গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি সড়কের নতুন নাম ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’, উদ্বোধন ডিসেম্বরেই

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

রাজধানীর গুলশান-২ গোলচত্বর থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’। সীমান্তে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে সড়কটির নামকরণ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করে প্রথম সড়কটির নতুন এই নাম জানান।

পোস্টে বলা হয়, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানীর স্মরণে ডিপ্লোমেটিক জোনের গুলশান–২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’।

তবে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দেওয়া হলেও মূলত সড়কের নামকরণ পুনঃনামকরণের এখতিয়ার সিটি করপোরেশনের হওয়ায় এ দায়িত্ব ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ওপর পড়ে।

ঘটনা নিশ্চিত করে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ আজ (বৃহস্পতিবার) ইউএনবিকে বলেন, ‘ডিএনসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি সড়কটির নামকরণ করেছে ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’। এ বিষয়ে সব প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রস্তুত হয়েছে। নামকরণের সব সরকারি প্রক্রিয়াও শেষ। ডিসেম্বরের যেকোনো সময় ফেলানী অ্যাভিনিউয়ের নেমপ্লেট স্থাপন ও উন্মোচন করা হবে।’

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ঘটে যায় হৃদয়বিদারক ফেলানী হত্যাকাণ্ড। ভারত থেকে বাবার সঙ্গে দেশে ফেরার পথে ১৫ বছরের এই কিশোরী বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারায়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর কাঁটাতারে দীর্ঘ চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা ফেলানীর নিথর দেহ দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তোলে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে তীব্র আলোচনা সৃষ্টি করে।

এর পর থেকে বিভিন্ন সংগঠন গুলশানে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের সামনের সড়কটির নাম ফেলানী খাতুনের নামে করার দাবি জানিয়ে আসছিল।

২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পিপলস অ্যাক্টিভিস্ট কোয়ালিশন (পিএসি) প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সড়কটির নাম ‘শহীদ ফেলানী সড়ক’ ঘোষণা করে। এ বিষয়ে তারা একটি অনানুষ্ঠানিক সাইনবোর্ডও স্থাপন করে। এবার অন্তর্বর্তী সরকার সড়কটির নাম সরকারিভাবে ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ করছে। ইউএনবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *