খিলখিল কাজী, ইয়াসমিন মুশতারী ও অনুপম হায়াৎ পেলেন ‘আমিই নজরুল সম্মাননা’

ফিচার বিনোদন সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম প্রয়াণ উপলক্ষে নজরুলচর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র ‘আমিই নজরুল’ গতকাল ২৯ আগস্ট, বৃহস্পতিবার রাতে ‘নজরুল স্মরণে’ শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এই অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো তিনজন বিশিষ্ট নজরুল ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন— নজরুল–দৌহিত্রী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংগীতশিল্পী খিলখিল কাজী, প্রখ্যাত নজরুল সংগীতশিল্পী ইয়াসমিন মুশতারী এবং নজরুল গবেষক ও লেখক অনুপম হায়াৎ।

অনুষ্ঠানে সম্মাননা গ্রহণ করে খিলখিল কাজী বলেন, ‘আমিই নজরুল’ সম্মাননা পেয়ে তিনি গর্বিত। শৈশবে দাদু নজরুলের সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তাঁদের পরিবারে হাসি-গান জীবনের অংশ ছিল। তিনি কবির দর্শন ও মানবতার প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘দাদু ধর্মের চেয়ে মানুষকে বেশি ভালোবাসতেন। তিনি সারা জীবন অত্যাচার-অনাচারের বিরুদ্ধে লিখেছেন এবং ধর্মের বেড়া ভেঙে মানুষকেই বড় করে দেখেছেন। মানুষের চেয়ে মহান কিছু নেই—এ জয়গান তিনি গেয়েছেন।’

অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করছেন ইয়াসমিন মুশতারী। ছবি: সংগৃহীত

খিলখিল কাজী আরও বলেন, এই সম্মাননা পেয়ে গর্বিত বোধ করছি। আমাদের পরিবারে হাসি-গান ছিল জীবনের অংশ। দাদু ১৯৪২ সালে অসুস্থ হয়ে স্তব্ধ হয়ে যান। নজরুলের সাহিত্য ও দর্শন বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁকে পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

নজরুল সংগীতশিল্পী ইয়াসমিন মুশতারী বলেন, নজরুলকে ভালোবাসা মানেই বাংলাদেশকে ভালোবাসা। তিনি বিশ্বাস করেন, কবির অমূল্য সৃষ্টিকর্ম ছড়িয়ে দিতে পারলেই বাংলাদেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাবে।

নজরুল গবেষক অনুপম হায়াতের পক্ষে তাঁর ছেলে ইশতিয়াক রহমান সম্মাননা গ্রহণ করেন। বাবার লিখিত বক্তব্য পাঠ করার সময়ে তিনি বলেন, ‘আমিই নজরুল’ নামটি উচ্চারণ করলেই নজরুলের উপস্থিতি অনুভব করা যায়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এমন আয়োজন নজরুলচর্চাকে আরও বিকশিত করবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ‘আমিই নজরুল’-এর নির্বাহী পরিচালক আবু সাঈদ। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. এমরান জাহান, শিশুসাহিত্যিক দন্ত্যস রওশন, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি কবি রোকেয়া ইসলামসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ইয়াসমিন মুশতারী, উম্মে রুমা ট্রফি, শাহিনা পারভীন, শায়লা রহমান, সংগীতা পাল, ইশরাত জাহান, মো. সম্রাট, মোহনা রেজা ও অদ্বিতীয়া। আবৃত্তিকার শওকত আলী তারা নজরুলের অভিভাষণ পাঠ করেন এবং সেঁজুতি দাস নৃত্য পরিবেশন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *