মানুষের চোখে যখন সংহতি এবং
ভালোবাসার রোদ ঠিকরায়
সাধ জাগে- রোদগুলো কুড়িয়ে রাখি বুকের কাছে
কুড়াতে কুড়াতে যখন বৃক্ষের কাছে যাই
দেখি- পাতার শরীর জুড়ে সবুজ রোদের কম্পন
ছায়ার ভেতর নিঃশব্দ শীতল রোদের আরাম
এবং শিশিরের গন্ধের ভেতর রূপালি রোদের চিক!
গোলাপের পাঁজর থেকে ছড়ানো গোলাপী-রোদ ছুঁয়ে
ফিরতেই দেখি তোমার ঠোঁটে খলখলে হাসির রোদ
শর্ষের ফসল ভরা হলুদ রোদের বিস্তার এবং
মৌমাছির গুঞ্জণে পবিত্র রোদের সংগীত!
গন্ধ নিতে নিতে বুনোফুলের বন হয়ে ওঠে মন
হেনার ঝোঁপে জোনাকি রোদে বুক ভরাই
চাঁপা কিংবা ছাতিমের চিত্তে সুরভি উজান এবং
কামিনী ঝোঁপের কিনার ঘেঁষা সাদা রোদের বুনন
এভাবে রাতের শহর জুড়ে কালো রোদের লীলা
এই তো আমার ব্যক্তিগত পাঠাগারে রোদ-সমগ্র
এ সমগ্র থেকেই –
অপ্রতিরোধ্য তীব্রতায় উদ্বোধিত সাহসের রোদ
জুলুমের বিরুদ্ধে উত্থিত মুষ্টিবদ্ধ প্রতিবাদী রোদ
শেকল ভাঙার প্রচণ্ড দ্রোহে ছিটানো রক্তের রোদ
এসকল দীপ্ত উষ্ণতা আমার স্বাধীনতার রোদ
তোমরা কি জানো স্বাধীনতার শেষ অর্থ কি
স্বাধীনতার শেষ অর্থ হলো-
মানুষের প্রভুত্ব থেকে মানুষের মুক্তি
সেই মুক্তি-মন্ত্রের মহৎ রোদের দিকে হাঁকিয়ে দাও
মানুষের মিছিল!