সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির মুখেও টিকে গেলেন রাষ্ট্রপতি!’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুউদ্দিনকে অপসারণের দাবি ওঠার পর থেকে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের চাপ থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মতানৈক্যে আপাতত বঙ্গভবন ছাড়তে হচ্ছে না। যদিও তাকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ এখনো প্রশমন হয়নি।
বিএনপির একটি প্রতিনিধির দল বুধবার ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানান এই মুহূর্তে তারা রাষ্ট্রপতির অপসারণ চান না। নতুন সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক জটিলতা সৃষ্টির বিপক্ষে’ দলীয় অবস্থানের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানায় বিএনপি। তবে শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিএনপির অবস্থান প্রত্যাখ্যান করে পাঁচ দফা দাবি পুর্নব্যক্ত করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি পদে মোহাম্মদ সাহাবুউদ্দিন কতো সময় টিকতে পারবেন তা নিয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে সমকাল জানিয়েছে সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তিনি দেশে ফেরার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আবারো আলোচনা হতে পারে সেখান থেকে আসতে পারে নতুন কোন সিদ্ধান্ত।
সংবাদের প্রধান শিরোনাম, ‘রাষ্ট্রপতির ভবিষ্যৎ, সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক না রাজনৈতিক’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা অক্টোবরের শুরু থেকেই রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি তুলে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার ‘পদত্যাগের’ বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতির এক বক্তব্য গত শনিবার পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টার মন্তব্যকে ঘিরে ওই দাবি প্রবল হয়। তবে প্রশ্ন উঠেছে, সংসদ যেহেতু কার্যকর নেই, বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোতে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের কোনো সুযোগ আছে কি না।
রাষ্ট্রপতি স্বেচ্ছায় যদি পদত্যাগ করেন, সেক্ষেত্রে কার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কীভাবে নির্বাচন করা হবে, সেটিও প্রশ্ন। এক্ষেত্রে সাংবিধানিক সংকট দেখছেন কয়েকজন আইনজীবী। কারণ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন সংসদ সদস্যরা। রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণের ক্ষমতাও জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত। সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগপত্র দেবেন স্পিকারের উদ্দেশে। নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত স্পিকার এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন। স্পিকার পদত্যাগ করায় এটিও সম্ভব হচ্ছে না।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Chhatra League banned’ অর্থাৎ ‘ছাত্র লীগ নিষিদ্ধ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের দাবির মধ্যে বুধবার রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবিলম্বে জরুরি ভিত্তিতে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে। গেজেট অনুযায়ী, সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯-এর ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এই সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ না হলে রাজপথে নামবে বলে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা সরকারকে আলটিমেটাম দেওয়ার একদিন পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হল। নিষেধাজ্ঞার খবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভরত কয়েকশ শিক্ষার্থী উল্লাস প্রকাশ করেন। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এবং বামপন্থী দলের এক নেতা এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক, নাশকতামূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রতিটি পত্রিকার প্রধান শিরোনামে রাষ্ট্রপতি অপসারণ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের খবর উঠে আসায় প্রথম পাতার অন্যান্য খবরে নজর দেয়া হল।
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর, ‘‘গৌরবের ইতিহাস’ থেকে ছিটকে যাওয়া ছাত্রলীগ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কোনো সন্দেহ নেই, ভাষা আন্দোলন, স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনেও বড় ভূমিকা রেখেছিল ছাত্রলীগ। তবে স্বাধীনতার পরে অনেকের মতে নানাভাবে বিতর্কিত হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনটি। আওয়ামী লীগেরও জন্ম হওয়ার এক বছর আগে জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। তখন নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। এর এক বছর পরে জন্ম হয় আওয়ামী লীগের। গত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের মতো ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
২০১৯ সালে সিলেটের এমসি কলেজে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই বছর বুয়েটের আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিচার চলছিল বুয়েট ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকর্মীর। এ ছাড়া ২০১২ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশ্যে বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। বিশ্লেষকরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতাদের দূরদর্শিতার অভাবে ছাত্রলীগ স্বাধীন সত্তা হারিয়ে ক্যাম্পাস ভিত্তিক আওয়ামী লীগের সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘সচিবালয়ে ঢুকে গেল শিক্ষার্থীরা চড়াও পুলিশ আটক ৫৪’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফল পুনঃমূল্যায়ন করে বৈষম্যহীন ফলাফলের দাবিতে বুধবার সচিবালয় ঢুকে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। পরে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া ও লাঠিপেটা করে সচিবালয় এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় সেখান থেকে অন্তত ৫৪ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। দেশের প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয় স্পর্শকাতর ও কেপিআইভুক্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত। পাস ছাড়া এর ভেতরে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সচিবালয়ের ভেতরে এবং আশপাশ এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ হট্টগোলের দৃশ্য দেখা যায়।
গত ২০শে অগাস্ট চলমান এইচএসসি পরীক্ষার অবশিষ্ট বিষয়গুলো নতুন করে আর পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং-এর মাধ্যমে এইচএসসি ফল প্রকাশের দাবিতে হঠাৎ মিছিল নিয়ে সচিবালয় ঢুকে পড়েন শতাধিক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের চাপে তখন তাদের দাবি মেনে নিয়ে বাকি পরীক্ষা না নিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ফল প্রকাশ করে সরকার। তবে পরীক্ষার্থীদের একাংশ সেই ফলাফল মানতে নারাজ তারা চান বৈষম্যহীন ফলাফল।
বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘রিজার্ভের পতনে বিদেশী বিনিয়োগে ভাটা নামে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কভিডের অভিঘাত পার করে যে সময় অর্থনীতির পুনরুদ্ধার জোরালো হয়ে ওঠার কথা, ঠিক সে সময়েই দেশের রিজার্ভে পতন শুরু হয়। একই সময় নিম্নমুখী হয়ে ওঠে এফডিআই প্রবাহ। বিষয় দুটি একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রিজার্ভের পতন যখন শুরু হয়েছে তখন থেকেই দেশে এফডিআই প্রবাহ নিম্নমুখী। কভিডের সময় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে গ্রস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৩ বিলিয়ন ডলার। এর পরের বছর ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৬ বিলিয়ন ডলারে। কভিডের অভিঘাত পার করে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ তা নেমে আসে ২১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ পতনের এ পুরো সময়ে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রবাহও ছিল নিম্নমুখী ধারায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা না ফিরলে ও রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ আসবে না।
মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর, ‘ডেঙ্গুতে ২৩ দিনে মৃত্যু শতাধিক’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ডেঙ্গুতে অক্টোবরের প্রথম ২৩ দিনেই মারা গেছেন ১০১ জন এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ২২ হাজার ২৫৮ জন। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১৩৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ১৯৬ জনে। সবশেষ আরও সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৪ জনে। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবশেষ সারা দেশে আরও ১১৩৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। এখন পর্যন্ত মৃত ২৬৪ জনের মধ্যে ৪৬ দশমিক ছয় শতাংশ পুরুষ এবং ৫৩ দশমিক চার শতাংশ নারী।
যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ আঘাত হানতে পারে আজ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, উপকূলের আরও কাছে চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। বৃহস্পতিবার রাতে বা শুক্রবার সকালে এটি ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায়। এজন্য দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। যদিও ঘূর্ণিঝড়টি ঠিক কোথায় আঘাত হানতে পারে, বুধবার রাত পর্যন্ত তা একেবারে নিশ্চিত করে বলতে পারেননি আবহাওয়াবিদরা।
এদিকে ‘ডানা’র প্রভাবে বুধবার সকাল থেকেই দেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও ভারি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়াও বয়ে যায়। বৃষ্টির কারণে বাইরে বের হওয়া সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষকে চরম বিপাকে পড়তে হয়। ভোলা ও লক্ষ্মীপুরে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রে দীর্ঘ সময় থাকায় ঝড়টি প্রাথমিক পূর্বাভাসের থেকে বেশি শক্তিশালী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতি প্রায় ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার ছুঁতে পারে। তেমন হলে আজ দুপুরের পর থেকেই শুরু হবে বাতাসের দাপট। রাত যত বাড়বে তত বাড়বে ঝড়ের তাণ্ডব।
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর, ‘বাড়ছে মৃত শিশু জন্মের হার’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের বিভিন্ন সূচকে গত কয়েক দশকে উন্নতি করলেও মায়ের গর্ভে সন্তান মারা যাওয়া বা মৃত সন্তান প্রসব (স্টিলবার্থ) দিন দিন বাড়ছে। খোদ সরকারের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, বর্তমানে দেশে প্রতি হাজারে ১৪টি মৃত শিশুর জন্ম হচ্ছে। ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছরের তুলনামূলক চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০২৩ সালের এই হার গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, মৃত সন্তান প্রসবের পেছনে অনেক কারণ থাকলেও তার সবই সমাধানযোগ্য। প্রসূতির মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে মৃত সন্তান প্রসব অনেকাংশেই প্রতিরোধ সম্ভব বলে তারা মনে করেন।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুসারে দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত শিশুর জন্ম হচ্ছে সিলেট বিভাগে। এই হার সবচেয়ে কম ঢাকা বিভাগে। গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যানের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে জন্মের আগেই শিশুমৃত্যুর হার বেশি। নগরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মৃত সন্তান প্রসবের হার বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অনুন্নত অবকাঠামো ও যোগাযোগব্যবস্থার ভঙ্গুর দশা, আর্থসামাজিক অবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং অসচেতনতার কারণে এসব অঞ্চলে মৃত অবস্থায় শিশুজন্মের হার বেশি। – বিবিসি বাংলা