ড. ইনূসের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের বৈঠক

সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। জামায়াত আমির ডা: শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে ১১ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল সোমবার (১২ আগস্ট ২০২৪) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে এ বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো: তাহের (সাবেক এমপি) ও মাওলানা আ. ন. ম শামসুল ইসলাম (সাবেক এমপি), সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ (সাবেক এমপি) ও অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো: সেলিম উদ্দিন।

প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক যথাক্রমে উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

সারাদেশে বিগত সরকারের শাসনামলে দায়ের করা সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সারাদেশে সংঘটিত সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিগত সরকারের শাসনামলে দায়েরকৃত সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন ও বিচারবিভাগসহ বিগত সরকারের অপকর্মের মদদদাতা কর্মকর্তাদের অপসারণ করে তদস্থলে সৎ, দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে। বিগত সরকারের শাসনামলের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং মন্ত্রী-এমপি ও সরকারি কর্মকর্তাসহ সকল দুর্নীতিবাজদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। বিগত সরকারের আমলে প্রমোশনবঞ্চিতদের দ্রুত প্রমোশন দেওয়া ও সম্মানজনক পদায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। জোরপূর্বক অবসরপ্রাপ্তদের চাকরিতে ফিরিয়ে আনা বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে।

জামায়াতের আমীর আরও বলেন, কোটা আন্দোলনের সমর্থনে আরব আমিরাতে বিক্ষোভকারী ৫৭ জন বাংলাদেশিকে সম্মানজনক পুনর্বাসন করতে হবে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতি সচল করার পদক্ষেপ গ্রহণ এবং পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের এই কঠিন মুহূর্তে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ও সহায়-সম্পদে হামলা চালিয়ে কোনো কুচক্রী মহল যাতে পানি ঘোলাটে করতে না পারে, সেজন্য জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির পাহারাদারের ভূমিকা পালন করে আসছে। যেহেতু বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করেছে, সেজন্য ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সরকারের দায়িত্ব।

আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির প্রশাসনকে সর্বতোভাবে সহযোগিত করে যাবে ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *