সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। চাকরিতে সব ধরনের সংরক্ষণ বাতিল করার দাবি নিয়ে পথে নেমেছে ছাত্রসমাজ। আনন্দবাজার লিখেছে, পুলিশ এবং দেশের শাসকদল আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা শতাধিক। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৯। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২৭। পিটিআইয়ের হিসাবে, মৃতের সংখ্যা ২৫। আবার সংবাদ সংস্থা এএফপি ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাচ্ছে। ডয়চে ভেলে লিখেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে সারাদেশে সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে৷
আলোচনায় সম্মত সরকার, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন
এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেছেন, আলোচনার জন্য দুজন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, তাকে ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষে নিহতদের ব্যাপারে হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে দিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
অপরদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লেখক-ঔপন্যাসিক, রাজনীতি বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. আসিফ নজরুল বলছেন, আলোচনার কথা বলে পুলিশ আর র্যাবকে দিয়ে সমানে গুলি করছেন, মানুষ মারছেন। এখন শোনা যাচ্ছে সেনাবাহিনীও নামাচ্ছেন। এই সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করেছে, রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, বাংলাদেশের মানুষের জন্য জীবন দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষের বুকে তারা গুলি করবে না। আমাদের ভয় নেই। ইনশাল্লাহ্।