জামায়াতকে সুবিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে: রিজভী

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

আপিল বিভাগে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় বহাল প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ন্যায়ভ্রষ্ট রায় প্রদানের মাধ্যমে তাদের সুবিচার থেকে বঞ্চিত করার দৃষ্টান্ত নতুন নয়। তাই  এই রায়ে বিস্মিত না হলেও সুবিচার লাভে শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগে যুক্ত ব্যক্তিগণের রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক বক্তব্য এবং ক্ষমতাসীন সরকারের ইচ্ছা পূরণে সহায়তার ঘটনায় দেশবাসী হতাশ হয়ে পড়ছে। সোমবার বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ২০১৩ সালে হাইকোর্টে সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে বাতিল করার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যে আপিল করা হয়েছিল রোববার তা ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ করা হয়েছে। আপিলকারী দল রায়টিকে ‘ন্যায় ভ্রষ্ট’ বলে উল্লেখ করে তাদেরকে সুবিচার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করেছে। তিনি বলেন, যে রাজনৈতিক দলের বিস্তৃতি সারাদেশে দৃশ্যমান, জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের প্রায় সকল স্তরে প্রতিনিধিত্বশীল থাকার প্রমাণিত দৃষ্টান্তের অধিকারী- তবে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পাশাপাশি নাম গোত্রহীন অপরিচিত দলকে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ দেয়ার দৃষ্টান্ত সুবিচারের প্রমাণ বহন করে না।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীন সরকারের বিরোধীতা করা যেকোনো রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সেই অধিকারের সুরক্ষা বিচার বিভাগের কাছেই প্রাপ্য। এর ব্যতিক্রম গণতন্ত্র ও ন্যায় বিচারের পরিপন্থি এবং অগ্রহণযোগ্য।

রিজভী বলেন, এই সরকার নির্বাচিত নয়। দেশে জনগণকে এরা ‘এলিমিনেট’ করেছে ভোটাধিকার থেকে। আবারও নির্বাচনের নামে ইয়ার্কি করা শুরু করেছে আওয়ামী ‘ডমেস্টিকেটেড’ নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর লোভ-লালসা তৃপ্তিহীন থাকছে, জনগণের ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা লুটের আকাঙ্ক্ষা থেকেই আবারও একতরফা নির্বাচনের বন্দোবস্ত চলছে। এটিই হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একদলীয় বাকশালী নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের অর্থই হলো-নির্বাচনী আত্মহত্যা।

সংবাদ সম্মেলনে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের গ্রেপ্তার, মামলা, আসামি এবং আহতদের সংখ্যা তুলে ধরেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি জানান এসময়ে ৪৮০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আহত হয়েছে ৮০, মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৭টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৯৯০ জন নেতাকর্মীকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *