বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিশিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ কথা জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার জামায়াত ও শিবিরের পৃথক আবেদনের শুনানি হয়েছে। এতে তাদের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।
সূত্র মতে এ বিষয়ে আজ প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মতামত নিয়ে জামায়াত-শিবিরের বৈধতা ফিরিয়ে দেওয়ার ফাইল আজ আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রধান উপদেষ্টার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর গেজেট প্রকাশিত হবে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার গত ১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারায় এক নির্বাহী আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সেটি করা হয়েছিল।
ওই সময় সরকারের নির্বাহী আদেশে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে সংবিধানবিরোধী বলে উল্লেখ করে দলটি। সরকারের বিরুদ্ধে তখন ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছিল। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন হয় এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারত চলে যান।
মামলার বিষয়ে জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির জানিয়েছেন, সন্ত্রাস দমনের যে আইনে জামায়াত–শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, সে আইনেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে। সেই ব্যাখ্যা তিনি স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়কে দিয়েছেন। যুক্তিসহ লিখিত আবেদন করা হয়েছে। ফলে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে বৈধতা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এর আগে আওয়ামী সরকারের এক আদালতের রায়ে নির্বাচন কমিশন ২০১৩ সালে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছিল। তখণ জামায়াতের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল খারিজ করে দেয়। আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, নিবন্ধন বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আগামী সপ্তাহে তাঁরা আপিল বিভাগে আবেদন করবেন।