গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশস্থলে আওয়ামী লীগের কয়েক শত লোক হামলা ও ভাঙচুর করেছে। মঞ্চের অদূরে থাকা পুলিশ সদস্যরা রহস্যজনকভাবে সেখানে কোন ভূমিকাই পালন করেনি। তারা আদালত চত্বরে সরে পড়ে। হামলাকারীরা ইচ্ছে মতো মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। তারপর জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন।
কিছু সময় পরে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থলে পৌছলে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের মাঝে ছিলেন, আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম প্রমুখ।
এর আগে সন্ত্রাসীরা গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের সদর উপজেলার কংশুরে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতে হামলা করেছে। সদর উপজেলার উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়ায় পুলিশের গাড়িতে হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে সেখানে যান সদর উপজেলার ইউএনও এম রাকিবুল হাসান। ফেরার পথে উপজেলার কংশুরে ইউএনওর গাড়িতেও হামলা করা হয়।