‘দিল্লি না বেইজিং কোন দিকে ঝুঁকছে ঢাকা’

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থান নিয়ে মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর, ‘দিল্লি না বেইজিং কোন দিকে ঝুঁকছে ঢাকা?’ প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পরিবর্তিত ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি তথা বিশ্ব বাস্তবতায় এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও চীনের মধ্যে কাকে বেশি কাছে টানছে উভয়ের বন্ধু বাংলাদেশ বা কার প্রতি বেশি আকর্ষণ বোধ করছে? সেই প্রশ্ন এখন সর্বত্র। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বা পেশাদার কূটনীতিকরা এ নিয়ে কথা বলতে বরাবরই সতর্ক। তারা প্রায়ই ‘ব্যালেন্স ফরেন পলিসি’র বয়ান হাজির করার চেষ্টা করেন। যদিও বাস্তবতা ভিন্ন।

পেশাদাররা এমনটাও বলেন যে, উদ্ভূত পরিস্থিতি বা ঘটনা বিবেচনায় বাইরে থেকে যে কারও মনে হতে পরে যে, বাংলাদেশ একটি বন্ধু রাষ্ট্রের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়েছে। কিন্তু হয়তো পর্দার আড়ালে অন্য বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে নিঃশব্দে ভিন্ন কিছু হচ্ছে! আর এর মধ্য দিয়ে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টাই প্রতিনিয়ত করে চলেছে ঢাকা।

গত ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনে যুদ্ধবন্ধু ভারত এবং উন্নয়নবন্ধু চীনের জোরালো সমর্থন ছিল। যা দেশ দু’টির প্রতি বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে দায়বদ্ধ করেছে বলে মনে করেন সমালোচকরা। আর সে কারণেই ১০ দিনের ব্যবধানের দু’দফা নয়াদিল্লি সফর এবং সেই সফরের এক মাসের মধ্যেই পূর্ব-নির্ধারিত তারিখ ৮ই জুলাই বেইজিং যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের বিদ্যমান নানা সংকট থেকে উত্তরণে দেশ দু’টির কাছে বড় সহযোগিতা পাওয়ার আশা সরকারের।

এদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Pension protest brings public univs to halt’ অর্থাৎ, ‘পেনশন বিক্ষোভে অচলাবস্থা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রত্যয় নামে নতুন একটি সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে রোববার থেকে ধর্মঘট শুরু করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। পেনশন নিয়ে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের তিনদিনের ধর্মঘটের প্রথম দিন প্রশাসনিক কোনো কাজ হয়নি। অর্থাৎ যে ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীরা ধর্মঘট করেছেন সেখানে কোনো ক্লাস, পরীক্ষা, বা ভর্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম হয়নি।

বেশিরভাগ শ্রেণিকক্ষ এবং লাইব্রেরি তালাবদ্ধ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বাসও শেড ছেড়ে যায়নি। এক কথায় শিক্ষকদের এই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অচল হয়ে পড়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। এছাড়া সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বড় কোম্পানিগুলোকে বিশেষ সুবিধা দেয়া প্রসঙ্গে সমকালের প্রথম পাতার খবর, ‘নিয়ম না মেনে চার গ্রুপের ৬৪৯৭ কোটির সুদ মাফ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের চার ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলম, নাসা, বিসমিল্লাহ এবং এনানটেক্স গ্রুপকে নিয়ম লঙ্ঘন করে বড় অংকের সুদ মওকুফের সুবিধা দিয়েছে দুটি ব্যাংক। এসব গ্রুপের ১৪ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ছয় হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা মওকুফ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানার জনতা ব্যাংক নাসা, বিসমিল্লাহ এবং এননট্যাক্স গ্রুপকে চার হাজার ২২৪ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করেছে। আর ন্যাশনাল ব্যাংক এস আলম গ্রুপের দুই হাজার ২৮৩ কোটি টাকার মওকুফ করে দিয়েছে।
এভাবে ব্যাংক খাতে গত তিন বছরে সব মিলিয়ে আট হাজার ৮০০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ঋণ গ্রহীতার মৃত্যু, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, মড়ক, নদী ভাঙ্গন, দুর্দশাজনিত কারণ বা বন্ধ প্রকল্পে আংশিক বা সম্পূর্ণ সুদ মওকুফ করা যাবে। তবে আয় খাত বিকলন ও নিয়মিত ঋণে, সুদ মওকুফ করার নিয়ম নেই। তবে এস আলম গ্রুপ ও নাসা গ্রুপের কারখানা সচল এবং প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগের ঘটনা না ঘটলেও আয় খাত বিকলন করে সুদ মওকুফ করেছে ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদন নিয়ে এই সুবিধা দেয়া হয়েছে। অথচ ২০২১ ও ২০২২ সালে বড় অংকের সুদ মওকুফ করা ব্যাংক দুটি এখন নিজেরাই নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানের অব্যবস্থাপনা নিয়ে দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘গরিবের প্রকল্প সচ্ছলদের পেটে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সমাজের দরিদ্র স্বল্প শিক্ষিত পিছিয়ে পড়া নারী পুরুষদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ১২৩ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র-বিটাক। দারিদ্র বিমোচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী বিটাক ২০২০ সালের অক্টোবরে ১২৩ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পটি শুরু করে। এর মূল লক্ষ্য ছিল, সমাজের একেবারেই দরিদ্র সর্বশিক্ষিত সাত হাজার ৪৪০ জন পুরুষ ও সাত হাজার ৫৬০ জন নারীকে কারিগরি শিক্ষা দিয়ে দক্ষ করে তোলা।

কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে হতদরিদ্ররাই ছিলেন পিছিয়ে। এ প্রকল্পের অধীনে যারা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তাদের প্রায় ৫০ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী। আর্থিকভাবে তারা হয় উচ্চবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত। যেই জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে এই প্রশিক্ষণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় তারাই ব্রাত্য। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের এক পর্যবেক্ষণ এইসব তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন কাঙ্ক্ষিত জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ না পাওয়াটা প্রকল্পের অর্থের অপব্যয়।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি নয়’। প্রতিবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
তিনি বলেছেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি সরকার কোনো সহানুভূতি দেখাবে না এবং দেখানো হচ্ছেও না।
সরকারের পুরো ব্যবস্থাপনা মিলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি জানান। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক-পরবর্তী ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। সরকারের পুরো ব্যবস্থাপনা মিলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দুর্নীতি তো সবাই করে না। যারা দুর্নীতি করছে তারা সরকারের নজরে এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

এদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সে যে-ই হোক, দুর্নীতি করলে কারো রক্ষা নেই। যারাই দুর্নীতি করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের এমন অবস্থান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্যসাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমানসহ বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতির নানা অভিযোগ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই সরকারপ্রধান এবং প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা মন্ত্রিপরিষদসচিবের কাছ থেকে এমন বক্তব্য এসেছে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘দেশী বিনিয়োগে ভাটা শীর্ষ আগ্রহীরাও বিনিয়োগ করেনি’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে গত তিন অর্থবছরে (২০২১-২২ থেকে ২০২৩-২৪ পর্যন্ত) নতুন বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধনের পরিমাণ কমেছে ব্যাপক মাত্রায়। এমনকি এ সময় শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকেও নতুন বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি তেমন একটা আসেনি। এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের ভাষ্য হলো ডলার সংকট, উচ্চ সুদহার ও বিনিয়োগ পরিবেশে বিদ্যমান অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা তাদের ঘোষিত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এখন নতুন বিনিয়োগ নিয়েও তারা এগিয়ে আসতে পারছেন না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বিদ্যুৎ খাতে সক্ষমতা বাড়াতে বেসরকারিভাবে নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনা করেছিল আনলিমা মেঘনাঘাট পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেড। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ২৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ডে (বিডা) নিবন্ধন করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো ভূমি উন্নয়নসংক্রান্ত কাজ ছাড়া প্রকল্পের আর কোনো কাজ সেভাবে এগিয়ে নিতে পারেনি আনলিমা। বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর জন্য পর্যাপ্ত গ্যাসের সংস্থান না থাকা, যন্ত্রপাতি আমদানিতে ডলারের সংকট এবং বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের বিপরীতে ‍উচ্চ সুদের কারণে প্রকল্পটি ‘ধীরে চলো নীতি’তে চলছে।

গ্যাস সরবরাহ নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘গ্যাসের উৎপাদন টানা কমছে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে একসময় দিনে আড়াই হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস উৎপাদন করা হলেও এখন তা দুই হাজার মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এসেছে। এতে সরবরাহ–সংকট বাড়ছে। যদিও কূপ খনন করে গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে সরকার। এতে গ্যাসের মজুত কিছুটা বাড়ছে। চলমান গ্যাস–সংকটের এমন পরিস্থিতিতেও দেশের সবচেয়ে বেশি মজুত থাকা তিনটি গ্যাসক্ষেত্র থেকে কমছে উৎপাদন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি বিভাগের অবহেলা ও অদক্ষতা এর জন্য দায়ী। কারিগরি পরিকল্পনা ও দক্ষ প্রযুক্তির অভাবে মজুত থাকার পরও উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না। অথচ কম মজুত থাকা বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে কয়েক গুণ উৎপাদন বাড়িয়ে তা শেষ করা হয়েছে। ২০১৮–১৯ অর্থবছরে গড়ে গ্যাস উৎপাদন ছিল দিনে ২ হাজার ৬৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট। পরের বছর এটি কমে হয় ২ হাজার ৪২৩ মিলিয়ন ঘনফুট।

২০২২–২৩ অর্থবছরে দিনে উৎপাদন হয় গড়ে ২ হাজার ২০১ মিলিয়ন ঘনফুট। তবে প্রকাশিত গ্যাস মজুতের তথ্য অনুসারে বিবিয়ানা ও জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য মজুত শেষ হয়ে যাওয়ার কথা গত বছর। দুটি গ্যাসক্ষেত্র থেকেই এখনো উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মজুতে কত বছর চলবে, তা এভাবে বলা যাবে না। কেননা গ্যাসের মজুত কমতে থাকায় একই হারে উৎপাদন অব্যাহত রাখা যাবে না। এটি প্রতিবছর কমতে পারে।

এদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বস্তির খবর দিয়ে সংবাদের প্রধান শিরোনাম, ‘পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র ফিরলো পূর্ণ সক্ষমতায়, স্বস্তি পিডিবির’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষে পটুয়াখালীর পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র আবার পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন শুরু করেছে। পটুয়াখালীর পায়রা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত ২৫শে জুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির একটি ইউনিট বন্ধ করা হয়েছিল।

কথা ছিল জুলাই মাসের চার থেকে পাঁচ তারিখের মধ্যে এটি পুনরায় চালু করা হবে। তবে তার আগেই রোববার বিকেলে ইউনিটটি থেকে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়। নিজস্ব চাহিদা পূরণের পর এক হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রতিটি ইউনিট থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে ৬২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বন্ধ থাকা ৬২২ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট সোমবার বিকেলে চালু হয়েছে।

এদিকে কারিগরি ত্রুটির কারণে তিন দিন বন্ধ থাকার পর ভারতের ঝাড়খন্ড থেকে আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎ আবারও বাংলাদেশে আসা শুরু হয়েছে। পায়রা ও আদানি থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ পাওয়ায় পিডিবিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছে এখন লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই সহজ হবে। উৎপাদন বিবেচনায় পায়রা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র যা মোট চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশের যোগান দেয়। তার মধ্যে আদানির বিদ্যুৎ আসায় স্বস্তি ফিরেছে।

নদ নদীর পানি বাড়তে থাকা নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘ধেয়ে আসছে বন্যা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পাশাপাশি ভারী বর্ষণে এরই মধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ, রংপুরের প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবান ও মধ্যাঞ্চল শেরপুরের বিভিন্ন নদীর পানিও বাড়ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক অবস্থানে রয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা।

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাবার সাথে সাথে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এ ছাড়া বেড়েই চলেছে জেলার অন্য নদ-নদীর পানি। অন্যদিকে পার্বত্য জেলাগুলোর কোথাও কোথাও টানা বৃষ্টিপাতে ভূমিধসের শঙ্কা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় আবারও বাড়তে শুরু করেছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি। আবার পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি যাদুকাটা নদী হয়ে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুরের একটি অংশ প্লাবিত করেছে। ফলে খেয়া নৌকা ব্যবহার করছেন স্থানীয়রা। – বিবিসি বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *