‘কেন এক পরিবার বারবার’

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

কেন এক পরিবার বারবার – দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরটি সড়ক দুঘর্টনা নিয়ে। এতে বলা হয়েছে, গ্রামগঞ্জে এমনও মা আছেন, যার সন্তান মারা গেছে সেই কবে। তবু পথেঘাটে খুঁজে ফেরেন সন্তানকে। নিজের সন্তানের মতো কাউকে দেখতে পেলে তার চোখেমুখে হাত বুলিয়ে হু-হু করে কেঁদে ওঠেন। যার হারিয়েছে, সে বোঝে হারানোর কী যাতনা।

পরিবারের শক্ত বাঁধন খসে গেলে জীবন আর চলতে চায় না। সড়ক না রণক্ষেত্র, না দাঙ্গা-ফ্যাসাদের মাঠ। অথচ এখন সড়ক মানে দুর্ঘটনা; সড়ক এখন মৃত্যুর প্রতিশব্দ। সড়কে প্রতিদিন ঝরে যাচ্ছে কত প্রাণ!

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটু স্বস্তির ভ্রমণের জন্য প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বেড়াতে যান অনেকেই। আর তাতেই শোকগাঁথা তৈরি হচ্ছে পরিবারগুলোর।

সড়কে দিন দিন মৃত্যুর সারি দীর্ঘতর হচ্ছে। গত মার্চ মাসে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১ হাজার ২২৮ জন। সাম্প্রতিককালে পারিবারিকভাবে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এক মাসের ব্যবধানে ফরিদপুর সদরে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

ডলার নিয়ে খোলাবাজারে লুকোচুরি– মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রাজধানীর দিলকুশা এলাকায় অবস্থিত একটি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে গতকাল দুপুরে ক্রেতা হিসেবে ডলার কিনতে গেলে বিক্রয়কর্মীরা জানান, ডলার নেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির বাইরে ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠান থেকেই ডলার পাওয়ার প্রস্তাব মেলে।

সোহেল নামে ওই ব্যক্তি বলেন, ভেতরে নাই বললেও আমি ম্যানেজ করে দিতে পারবো। প্রতি ডলার এক দাম ১২৪ টাকা। যত লাগবে তত দেয়া যাবে। এ চিত্র কেবল ওই মানি এক্সচেঞ্জের নয়। মতিঝিল, পল্টন, ফকিরাপুল, গুলশানসহ রাজধানীর অধিকাংশ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানই ডলার নিয়ে এ রকম লুকোচুরি খেলছে।

ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়নের পরদিনই ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়েছে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২৫ টাকা পর্যন্ত প্রতি ডলার বিক্রি করছেন তারা।

অন্যদিকে, কেউ বিক্রি করতে গেলে দাম কমিয়ে দেয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক হঠাৎ ডলারের দাম বাড়িয়ে দেয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

একই প্রসঙ্গে নয়া দিগন্ত শিরোনাম করেছে ডলারের বাজারে অস্থিরতা। তারা বলছে নতুন পদ্ধতিতে ডলারের দর নির্ধারিত হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

গতকাল এক লাফে খোলাবাজারে ডলারের দাম ১২৫ টাকা উঠে গেছে। তবে কোথাও কোথাও এ দরেও ডলার পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে আমদানিতেও ডলারের দরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

আগাম ডলার কিনতে ব্যাংকভেদে ১২৮ থেকে ১২৯ টাকা উঠে গেছে। যদিও এ দর নিয়মিত দর নয়। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, বাজারে এমনিতে ডলার সঙ্কট চলছে, এর ওপর নতুন দর চালু হওয়ায় গ্রাহকদের মাঝেও অস্থিরতা বিরাজ করছে।

PM orders stock listing of state companies – ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন, প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিষয়টি মন্ত্রণালয় ও নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আটকে ছিল।

বৃহস্পতিবার একনেকের এক বৈঠকে অর্থ বিভাগকে এ নিয়ে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থ বিভাগ এখন বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত করবে কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে যেতে পারে এবং এর একটা তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জানান পরিকল্পনা সচিব।

আর পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন কোম্পানিগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা মজবুত করার লক্ষ্যেই তার এমন সিদ্ধান্ত।

ভোটের হার এবার সর্বনিম্ন – প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম। খবরটি উপজেলা নির্বাচনের ভোটার উপস্থিতি নিয়ে। এতে বলা হয়েছে, দেড় দশকের মধ্যে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের হার সর্বনিম্ন।

বিএনপির বর্জনের মুখে দলীয় প্রতীক না দিয়ে প্রার্থিতা উন্মুক্ত করেছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরপরও ভোটারদের আগ্রহী করা যায়নি; ব্যর্থ হয়েছে ক্ষমতাসীনদের কৌশল।

গত তিনটি উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার ধারাবাহিকভাবে কমেছে। তবে এবার ভোটের হার সবচেয়ে নিচে নেমেছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে ১৩৯টি উপজেলার মধ্যে ৮১টিতেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নির্বাচনি এলাকার মোট ভোটারের ২০ শতাংশের কম ভোট পেয়ে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষক বা বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ভোট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন মানুষ, যা গণতন্ত্রের জন্য উদ্বেগের। এই পরিস্থিতির দায় কার, সেই প্রশ্নও তুলছেন তারা। আর নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হচ্ছে না। সেটিই ভোটারদের নির্বাচনবিমুখ করার অন্যতম একটি কারণ।

খাদ্যে মূল্যস্ফীতি এখন ১৫ শতাংশ: বিআইডিএস – দৈনিক সংবাদ পত্রিকার শিরোনাম এটি। বিস্তারিত হলো বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেছেন, বর্তমানে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশ। বাড়তি এ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্নআয়ের মানুষ অসুবিধায় রয়েছেন।

সংস্থাটি বলছে, মূল্যস্ফীতির এ হার বাড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মাছের দাম। গত এক বছরে মাছের দাম ২০ শতাংশের উপর বেড়েছে। এরপর রয়েছে পোল্ট্রি মুরগির দাম।

এমপিদের ভোট কোথায়! যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দ্বীপ উপজেলা নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৩ সংসদীয় আসন। চলতি বছরের গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী এ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান (মিতা) পান ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট। ওই সময়ে ২ লাখ ৪১ হাজার ৯১৪ জন ভোটারের মধ্যে ভোট পড়ে ৮৭ হাজার ৫৮১টি। ভোট পড়ার হার ছিল ৩৬ শতাংশের বেশি।

গত বুধবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এই সন্দ্বীপে দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৭৬ জন ভোটারের মধ্যে মোট ভোট পড়েছে ৪৫ হাজার ৩৬২টি। ভোট পড়ার হার ১৮.৪৬ শতাংশ। জাতীয় সংসদের মাত্র চার মাস পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমেছে প্রায় এক লাখ ৯৩ হাজার। জাতীয় সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অন্তত ১৪টি উপজেলায় ২৫ শতাংশ বা তার কম ভোট পড়েছে। আরও ১৫টি উপজেলায় ২৬-৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

প্রথম ধাপে যে ১৩৯টিতে ভোটগ্রহণ হয়েছে সেগুলোতে গড়ে ভোট পড়েছে ৩৬.১০ শতাংশ। আর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়ে ৪১.৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত সংসদের তুলনায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশি হয়। এবার উপজেলা নির্বাচনের ফলাফলে উলটো চিত্র দেখা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও কী ভোটকেন্দ্রে যাননি?

কোন শক্তি আমাকে জনগণ থেকে দূরে সরাতে পারবে না – সংসদে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য দিয়ে শিরোনাম করেছে কালের কন্ঠ।

সমালোচকদের উদ্দেশে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন, ‘আমাকে জনগণ থেকে দূরে সরাতে পারবেন না। এই দেশের জনগণই আমার শক্তি। জনগণের কল্যাণে আমি কাজ করি, সেটা জনগণ বোঝেন, সে কারণে আমার সঙ্গে আছেন। আমি কাউকে পরোয়া করি না।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।

No progress on Teesta water sharing deal – তিস্তা পানি বন্টন চুক্তির কোন অগ্রগতি নেই, ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের প্রধান শিরোনাম এটি।

এতে বলা হয় বৃহস্পতিবার তিস্তা নদীর সীমানায় বাংলাদেশের ভেতরে একটি মেগা প্রকল্পের সহায়তার জন্য নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে ভারত, যা নিয়ে আগেই আগ্রহ জানিয়ে জরিপও সম্পন্ন করেছে চীন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন এক সৌজন্য কলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদকে এই বার্তা দেন।

ডলারের মূল্য বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে – দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয় ব্যাংক সুদহার বাজারভিত্তিক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার ফলে সব ধরনের ঋণের উপর সুদের হার আরও বেড়ে যাবে।

ডলারের দাম ১১০ টাকা থেকে একবারে বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব সিদ্ধান্তে অর্থনীতিতে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই ধরনেরই প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে এসব সিদ্ধান্তের লক্ষ্য ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানা।

কিন্তু বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক না করে ক্রলিং পেগ ঘোষণা করায় এটি কোনো কাজে আসবে না, এর ফলে ডলারের বাজার আরও অস্থির হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

Cybergangs now selling ‘genuine’ NID’s – ডেইলি স্টারের অন্যতম শিরোনাম এটি। এতে বলা হয় একটি সাইবার অপরাধীদের চক্র এখন ‘আসল’ জাতীয় পরিচয়পত্র বিক্রি করছে। তারা এখন মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য, অবস্থান, আর্থিক রেকর্ড সরবরাহ করছে। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট সম্প্রতি এরকম একটি চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে।

তারা অনেকটা অনলাইনে খাবার অর্ডারের মতো ব্যক্তিগত তথ্য, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য, ফোন কল রেকর্ডস, এমনকি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যাবতীয় অর্ডার সংগ্রহ করে ও সেগুলো সরবরাহ করে। যে কেউ চাইলে হোয়াটসঅ্যাপ, ওয়েবসাইট, টেলিগ্রাম বা ফেসবুক গ্রুপ থেকে টাকার বিনিময়ে তাদের ‘সেবা’ নিতে পারে।

গোয়েন্দার আটকে দেয়া মার্সিডিজ গোপনে খালাস – দৈনিক কালবেলার খবর। বলা হচ্ছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্ট সেলের (সিআইসি) আটকে দেওয়া (লক) তিনটি নতুন মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি বেআইনিভাবে খালাস করেছে ঢাকার কমলাপুরের কাস্টম হাউস আইসিডি।

নিয়ম অনুযায়ী সিআইসি কোনো পণ্য আটকে দেওয়ার পর তাদের পরীক্ষণ ছাড়া সেই পণ্য খালাসের কোনো সুযোগ নেই। তবে কমলাপুরে তিনটি মার্সিডিজ গাড়ি খালাসে সেই নিয়ম মানা হয়নি। শুধু তাই নয়, মিথ্যা ঘোষণায় নিয়ে আসা ২০২৩ মডেলের এসব গাড়ি খালাসে শুল্কও কম নেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৩ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বেআইনিভাবে গাড়ি খালাসের এ ঘটনায় কাস্টমসের ভেতরে তোলপাড় চলছে বলে জানা গেছে। – বিবিসি বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *