‘এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে ২৫ ভাগ’

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি খাত নিয়ে মানব জমিনের প্রথম পাতার খবর, ‘এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে ২৫ ভাগ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরের তুলনায় পোশাক রপ্তানি কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ।

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে ৭২৯ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯৭২ কোটি ডলার। ওটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিও ২০২২ সালে ৩১৩ কোটি বর্গমিটার থেকে ২৮ শতাংশ কমে ২২৫ কোটি বর্গমিটারে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১ সালের তুলনায় ৫০ শতাংশেরও বেশি পোশাক রপ্তানি করে। কোভিড-১৯ এর মারাত্মক বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় পোশাকের চাহিদা বেড়ে যায়। উদ্যোক্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দোকানগুলোতে বিক্রি কমলেও অদূর ভবিষ্যতে রপ্তানি বাড়বে। গত বছরের তুলনায় মার্কিন ক্রেতারা এখন অনেক বেশি খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে তারা জানান।

সংসদীয় স্থায়ী কমিটি নিয়ে আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘স্বার্থের সংঘাত কমিটিতে’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ব্যক্তিগত স্বার্থের সংশ্লিষ্টতা থাকা সংসদ সদস্যরাও পদ পেয়েছেন। কমিটির সভাপতিও হয়েছেন কেউ কেউ। এছাড়া সাবেক সরকারের ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন দায়িত্ব পালন করে আসা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে কমিটি গঠনে কার্যপ্রণালী বিধির নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটেছে। স্বার্থের সংঘাত তৈরি হয়েছে। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী কমিটির সভাপতি হওয়ায় তার সময়ে হওয়া মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ নাও আসতে পারে। এতে জবাবদিহিতার সম্ভাবনা কমে যায়।

আওয়ামী লীগের অন্তঃকোন্দল নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, ‘তৃণমূলের দূরত্ব ঘোচানোর চ্যালেঞ্জ আ’লীগে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল আওয়ামী লীগ অনেক জায়গায় আসনভিত্তিক বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দলীয় মনোনয়ন পাওয়া এমপি প্রার্থী ও দলের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে গিয়ে কোথাও কোথাও প্রকাশ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

বিএনপিবিহীন নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের হিসাব মেলাতে গিয়ে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে নিজেরা নিজেরাই বড় ধরনের সহিংসতায়ও জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল। যার রেশ এখনো কাটেনি। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে এসব দূরত্ব ঘুচিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মাঠে নামানো এখন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে দলটির হাইকমান্ড। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কীভাবে তৃণমূল সংগঠনকে শক্তিশালী করা যায় সে বিষয়ে জোরালোভাবে তৎপরতা চলছে বলে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘উপজেলা ভোটেও নেই সমমনাদের আগ্রহ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের চেয়ে আন্দোলনকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন সরকারবিরোধী মিত্ররা। এ নিয়ে বিরোধী শিবিরে নেই কোনো উত্তাপ। তারা বলছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ কিংবা স্বাধীন নয়। তাদের (সরকার) ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা নেই। এজন্য ভোটার ও নেতাকর্মীরা আগ্রহ হারিয়েছেন।

অতীতের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়া বা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো ভোট বর্জনের পথে হাঁটছে সরকারবিরোধী মিত্ররা। তবে বর্তমান পরিস্থিতি উত্তরণে আন্দোলনে দৃষ্টি রাখছে সমমনা দল ও জোটগুলো।একই সঙ্গে বিএনপির ওপর পূর্ণ আস্থা রেখেই সামনের দিনের কর্মসূচি বাস্তাবায়নে জোর দিচ্ছেন নেতারা।

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সমমনা দলগুলোর মধ্যে বেশিরভাগেরই মাঠপর্যায়ে পরিচিতি নেই। এজন্য আগ্রহ নেই নির্বাচনে। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাচন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে বিএনপির ওপরই ভরসা করছেন নেতারা। অনেকেই বলছেন, বিএনপিসহ সমমনাদের কেউ নির্বাচনে অংশ নেবে না। তবে দল কিংবা জোটগত না হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন অনেকেই।

রাখাইনের সংঘাত নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘ওপারে গোলাগুলি চলছে, রোহিঙ্গাদের ঢোকার চেষ্টা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের রাখাইনে গোলাগুলি-সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ঢোকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। তবে তারা যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক পাহারায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি।

এরপরও নাফ নদীর ওপারে বেশ কয়েকটি নৌকায় দুই শতাধিক রোহিঙ্গা অপেক্ষায় রয়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা গিয়েছে। সর্বশেষ ৬ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার উখিয়া রহমতের বিল সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্রসহ ২৩ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে শনিবার বিকেলে কক্সবাজারের মুখে উপজেলার বালুখালী তেলিপাড়া এলাকার একটি ব্রিজের নিচে থেকে মাথায় হেলমেট, গ্লাভস পরাসহ অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Rising Sea Levels: 9 lakh in south may be displaced by 2050’ অর্থাৎ, ‘সমুদ্রপৃষ্ঠ ক্রমশ বাড়ছে: ২০৫০ সালের মধ্যে দক্ষিণে নয় লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে’। এতে বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়ন কেন্দ্র (আইসিসিএডি) থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

কারণ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশের মধ্যে সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি খাদ্য ফসলের জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে এবং আরও অনেক মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের এইচ চৌধুরীকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বন্যা, জলের উত্স হ্রাস, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া এবং লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে।” সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে দেশের চাল উৎপাদন ছয় থেকে নয় শতাংশ হ্রাস পেতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এতে।

পাহাড় নিধন নিয়ে দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘রেকর্ড বদলে পাহাড় সাবাড়’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভবন নির্মাণের আগে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নিতে হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছাড়পত্র না নিয়েই চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড় কেটে চলছে ভবন নির্মাণের কাজ।

এ নিয়ে ভূমি রেকর্ডে ঘাপলা তো আছেই। তার ওপর পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) নির্দেশনাও মানা হয়নি। এত অনিয়মের কারণে ড্যাপে বিশেষভাবে চিহ্নিত চট্টগ্রাম নগরীর একটি পাহাড় সাবাড় হয়ে যাচ্ছে। পাহাড় কাটার দায়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা অভিযান চালানোর পর বন্ধ ছিল কার্যক্রম। এখন আবার নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।

২০১০ সালের সংশোধিত পরিবেশ আইনে পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ নিষেধ। তবে জাতীয় স্বার্থে সরকারের প্রয়োজনে অনুমোদন সাপেক্ষে পাহাড় কাটা যেতে পারে। তবে এরপর থেকে এ পর্যন্ত কোনো পাহাড় কাটার অনুমোদন পরিবেশ অধিদপ্তর দেয়নি। অপরদিকে ২০০৮ সালের ইমারত নির্মাণ আইন অনুযায়ী, পাহাড়ে স্বল্প উচ্চতার ভবন নির্মাণ করতে পারলেও নগর উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন লাগবে।

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘অনিরাপদ সড়কে অসহায় পথচারী’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সারা বছরই প্রায় প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে পথচারীরা। দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে দুই যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, একটি গাড়িকে পেছন থেকে এসে আরেকটি গাড়ির ধাক্কা দেওয়া, উল্টে খাদে পড়ে যাওয়া, গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারানোর মতো দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটা গতানুগতিক পর্যায়ে চলে গেছে।

অন্যদিকে পথচারীরা কোনো ধরনের যান ব্যবহার না করেও সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে, মারা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে পথচারীর মৃত্যুর যে চিত্র পাওয়া গেছে, তা রীতিমতো ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে যত মানুষ নিহত হয়, তার চার ভাগের প্রায় এক ভাগই পথচারী। দুর্ঘটনায় মোট শিশু মৃত্যুর ৪৭% পথচারী

দুর্ঘটনাগুলো মোটা দাগে দুই দিক থেকে ভাগ করা যায়। একপক্ষে দুর্ঘটনার জন্য যানবাহন দায়ী, অন্যপক্ষে পথচারী।সংগঠনটির তথ্য বলছে, যানবাহনের বেপরোয়া গতির কারণে ৮২৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা প্রায় ৫৭ শতাংশ। বিপরীতে পথচারীর অসতর্কতার কারণে ৬২৫টি দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা ৪৩ শতাংশ। সময় ও সড়কের ধরন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি পথচারীর মৃত্যু হয়েছে আঞ্চলিক মহাসড়কে। আর মৃত্যু বেশি সকালে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি সত্ত্বেও ছাপানো অর্থ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চলতি অর্থবছরের শুরুতে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাজারে অর্থের প্রবাহ কমাতে ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ানো হয়েছে। কমিয়ে আনা হয়েছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যও। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুনের পর থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইস্যুকৃত নোটের পরিমাণ কমে আসছিল। কিন্তু অক্টোবরে এসে ছন্দপতন হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের নভেম্বর থেকে ব্যাংকগুলোয় নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ বেড়ে গিয়েছিল।

এক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচনের প্রভাব রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।
আবার নানা অনিশ্চয়তার কারণে একশ্রেণির গ্রাহকও টাকা তুলে নিয়েছেন। অর্থ সংকটে পড়ায় কিছু ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে তারল্য সহায়তাও দেয়া হয়েছিল। এসব কারণে সংকোচনমূলক নীতির পরও ইস্যুকৃত নোটের পাশাপাশি ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়।

বাণিজ্য মেলা নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘বাণিজ্য মেলার আসল উদ্দেশ্যই ‘নিরুদ্দেশ’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশি পণ্যকে বিদেশির সামনে পরিচিতি করা, আবার বিদেশি পণ্যের সঙ্গে স্থানীয় ক্রেতার যোগসূত্র ঘটানোর অভিপ্রায় নিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) আবির্ভাব। তবে আন্তর্জাতিক এ মেলার বাস্তবিক হাল সবাইকে পোড়াচ্ছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) আসল উদ্দেশ্যই হয়ে গেছে ‘নিরুদ্দেশ’।

দেশের সবচেয়ে বড় এ মেলার নামের সঙ্গে ‘আন্তর্জাতিক’ শব্দটি জুড়ে দেওয়া হলেও গেল তিন দশকে সেই মানে পৌঁছাতে পারেনি এটি। উদ্বেগজনক খবর হলো, এ বছর মেলায় বিদেশি স্টলের সংখ্যা আরও কমেছে। গেলবার ১২টি থাকলেও এবার নেমেছে নয়টিতে।

এদিকে, বাণিজ্য মেলা ঘিরে অনুযোগের লম্বা তালিকা থাকলেও এটিকে ‘আন্তর্জাতিক’ রূপ দেওয়ার সময় এখনও ফুরিয়ে যায়নি বলে মনে করেন ব্যবসায়ী নেতারা। তাদের মতে, রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে এ ধরনের মেলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

পাশাপাশি ঢাকাবাসীর বিনোদনের জন্যও এটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিশ্বকাতারে মেলাকে নিয়ে যেতে অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকা দরকার। তবে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে বিদেশি স্টল বাড়ানোর দিকে। কারণ, বিদেশি ব্যবসায়ী এলে তারা শুধু বিক্রি করবেন না, কিছু পণ্যের ক্রয়াদেশও দেবেন। – বিবিসি বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *