চির নিদ্রায় শহীদ হানিয়া: জানাজায় মানুষের ঢল

মধ্যপ্রাচ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

নাসির মাহমুদ সময় প্রতিনিধি- তেহরান, ইরান

কাতারের রাজধানী দোহায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন হামাস নেতা শহীদ ইসমাইল হানিয়া। দোহার উত্তরে লুসাইল কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। ইমাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব মসজিদে শহীদ হানিয়ার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ওই জানাজার নামাজে ইমামতি করেন হামাসের পলিটব্যুরোর সদস্য খালিল আল হাইয়া।

জানাজায় শরিক হয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানি, সাবেক আমির হামাদ বিন খলিফা আলে সানি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আলে সানি, ইরানের নয়া ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ রেজা আরেফ, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান, ফিলিস্তিনের ইসলামী জিহাদ আন্দোলনের মহাসচিব জিয়াদ আন নাখালা, শহীদ হানিয়ার পরিবারের কয়েকজন সদস্য এবং হামাসের বহু নেতা। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি-সহ বিপুল সংখ্যক মানুষ জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।

তারও আগে প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে ইরানের রাজধানী তেহরানে। সেই নামাজে ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ও সামরিক ব্যক্তিত্বদের প্রায় সবাই-সহ কয়েক লক্ষ মানুষ শহীদ হানিয়ার নামাজে জানাজায় অংশ নিয়েছেন।

কাতার এবং ইরান ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হামাস নেতা শহীদ ইসমাইল হানিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাকিস্তানের সংসদে গায়েবানা জানাজায় অংশ নিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ-সহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদেরা। ইন্দোনেশিয়া, ইয়েমেন এবং তুরস্কেও গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব জানাজা অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।

ইসমাইল হানিয়ার শাহাদাতের ঘটনায় ইরানে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। ইরান ছাড়া তুরস্কেও একদিনের জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই ২০২৪) খুব ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে দখলদার ইসরাইলের এক হামলায় শহীদ হন ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও তাঁর দেহরক্ষী ওয়াসিম আবু শাবান।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়নের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি তেহরানে এসেছিলেন। ওই অনুষ্ঠান শেষে হানিয়া তাঁর আবাসস্থলে ফিরে যান এবং সেখানেই ইসরাইলের পাশবিক হামলায় শহীদ হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *