কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের কাছে বাণিজ্য জিম্মি ।। স্টালিন সরকার

প্রবন্ধ-কলাম সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

‘‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি, আমলা-পুলিশের সহায়তায় বড় বড় ব্যবসায়ীরা টাকা খরচ করে আওয়ামী লীগকে ফের ক্ষমতায় এনেছে। ক্ষমতায় আসতে সহায়তাকারী বিগ ব্যবসায়ীদের হাতে বাজারের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিয়ে সরকার ভোট দিতে না যাওয়া জনগণকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিচ্ছে। আর সরকারকে কব্জা করে ওই ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছামতো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন’’ (রিকশাচালক রহিমুদ্দিন)। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা এবং এভাবে গুছিয়ে অভিব্যক্তি প্রকাশ করা রিকশাচালক রহিমুদ্দিনের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী।

২০ বছর ধরে ঢাকায় রিকশা চালান। পল্টন মোড় থেকে টিকাটুলি আসার পথে রহিমুদ্দিন আরো বললেন, ‘জিনিসপত্রের দাম কম থাকলে ভালোভাবেই চলতে পারি। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় খাওয়া-দাওয়ায় খরচ বেশি। এখন গ্রামে বউ-বাচ্চার কাছে আগের চেয়ে কম টাকা পাঠাই। এক বছর আগে ৩০ টাকার আলু এখন ৬০ টাকা। ভাবা যায়! গ্রামের কৃষকরা কিন্তু ৩০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেছে।’ রিকশাচালক রহিমুদ্দিনের মতো ঢাকায় বসবাসকারী নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত এবং নির্ধারিত আয়ের চাকরিজীবীদের ত্রাহিদশা। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়া সংসারে ‘নুন আনতে পান্তা ফুরোয়’ অবস্থায় পড়ে গেছেন। চাকরির টাকায় সংসার চালাতে ব্যর্থ হয়ে স্ত্রী-কন্যাকে গ্রামে পাঠিয়ে দিয়ে মেসবাড়িতে বসবাসকারী শফিকুর রহমান নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী বললেন, এ সরকার মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় নিত্যপণ্যের বাজারকে উলঙ্গ করে ফেলেছেন।

পণ্যমূল্য নিয়ে মানুষের দুরবস্থার চিত্র সংসদেও উঠেছে। তবে দায়িত্বশীলরা এ নিয়ে বেশি আলোচনা করতে আগ্রহী নন। ২ জুন জাতীয় সংসদে ট্যারিফ কমিশনের এক বিল পাসের আলোচনায় বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেট নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তারা অভিযোগ করেন, সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে গরিব মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যকে সহজলভ্য করা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হলেও সে সক্ষমতা তাদের নেই। গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেছেন, ‘‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। টিসিবি নামে একটা সংস্থা আছে যারা বাজারে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করে। উপজেলা পর্যায়ে দেখেছি, একটা কার্ড দেয়া হয়েছে, যার জন্য পাঁচ-ছয়টা পণ্য কিনতে হবে। অনেক মানুষ এটা নিতে পারে না। যার যেটা প্রয়োজন নেই সেটাও টিসিবির কাছ থেকে নিতে হবে। এই হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ’।

বাজার নিয়ন্ত্রণ করার, সিন্ডিকেট ভাঙার মতো আইন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় করছে না। ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। কোম্পানিগুলো কোটি কোটি টাকা লাভ করে কোথায় নিয়ে যায়? ওষুধ কোম্পানিগুলো শুল্ক ফাঁকি দিয়ে, কম শুল্ক দিয়ে কাঁচামাল নিয়ে আসে। এ কোম্পানিগুলো কি বাইরের? এরা কি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি? এরা আমাদের দেশীয় মালিক, এদের কি বিবেক নেই? এরা ১০০ শতাংশ লাভ করে! বিভিন্ন সময় সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। সিন্ডিকেট ভাঙা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মতো ক্ষমতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আছে বলে আমার মনে হয় না।’’

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ‘ট্যারিফ কমিশন বিলে জনগণের স্বার্থ নেই। জনগণের স্বার্থ তখনই থাকতো, যখন ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে ভোগ্যপণ্য, নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ, বাজারে পণ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা, আমদানি ও উৎপাদন সমন্বয় করে মানুষের কাছে সহজে পৌঁছানো এবং সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে গরিব মানুষের কাছে নিত্যপণ্যকে সহজলভ্য করা যেত।’

সংসদে এমপির পণ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী করলেও ভুক্তভোগী ভোক্তারা মনে করেন বাজারব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণহীনতার জন্য সিন্ডিকেটের দায়ের চেয়ে সরকারের ব্যর্থতা বেশি দায়ী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, টিসিবি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। তারা যেন বড় বড় কর্পোরেট হাউজগুলোর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। আগে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করতো। তখন কর্পোরেট হাউজগুলো কম লাভে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হতো। এখন বিদেশ থেকে নিত্যপণ্য আমদানি করা কর্পোরেট হাউজগুলোকে সুবিধা দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে পণ্য কিনে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করছে। ফলে পণ্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ কর্পোরেট হাউজগুলোর হাতেই থাকছে।

সত্যিই কি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি! কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে সচিবালয়ে বৈঠক করেন। অথচ ব্যবসায়ীদের দেয়া প্রস্তাব মেনে নিয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়ার ঘটনাও রয়েছে।

২০২৩ সালের ১৫ জুলাই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ীদের করণীয়’ শীর্ষক সম্মেলনের কথা মনে আছে? ওই সম্মেলনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনার অঙ্গীকার করেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। তারা বলেছেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই ভবিষ্যতেও শেখ হাসিনার সরকারকে আবার ক্ষমতায় বসাতে হবে। ওই সম্মেলনে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা ও শিল্পোদ্যোক্তাদের ৩১ জন বক্তৃতা করেন। বক্তব্য দেয়া এফবিসিসিআই, মেট্রোপলিটন চেম্বার, ঢাকা চেম্বার, তৈরী পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, চট্টগ্রাম চেম্বারসহ দেশের বিভিন্ন চেম্বার ও সংগঠনের নেতা এবং শিল্পোদ্যোক্তা ৩১ জনের মধ্যে ৩০ জন ব্যবসায়ী সরাসরি বলেছেন, ‘আগামী মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে চাই।

কেউ সরাসরি কেউ পরোক্ষভাবে তা বলেছেন। কয়েকজন স্লোগানে স্লোগানে একই দাবি জানান। দেশের শীর্ষস্থানীয় একজন ব্যবসায়ী গানে গানে আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে দেখার অনুভূতি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব। আপনারা ব্যবসা-বাণিজ্য আন্তরিকতার সঙ্গে সহায়তা করা আমাদের চলার পথের পাথেয়।’ যারা ওই দিন আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনার অঙ্গীকার করেছেন তারাই মূলত এখন মুক্তবাজারের নামে দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে নিত্যপণ্যের বাজারকে উলঙ্গ করে ফেলেছেন।

এক বছর আগে সংসদের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কথা মনে আছে? ২০২৩ সালের ২৬ জুন জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বাজার সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘সিন্ডিকেট করে বড় বড় গ্রুপগুলো বেশি লাভ করে। চাইলে জেল-জরিমানাসহ বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায় না। এটা করলে সরকারকে বিপদে পড়তে হবে। বাজারে নতুন ক্রাইসিস সৃষ্টি হলে সামাল দেয়া সরকারের পক্ষে কঠিন।’ সাবেক মন্ত্রীর ওই অসহায়ত্বের চিত্রে ভুক্তোভোগীরা ধারণা করছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কার্যত ‘সরকারকে ক্ষমতায় আসতে সহায়তা করা’ বড় বড় ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।

বিগত জাতীয় নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ীকে দলীয় নমিনেশন দিয়ে এমপি করে আনা হয়েছে। যারা এমপি হতে পারেননি অথচ নির্বাচনে সরকারকে ক্ষমতায় আসতে অর্থবিত্ত দিয়ে সহায়তা করেছেন তাদের ‘ব্যবসাবান্ধব সরকার’ এখন সুবিধা দিচ্ছে। মাঝে মাঝে বাজার নিয়ন্ত্রণে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, কিছু ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড করা হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণকারীদের মূল শেকড়ে হাত দেয়া হচ্ছে না।

পণ্যমূল্য বেশি এবং আয়ের সঙ্গে ব্যয়ে কুলিয়ে উঠতে না পারায় ঢাকার চিত্র পাল্টে গেছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সঙ্গতি করতে পারছে না। কেউ পুঁজি ভেঙে খাচ্ছেন, কেউ ঋণ করে সংসার চালাচ্ছেন। কেউ সংসারের খরচ কমাতে ছেলেমেয়েদের টিউশনি কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। সেটাতেও শেষ রক্ষা না হওয়ায় দিনের খাবার কমিয়ে দিয়েছেন। অথচ রাজধানী ঢাকার বাজারে পণ্যের যে দাম তার অর্ধেক দামও উৎপাদনকারী কৃষকরা পাচ্ছেন না। ঢাকায় চালের কেজি ৬০ টাকা থেকে ৯০ টাকা। অথচ গত মাসেও গ্রামে কৃষকদের ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করতে হয়েছে। এক মণ ধান উৎপাদনে কৃষকের খরট এলাকাভেদে ১২০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা। সরকার ধানের দাম বেঁধে দিয়ে ধান কেনার ঘোষণা দেয়ার পরও কৃষকের কাছ থেকে ধান না কিনে দালাল-ফরিড়াদের কাছে খাদ্য অধিদপ্তর ধান কেনায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লিগের (সিপিডি) ‘সংকটে অর্থনীতি, কর্মপরিকল্পনা কী হতে পারে?’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন গবেষণাচিত্র তুলে ধরে জানান, মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ কম খাচ্ছে। দিনে তিন বেলা খাবার বদলে অনেক পরিবার দু’বেলা খাচ্ছেন। অনেকেই খাদ্য ব্যয় কমিয়ে আনতে খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন মাছ-গোশতসহ বিভিন্ন আমিষ জাতীয় খাবার।

গবেষণা চিত্রে বলা হয়, বর্তমানে রাজধানীতে বসবাসরত চার সদস্যের একটি পরিবারের মাসে খাদ্য ব্যয় ২৩ হাজার ৬৭৬ টাকা। এটাকে রেগুলার ডায়েট। এখানে ১৯টি খাদ্যপণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মাছ-গোশত বাদ দিলেও খাদ্যের পেছনে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৫৫৭ টাকা। এটা ‘কম্প্রোমাইজড ডায়েট’ (আপস) খাদ্য তালিকা। ওই প্রবন্ধে জানানো হয় উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ খাবার খাওয়া কমিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। মূল্যস্ফীতির লাগামহীন অবস্থার কারণে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শুধু আমদানি পণ্য নয়, দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেশি। এটা কমানোয় সরকার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। উল্টো যারা ফসল উৎপাদন করেন সেই কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পান না।

দেশের কিছু ব্যবসায়ীকে জুয়াড়িদের চেয়ে বেশি খারাপ হিসেবে অভিহিত করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। গত মঙ্গলবার এক বৈঠকে তিনি বলেন, জুয়া খেলার চেয়েও এখন ডিম ব্যবসায়ীরা লাভ বেশি করেন। এসএমএস করে, গভীর রাতে ফোন করে ডিমসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়। সব তথ্য আমাদের কাছে আছে। ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা করার প্রবণতা পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

গত মাসে বাজেট নিয়ে এক আলোচনায় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেছেন, খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশি বৃদ্ধির কারণ রহস্যময়। খাদ্য মূল্যস্ফীতি কেন বাড়ছে, তার সদুত্তর পাওয়া দরকার। পোলট্রি, মৎস্য, পশুসম্পদ খাতেও শুল্ক কমিয়ে খরচ কমানোর সুযোগ আছে। কেন তা করা হয় না সেটাও রহস্যময়।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের পর ২৮ জানুয়ারি সচিবালয়ে নিজ দফতরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দ্রব্যমূল্য যেভাবে বাড়ছে, সেটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ আছে নতুন সরকারের। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা নিয়ে একটি চ্যালেঞ্জ আছে। আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো। চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার সৎ সাহস আমাদের আছে। আমরা পেরেছি, ভবিষ্যতেও পারব।’ প্রশ্ন হচ্ছে গত ৬ মাসে সরকার কি সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা তথ্য নিত্যপণ্যের মূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে পেরেছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *