জীবনের বিকাশে সেরা চেষ্টাটি করুন, বাকিটা তিনি দেখবেন : মুফতি মেনক

ধর্ম ও দর্শন মতামত
শেয়ার করুন

অনুবাদ: মাসুম খলিলী

এক. আপনার জীবন কীভাবে পরিণত রূপ পাবে তা নিয়ে নিজেকে চাপ দেবেন না। কারো ক্ষমতা নেই তাকে পুরোপুরি বিকশিত করার। যিনি আপনাকে তৈরি করেছেন তিনিই জানেন কীভাবে কী হবে। তাই আপনার জীবনকে আপনি যেভাবে যতটা বিকশিত করতে পারেন সেরাভাবে চেষ্টা করুন এবং যিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাঁর সাথে আপনার হৃদয়কে সংযুক্ত করুন।

দুই. সর্বশক্তিমান আপনি যতটা কল্পনা করতে পারেন তার চেয়ে বেশি আপনাকে যত্ন করেন। কিন্তু এটি পেতে আপনাকে তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তিনি আপনার ভালোর জন্য কাজ করবেন। তিনি আপনার সবকিছুর মালিক। আপনার শান্তি, আপনার আনন্দ, আপনার সাফল্য, আপনার সুখ, সবই তাঁর এবং তাঁরই উপর নির্ভর করে। তার সাথে সংযোগ স্থাপন করুন!

পূনশ্চঃ

এক. আপনি রাস্তার যতটা দেখেন তার চেয়ে অনেক বেশি নিচ পর্যন্ত দেখেন সর্বশক্তিমান। আসলে তিনি সবকিছুই দেখেন। তাই তাঁর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করুন যখন তিনি আপনার পরিকল্পনাকে ব্যাহত করেন। বিশ্বাস রাখুন তিনি যখন চলতে বলেন তখন । আপনি যদি তাঁর সংকেতগুলিতে গভীরভাবে মনোযোগ দেন তাহলে জানতে পারবেন আপনাকে কী করতে হবে । জিনিসগুলি ভাল হওয়ার আগে অস্বস্তিকর হতে পারে, তবে আপনার কাজ হল তাকে বিশ্বাস করা।

দুই. আপনি কি জানেন সুখ কী? সুখ মনের একটি অবস্থা। হ্যাঁ, প্রায়শই, সুখী হওয়ার জন্য আমাদের সবকিছু নিখুঁত হতে হবে বলে আমরা মনে করি । না! সব জিনিস নিখুঁত হতে হবে এমন না, তবে এটি অর্জনের জন্য কেবল আপনার মনে শান্তি থাকা দরকার। নিজের মধ্যে শান্তি খুঁজুন এবং এরপর সুখ আসবে।

তিন. জীবনের কোন কিছু অপচয় করবেন না। এটিকে সর্বোত্তম কাজে লাগান, কারণ তিনি আপনাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দরজা খুলে দেবেন। তিনি আপনাকে সঠিক উপায় দেখিয়ে দেবেন, অন্ধকারে তিনি আপনার আলো হবেন, ঝড়ের প্রতিকূলতায় আপনার আশ্রয় হবেন, একাকীত্বের মুহূর্তগুলিতে আপনার সেরা সাহচর্য হবেন এবং বিশৃঙ্খলার মধ্যেও তিনি আপনার শান্তির উৎস হবেন!

দ্রষ্টব্যঃ

ধ্বংস হোক তারা, যারা আন্দাজে কথা (মিথ্যা) বলে যারা উদাসীনতা ও বিস্মৃতিতে রয়েছে! তারা জিজ্ঞেস করে, ‘কর্মফল দিবস কবে হবে?’ (বলুন) যেদিন তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হবে আগুনে, (এবং বলা হবে,) তোমরা তোমাদের শাস্তি আস্বাদন কর। এটা তো তাই, যার জন্য তোমরা তাড়াহুড়া
করছিলে। (সূরা আল যারিয়াত: ১০-১৪);

অতঃপর আমরা সবাই (আল্লাহর কাছে) এ মর্মে প্রার্থনা করি যে মিথ্যুকদের ওপর আল্লাহর লানত পতিত হোক। (সূরা আলে ইমরান: ৬১);

রাসূল (সা.) বলেন, কারও কাছে কোনো কথা শোনামাত্রই তা বলে বেড়ানো মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট। (মুসলিম : ৯৯৬);

উম্মে কুলসুম বিনতে উকবা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) শুধু তিনটি ব্যাপারে মিথ্যা বলার সুযোগ দিয়েছেন। তিনি বলতেন, ‘আমি মিথ্যা মনে করি না যে কোনো ব্যক্তি মানুষের পরস্পর বিরোধ মীমাংসার জন্য কোনো কথা বানিয়ে বলবে। তার উদ্দেশ্য শুধু বিরোধ মীমাংসা। অনুরূপভাবে কোনো ব্যক্তি শত্রুপক্ষের সঙ্গে যুদ্ধে জেতার জন্য কোনো কথা বানিয়ে বলবে। তেমনি কোনো পুরুষ নিজ স্ত্রীর সঙ্গে এবং কোনো নারী নিজ স্বামীর সঙ্গে (ভালোবাসা ও মিল তৈরির করার জন্য) কোনো কথা বানিয়ে বলবে।’ (আবু দাউদ : ৪৯২১);

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *