‍‍জনসাধারণকে ‍‍আরকাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে আরো সচেতন করতে হবেঃ সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশ শিল্প-সংস্কৃতি সময় সংবাদ সময় সাহিত্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আরকাইভসের গুরুত্ব অপরিসীম। আরকাইভস বিষয়ে সার্টিফিকেট কোর্স চালুসহ আরো বেশি করে সভা, সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করতে হবে এবং এগুলোর বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। যাতে সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে আরকাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। জনসাধারণকে ‍‍আরকাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে আরো সচেতন করতে হবে।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি ১২ জুন, সোমবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস সপ্তাহ ২০২৩’ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ‘International Council on Archives (ICA) এর ৭৫ বছর: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, আরকাইভস ও রেকর্ড সংরক্ষণের গুরুত্ব বিবেচনা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন যা বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তরের মর্যাদা পেয়েছে। পরবর্তীতে বর্তমান আরকাইভস ভবনের নকশাও চূড়ান্ত করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার আরকাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। সেজন্য ‘জাতীয় আরকাইভস অধ্যাদেশ ১৯৮৩’ রহিত করে আধুনিক ও যুগোপযোগী ‘বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস আইন ২০২১’ প্রণয়ন করেছে। তিনি বলেন, আরকাইভসের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। সে লক্ষ্যে একটি প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান।

কে এম খালিদ বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ সংক্রান্ত বিচার কার্যক্রমের অনেক তথ্য জাতীয় আরকাইভস থেকে সংগ্রহ করেছে। এ থেকে আরকাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে অনুধাবন করা যায।

আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আরকাইভস এন্ড রেকর্ডস ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি (বারমস) এর সভাপতি ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ। পঠিত প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ আরকাইভস এন্ড রেকর্ডস ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি (বারমস) এর সেক্রেটারি ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্মসচিব) এস এম আরশাদ ইমাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ উল ইসলাম।

সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ বলেন, আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি গুগলে যিনি সংরক্ষণ বা আরকাইভের দায়িত্বে থাকেন তার বেতন সর্বোচ্চ। একইভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হচ্ছে আরকাইভস। এসব বিষয় আমাদেরকে বহির্বিশ্বে আরকাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা দেয়। সচিব এসময় আমাদের দেশে আরকাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আহবান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *