জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীনসহ নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংক্ষপ্তি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। বৈঠকে জামাতের পক্ষ থেকে ৩০টি দাবি ইসির কাছে দাখিল করা হয়।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সাংবাদিকদের কাছে বলেন, জনগণ চায় স্থানীয় সরকার সচল হোক, আমরাও চাই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এছাড়া আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে বলেছি। বাংলাদেশের জন্য এটি প্রয়োজন, সংসদ কার্যকরের জন্য প্রয়োজন।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার বিষয়ে মতবিনিময় হয়েছে। সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, সংস্কার ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই সংস্কারের জন্য সময় দিতে জামায়াত প্রস্তুত।
প্রবাসীদের ভোট দেয়ার সুযোগ করে দিতে হবে বলে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন জামায়াতের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে জামাতের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন হামিদুর রহমান আজাদ, মতিউর রহমান আকন, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন ও এডভোকেট ইউসুফ আলী।
এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বর্তমানে জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয় আদালতে পেন্ডিং আছে। আমরা আশা করি ন্যয়বিচার পাবো এবং দাঁড়িপাল্লা প্রতীক পাবো। ৩০০ আসনেই নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে একমত কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেন, দিন তারিখ কোনো বিষয় নয়, আগে সম্পূর্ণ সংস্কার করতে হবে তারপর নির্বাচন।
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা গুম, খুন নিয়ে যে তদন্ত করেছে সেখানে জামায়াতের পক্ষ থেকে তারা কোনো সহযোগিতা পায়নি, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াত নেতা বলেন, এই তথ্য সঠিক নয়। আমরা চেক করে দেখেছি। আমরা জাতিসঙ্ঘ হিউম্যান রাইটস কমিশনের সাথে তথ্য, যত ফ্যাক্স, যত মেইল সব আমরা রেসপন্স করেছি। এই তথ্যটা কিভাবে এসেছে আমরা চেক করবো। আমরা তথ্য যাচাই করেছি, তথ্যটা সঠিক নয়। এটি নিয়ে গতকালই আমরা গণমাধ্যমে কথা বলেছি।