রাজধানীর ধোলাইখালে শনিবার বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা করেছে পুলিশ। এরপর কয়েক দফা সংঘর্ষ চলে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে। সেখানে সাপ পেটানোর মতো করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পেটানো হয়েছে বলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন।
জানা গেছে, সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী একটি ভবনের নিচে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে তাদের বের করে নিয়ে আসে পুলিশ। তাদের ঘিরে রাখেন পুলিশ সদস্যরা।
এরপর বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে আটক বিএনপির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে লাঠিপেটা শুরু করে। এতে বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আজাদসহ দলীয় নেতারা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পুলিশের হাত থেকে রক্ষা করতে আসেন। পুলিশ সদস্যরা তাদেরও লাঠিপেটা করে।
এক পর্যায়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়লেও কয়েজন পুলিশ সদস্য মারতেই থাকেন। তখন অন্য কয়েকজন পুলিশ সদস্য বাধা দেযন।
পরে গয়েশ্বর চন্দ্রকে গাড়িতে তুলে ডিবি অফিসে নেয় পুলিশ। সেখান থেকে তাকে পল্টনে বিএনপির অফিসে রেখে যায়। এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছিলেন যে ডিবি কার্যালয় থেকে ডিবির গাড়িতে করে তার বাসায় তাকে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ডিবি গেটে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে সংঘর্ষের সময় সেভ করা হয়। ওই সময়ও বিএনপির কর্মীরা ঢিল ছুঁড়তে থাকেন। তাকে সেভ করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। এরপর ডিবির গাড়িতে করে গয়েশ্বরের বাসায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।