চাকরিচ্যুত বা বাড়ি ঘর নিলামে তোলা নয় এদেরকে দেশের সবচেয়ে নি কৃ ষ্টতম নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে কোন একটা খোলা চত্বরে ঘৃণাস্তম্ভ নির্মান করে সেখানে ফটো টাঙ্গিয়ে দেওয়া উচিত যাতে মানুষ যাইতে আসতে এদের উপর থু থু ছিটাইতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *